করোতোয়ার বুকে জেগে ওঠা চরে ধানের বীজতলা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে বর্ষার সময় নিজরূপে ফিরে আসলেও থাকে না বেশিদিন। সেই করতোয়ার বুকে জেগে ওঠা চর আর তাতেই চলে কৃষি চাষাবাদ। কৃষকরা তৈরি করেছে বোরো ধানের বীজতলা। জেগে ওঠা চর ভরে গেছে ধানের বীজতলায়। আবাদি জমিতে বীজতলা তৈরি করতে খরচ বেশি হয় এছারাও বীজতলা জায়গা তৈরীর সংকট দেখা যায় করতোয়া নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে বীজতলা তৈরি করতে খরচ কম। ভালো হয় তাই কৃষকেরা করতোয়ার বুকে জেগে ওঠা চরে তৈরি করেছে বীজতলা। করতোয়া যেন তার বুকে সবুজের বিছানা পেতে রেখেছে।কৃষকেরা ধানের ভালো দাম পানি ও সার দিতে হয় না ওয়ায় চলতি মৌসুমে ধান চাষ গত মৌসুমে তুলনায় বেশি হবে। করতোয়ার বুকে জেগে ওঠা চরে বীজতলা তৈরি করা উপজেলার গাড়াদহ গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন আবাদি জমিতে চাষ, পানি ও সার দিয়ে বীজতলা তৈরি করতে হয়। এতে খরচ হয় বেশি কিন্তু করতোয়ার চড়ে বীজতলা তৈরি করতে চাষ, পানি ও সার দিতে হয় না। তাতে খরচ কম হয়।এমনকি আবাদি জমির চাইতে করতোয়া চড়ে ধানের বীজ ভালো হয়। কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, যারা বর্গা দিয়ে জমি চাষ করে তাদের বীজতলা তৈরি করার জায়গা থাকেনা। নদ নদীর বুকে চর জেগে ওঠায় বীজতলার জায়গা সংকট হয়না। বিশেষ করে নদী নদীর বুকে চারা রোপন করলে এতে পানি লাগে না ফলে কৃষক লাভবান হয় বেশি। আর নদীর বুকে বীজতলা সবার নজর টানে।।।