০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

“উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা যায় না’- থানা পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
আবুল কাশেম হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার, অধরা প্রধান অভিযুক্ত
“উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা যায় না’- থানা পুলিশ
 মিরসরাইয়ের আলোচিত সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ৬ বারের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম (৬৫) হত্যায় অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও অধরা রয়ে গেছে প্রধান অভিযুক্ত বর্তমান ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) মামলায় অভিযুক্ত ১নং আসামী স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (১৯), নজরুল ইসলাম (২৮), সিরাজুল ইসলাম (৬০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে মীর হোসেন (২০) কেও আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে আটকৃতদের।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমানের সাথে গ্রেফতাকৃতদের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমরা চারজনকে গ্রেফতার করেছি। যাদের তথ্য-প্রমাণ পাবো তারা গ্রেফতার হবে।  ভিকটিমের দেওয়া অভিযোগের ১নং আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য। কারো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তো একজন জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে এঘটনার ১নং আসামি পলাতক কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানামতে পলাতক।
গ্রেফতারের জন্য কোন অভিযান করেছে কি-না এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে মিরসরাই থানার তদন্ত ওসি অলি উল্যাহ বলেন, গ্রেফতারকৃত চার জনের মধ্যে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তবে কি কারণে হত্যা করেছে এটি পূর্ণ তদন্তের পর জানা যাবে।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ছয়দিন পর মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন ৬ বারের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম (৬৫)। এ ঘটনায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলালকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:২২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৫৩ বার পড়া হয়েছে

“উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা যায় না’- থানা পুলিশ

আপডেট : ০৭:২২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
আবুল কাশেম হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার, অধরা প্রধান অভিযুক্ত
“উপযুক্ত সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা যায় না’- থানা পুলিশ
 মিরসরাইয়ের আলোচিত সাহেরখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ৬ বারের জনপ্রিয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম (৬৫) হত্যায় অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করলেও অধরা রয়ে গেছে প্রধান অভিযুক্ত বর্তমান ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন।
মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) মামলায় অভিযুক্ত ১নং আসামী স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (১৯), নজরুল ইসলাম (২৮), সিরাজুল ইসলাম (৬০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে মীর হোসেন (২০) কেও আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন হত্যার ঘটনা স্বীকার করে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে হত্যা মামলায় চট্টগ্রাম কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে আটকৃতদের।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমানের সাথে গ্রেফতাকৃতদের বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমরা চারজনকে গ্রেফতার করেছি। যাদের তথ্য-প্রমাণ পাবো তারা গ্রেফতার হবে।  ভিকটিমের দেওয়া অভিযোগের ১নং আসামি স্থানীয় ইউপি সদস্য। কারো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া অভিযোগের ভিত্তিতে তো একজন জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করা যাবে না। তবে এঘটনার ১নং আসামি পলাতক কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানামতে পলাতক।
গ্রেফতারের জন্য কোন অভিযান করেছে কি-না এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে মিরসরাই থানার তদন্ত ওসি অলি উল্যাহ বলেন, গ্রেফতারকৃত চার জনের মধ্যে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তবে কি কারণে হত্যা করেছে এটি পূর্ণ তদন্তের পর জানা যাবে।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ছয়দিন পর মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন ৬ বারের ইউপি সদস্য আবুল কাশেম (৬৫)। এ ঘটনায় সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদী হয়ে স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলালকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।