০৯:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় অবৈধ অটোরিকশার ডিজিটাল টোকেন প্লেট বাণিজ্য  

রিপন চৌধুরী
“মাসে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ডিজিটাল চাঁদাবাজি ” ” চট্টগ্রাম মহানগরী নাসিরাবাদ পলিটেকনিক ” “এলাকায় ব্যাটারীচালিত অটোরিকসায় টাকা” “উত্তোলনে দেয়া হয় ডিজিটাল টোকেন প্লেট”
চট্টগ্রাম মহানগরী নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল এলাকায় ব্যাটারীচালিত অটোরিকসা থেকে ডিজিটাল টোকেন প্লেট দিয়ে প্রতিনিয়ত ডিজিটাল চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। এসব ব্যাটারি চালিত রিকসা চলাচলকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এলাকাভিত্তিক রাস্তাগুলোতে প্রায় ২৫০টি গাড়ি থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। আদায়কৃত চাঁদার টাকা থেকে বিভিন্ন মহলের চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। চাঁদার টাকা না দিলে লাইনম্যান এসব অটোরিকশা কে  আটক করাসহ চালকদের ওপর নির্যাতন চালানোরও অভিযোগ রয়েছে।
রিকসা চালকরা জানান, এই রিকসা কে পুঁজি করে বহিরাগত শামসু, খোরশেদ, হেলাল মহানগরের এক যুবলীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের তোয়াক্কা না করে এই টোকেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটালভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে। স্থানীয় লোকেরা নিজেদের মানসন্মান রক্ষার্তে বিষয়টি এড়িয়ে চলে রিকসাচালকরা আরো বলেন, মহানগর যুবীগের বর্তমান কমিটির প্রভাবশালি ওই নেতা মুলত পলিটেকনিক ছাত্রসংসদ এবং কলেজ ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রক, তার নির্দেশনায় বাহিরে কলেজের ছাত্রলীগের নিজস্ব কোনরকম সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে না।
জানা গেছে, স্থানীয় জনগনের যাতায়তে প্রতিনিয়ত পলিটেকনিক, মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী সড়ক, সাউদার্ন মেডিকেল, টেকনিক্যাল মোড, খুলশী কলোনী পর্যন্ত ব্যাটারী চালিত অটোরিকসা চলাচল করছে।  প্রায় ২৫০টি রিকসা থেকে দৈনিক ২৫ হাজার টাকা অবৈধ চাঁদা  উত্তোলন করছে। আর মাসে উঠছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। শামসু ওই নেতার হয়ে লাইনম্যান দিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করে পুলিশসহ বিভিন্ন মহলে পাঠানো হচ্ছে বলে রিকসা চালকরা  জানিয়েছেন এছাড়া রিকসা চালকরা টাকা দিতে  দেরি হলে   রিকসা চালকদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে রিকসা আনতে পুলিশকে তিন হাজার টাকা দিতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে রিকসাচালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানায়, আমরা সবাই কোন না কোন এলাকার ভোটার।আমরা নির্বাচনের সময় ভোটও দেই, আবার ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ইশারায় নির্যাতিতও হই।
নাম  প্রকাশ করার স্বার্থে স্থানীয় এক আ’লীগ নেতা মন্তব্য করে বলেন, এই চাঁদাবাজির কারণে আগামী নির্বাচনে বিশাল  প্রভাব পড়বে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাতদিন কষ্ট করে দেশের নিম্ম আয়ের মানুষগুলোর রুটি রুজির জন্য এত উন্নয়ন করে যাচ্ছেন অথচ এই ধরনের কিছু মুষ্টিমেয় নেতার জন্য তা মলিন হয়ে যাচ্ছে। ওই আ’লীগ নেতা আরো বলেন স্থানীয়  ১০ আসনের সাংসদ মহিউদ্দিন বাচ্চু বিষয়টির আইনত ব্যবস্থা নেবে আশা করছেন। এ বিষয়ে ৮ নং শুলক বহর ওয়ার্ডের কাউান্সিলর মো. মোরশেদ আলম বলেন, টাকা উত্তোলনের বিষয়ে সেটা আমি জানি। আমিতো ম্যাজিস্ট্রেট না, কিভাবে বন্ধ করবো। টাকা না দিলে এসব রিকসা কিভাবে চলবে। তারা টাকা