০২:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
ওমিক্রন ঝুঁকিতে প্রবীনরা, বিধি-নিষেধে নেই তোয়াক্কা

প্রতিনিধির নাম
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে প্রবীণরা। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা কেন্দ্রের তথ্যমতে, কম বয়সীদের চাইতে বয়স্করা অর্থাৎ যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্তত ১০গুন বেশি। তাদের মতে, এর প্রধান দুটি কারণ এক. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকা দুই. ফুসফুসে সহজে সংক্রমণের ঝুঁকি।
এছাড়া প্রবীনদের মধ্যে যাদের আগে থেকেই জটিল অসুস্থতা যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ-রক্তচাপ, ফুসফুসে প্রদাহ, কিডনি জটিলতা তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস আরও প্রাণঘাতী হতে পারে বলে অভিমত চিকিৎসকদের। বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন ওমিক্রনের কালো ছায়ায় বিপর্যস্ত ঠিক এসময় বাংলাদেশও এর চরম ঝুঁকিতে। সরকার, সরকারী সকল প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, প্রশাসন, নীতি-নির্ধারকরা ওমিক্রনের সংক্রমনরোধে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য রাত-দিন কাজ করছেন। অথচ কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতার অভিজ্ঞতা থাকা স্বত্তেও কিছু মানুষ যেন কিছুই মনে করছেন না, মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
সরজমিনে রাজধানীর পল্টন-মতিঝিল- ওয়ারী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কম বয়সী বিশেষ করে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, সরকারী-বেসরকারী চাকুরীজীবী এদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরার প্রবনতা থাকলেও দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা, পরিবহন হেলপার ও প্রবীনদের মধ্যে মাস্ক পড়ার প্রবনতা নেই বললেই চলে। তবে, সংখ্যায় কম হলেও সচেতন অনেক প্রবীনদের মাস্ক পড়তে দেখা গেছে।
মাস্কহীন প্রবীনদের সবচেয়ে বেশী দেখা গেছে ফুটপাতের চায়ের দোকানে জটলা পাকিয়ে চা-পান-সিগারেট খেতে।
স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারন জানতে চাইলে পঞ্চাশোর্ধ এক দিনমজুর বলেন, আমরা এই বয়সেও কাজ করি, আমাদের এগুলা হয় না। এগুলা বড় লোকের রোগ, গরীবের না।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন যেকোন বয়সীদের হতে পারে। উপসর্গ হিসেবে রোগীর দেহে আগে ব্যথা শুরু হবে। গা ব্যথা এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রমণের অন্যতম উপসর্গ। এছাড়াও প্রথম কয়েকদিন দুর্বলতা অনুভব হতে পারে, সঙ্গে ক্লান্তি থাকবে। মাথা ব্যথা থাকবে, সাথে জ্বর। কখনও কখনও হাঁচি-কাশিও থাকতে পারে। এজন্য ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাইকে বারবার হাত ধোয়া, হাঁচি/কাশির শিষ্টাচার মেনে চলা, মাস্ক পরা ও মুখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সচেতন মহলের দাবী, অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় যেহেতু প্রবীনরা ওমিক্রনের ঝুঁকিতে বেশী সেহেতু তারা যেন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাসা/বাড়ির বাইরে বের না হন এবং অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলেন। এজন্য প্রত্যেক পরিবার থেকেই প্রবীনদের সচেতন এবং সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ট্যাগস :