০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ঈদগাঁওতে অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবী

প্রতিনিধির নাম

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জোর দাবী ভুক্তভোগীসহ সাধারন লোকজনের।

স্বাধীনতার পর থেকে ঈদগাঁওকে উপজেলা বাস্তবায়ন দাবীটি ছিল দীর্ঘ কালের। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ঈদগাঁওকে উপজেলায় অনুমোদন দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কিন্তু উপজেলা সদর দপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দফতর স্থাপন না হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হচ্ছেনা সেবা প্রত্যাশীদের। প্রতিবছর ঈদগাঁও বাজার ও আবাসিক এলাকায় দোকানপাটসহ বাড়িঘর আগুনে পুড়ে ছারখারসহ লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয়দের।

ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের লোকজন উপজেলা হওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাসমুহ  অতিসত্বর পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তা বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিতায়।

ঈদগাঁওর ইমরান মাহমুদ জনি এবং পোকখালীর রাসেল উদ্দিন জানান, ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে অল্প সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যেত, এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতঘরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কম হত। তারা অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে জোর দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।

ভুক্তভোগীদের মতে, ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে অনেক কিছু রক্ষা করা সম্ভব হত। রামু থেকে আসতে না আসতেই সবকিছু পুড়ে যায়। এলাকাতে ফায়ার সার্ভিস সময়ের যোক্তিক দাবী।

ঈদগাঁও ঐক্য কমিটির সহকারী সমন্বয়ক শামসুল আলম জানান, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকায় চরম আতংকে রয়েছে মানুষরা। কেননা অগ্নিকান্ড সংগঠিত হলে কক্সবাজার,চকরিয়া বা রামু থেকে ফায়ার কর্মী আসার আগেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। আগুন থেকে বাঁচার জন্য হলেও দমকল বাহিনী প্রয়োজন এলাকাতে।

প্রসঙ্গত- বিগত ৬ ফেব্রুয়ারী ঈদগাঁও ইউনিয়নের চাঁন্দেরঘোনা কাটামোরা এলাকায় আপন দুই সহোদয়ের বাড়ি আগুনে পুড়ার ঘটনায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০১:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১২৭ বার পড়া হয়েছে

ঈদগাঁওতে অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবী

আপডেট : ০১:১২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জোর দাবী ভুক্তভোগীসহ সাধারন লোকজনের।

স্বাধীনতার পর থেকে ঈদগাঁওকে উপজেলা বাস্তবায়ন দাবীটি ছিল দীর্ঘ কালের। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই ঈদগাঁওকে উপজেলায় অনুমোদন দেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কিন্তু উপজেলা সদর দপ্তর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দফতর স্থাপন না হওয়ায় ভোগান্তি শেষ হচ্ছেনা সেবা প্রত্যাশীদের। প্রতিবছর ঈদগাঁও বাজার ও আবাসিক এলাকায় দোকানপাটসহ বাড়িঘর আগুনে পুড়ে ছারখারসহ লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয়দের।

ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের লোকজন উপজেলা হওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবাসমুহ  অতিসত্বর পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তা বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিতায়।

ঈদগাঁওর ইমরান মাহমুদ জনি এবং পোকখালীর রাসেল উদ্দিন জানান, ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে অল্প সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যেত, এলাকায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতঘরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কম হত। তারা অবিলম্বে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে জোর দাবী জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট।

ভুক্তভোগীদের মতে, ঈদগাঁওতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে অনেক কিছু রক্ষা করা সম্ভব হত। রামু থেকে আসতে না আসতেই সবকিছু পুড়ে যায়। এলাকাতে ফায়ার সার্ভিস সময়ের যোক্তিক দাবী।

ঈদগাঁও ঐক্য কমিটির সহকারী সমন্বয়ক শামসুল আলম জানান, নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকায় চরম আতংকে রয়েছে মানুষরা। কেননা অগ্নিকান্ড সংগঠিত হলে কক্সবাজার,চকরিয়া বা রামু থেকে ফায়ার কর্মী আসার আগেই সবকিছু পুড়ে শেষ হয়ে যায়। আগুন থেকে বাঁচার জন্য হলেও দমকল বাহিনী প্রয়োজন এলাকাতে।

প্রসঙ্গত- বিগত ৬ ফেব্রুয়ারী ঈদগাঁও ইউনিয়নের চাঁন্দেরঘোনা কাটামোরা এলাকায় আপন দুই সহোদয়ের বাড়ি আগুনে পুড়ার ঘটনায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।