১০:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চকরিয়ায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে নির্মম নির্যাতন

প্রতিনিধির নাম
চকরিয়ায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করেছে বখাটেরা। শুক্রবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরন্দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বখাটের হামলায় আহত শিক্ষকের নাম মোঃ সালেহ উদ্দিন (৪০)। তিনি চরন্দ্বীপ উপকূলীয় ভূমিহীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং একই ইউনিয়নের মৃত হাজী মৌলানা হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আহতের ভাই মোঃ শরীফুল ইসলাম জানান, একই ইউনিয়নের আবদুল হাফেজের ছেলে ইব্রাহিম খলিলসহ ৪/৫ জন বখাটে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে ইতোমধ্যে শালিস-বিচারও হয়। একসপ্তাহ আগেও একই ঘটনা ঘটলে আবারো বিচার হয়। বিচারে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় ইব্রাহিম খলিল। কিন্তু এ ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টায় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালেহউদ্দিন বিদ্যালয় দেখবাল করে আসার সময় স্থানীয় ফুলকাটাসড়কের মাথায় পৌঁছালে বখাটে ইব্রাহিম খলিল ও তার সহযোগী ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিনের ছেলে দিদারসহ ৪/৫ জন বখাটে অতর্কিত হামলা করে। বখাটেরা ওই শিক্ষককে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সালেহউদ্দিনের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওসমান গণি জানান, বিষয়টি কেউ জানায়নি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১২৭ বার পড়া হয়েছে

চকরিয়ায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় প্রধান শিক্ষককে নির্মম নির্যাতন

আপডেট : ০৭:১৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
চকরিয়ায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় এক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করেছে বখাটেরা। শুক্রবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরন্দ্বীপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বখাটের হামলায় আহত শিক্ষকের নাম মোঃ সালেহ উদ্দিন (৪০)। তিনি চরন্দ্বীপ উপকূলীয় ভূমিহীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং একই ইউনিয়নের মৃত হাজী মৌলানা হাবিবুর রহমানের ছেলে।
আহতের ভাই মোঃ শরীফুল ইসলাম জানান, একই ইউনিয়নের আবদুল হাফেজের ছেলে ইব্রাহিম খলিলসহ ৪/৫ জন বখাটে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে ইতোমধ্যে শালিস-বিচারও হয়। একসপ্তাহ আগেও একই ঘটনা ঘটলে আবারো বিচার হয়। বিচারে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় ইব্রাহিম খলিল। কিন্তু এ ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টায় উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সালেহউদ্দিন বিদ্যালয় দেখবাল করে আসার সময় স্থানীয় ফুলকাটাসড়কের মাথায় পৌঁছালে বখাটে ইব্রাহিম খলিল ও তার সহযোগী ৯নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গিয়াসউদ্দিনের ছেলে দিদারসহ ৪/৫ জন বখাটে অতর্কিত হামলা করে। বখাটেরা ওই শিক্ষককে ছুরিকাঘাত ও হাতুড়িপেটা করে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সালেহউদ্দিনের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওসমান গণি জানান, বিষয়টি কেউ জানায়নি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।