দিয়ে চালাচ্ছে। টাকা না দিলে প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলো কিভাবে চলছে। এ বিষয়ে আমি মেয়র মহোয়কে দুইবার অভিযোগ করেছি এবং ডিসি ট্রাফিক শ্যামল দত্ত মহোদয়কেও চিঠি দিয়েছি। তারপর কেন কোন উদ্দেশ্যে বন্ধ হয়নি সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমার এ জোনটা অনেক আধুনিক জোন, মফস্বল জোন না। এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রযেছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে, অটোরিকশা ও চাঁবাজির কারণে। শুধু ব্যাটারী চালিত রিকসা না চাঁদা দিয়ে এখানে গ্রাম সিএনজিও চলে।
খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুবেল খান বলেন, আমি এটার বিরুদ্ধে আছি। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি জানিনা। রিকসাগুলো অবৈধ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। এরা টাকা দিয়ে চালাচ্ছে। আর এগুলো ট্রাফিকের বিষয়। তারা চাইলে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু তারা ধরে এগুলো টু করে। টু করার পর  ট্রাফিক বিভাগকে যে ফি দেয় সেটাকে চালকরা মনে করে পুলিশরকে টাকা দিচ্ছে। আসলে বিষয়টি পুরোটা ট্রাফিক বিভাগের। থানার না।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
৩৭ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় অবৈধ অটোরিকশার ডিজিটাল টোকেন প্লেট বাণিজ্য  

আপডেট : ০৬:৩৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
“মাসে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ডিজিটাল চাঁদাবাজি ” ” চট্টগ্রাম মহানগরী নাসিরাবাদ পলিটেকনিক ” “এলাকায় ব্যাটারীচালিত অটোরিকসায় টাকা” “উত্তোলনে দেয়া হয় ডিজিটাল টোকেন প্লেট”
চট্টগ্রাম মহানগরী নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল এলাকায় ব্যাটারীচালিত অটোরিকসা থেকে ডিজিটাল টোকেন প্লেট দিয়ে প্রতিনিয়ত ডিজিটাল চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। এসব ব্যাটারি চালিত রিকসা চলাচলকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এলাকাভিত্তিক রাস্তাগুলোতে প্রায় ২৫০টি গাড়ি থেকে দৈনিক ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়। আদায়কৃত চাঁদার টাকা থেকে বিভিন্ন মহলের চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। চাঁদার টাকা না দিলে লাইনম্যান এসব অটোরিকশা কে  আটক করাসহ চালকদের ওপর নির্যাতন চালানোরও অভিযোগ রয়েছে।
রিকসা চালকরা জানান, এই রিকসা কে পুঁজি করে বহিরাগত শামসু, খোরশেদ, হেলাল মহানগরের এক যুবলীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের তোয়াক্কা না করে এই টোকেনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটালভাবে চাঁদাবাজি করে আসছে। স্থানীয় লোকেরা নিজেদের মানসন্মান রক্ষার্তে বিষয়টি এড়িয়ে চলে রিকসাচালকরা আরো বলেন, মহানগর যুবীগের বর্তমান কমিটির প্রভাবশালি ওই নেতা মুলত পলিটেকনিক ছাত্রসংসদ এবং কলেজ ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রক, তার নির্দেশনায় বাহিরে কলেজের ছাত্রলীগের নিজস্ব কোনরকম সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে না।
জানা গেছে, স্থানীয় জনগনের যাতায়তে প্রতিনিয়ত পলিটেকনিক, মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী সড়ক, সাউদার্ন মেডিকেল, টেকনিক্যাল মোড, খুলশী কলোনী পর্যন্ত ব্যাটারী চালিত অটোরিকসা চলাচল করছে।  প্রায় ২৫০টি রিকসা থেকে দৈনিক ২৫ হাজার টাকা অবৈধ চাঁদা  উত্তোলন করছে। আর মাসে উঠছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। শামসু ওই নেতার হয়ে লাইনম্যান দিয়ে এসব টাকা উত্তোলন করে পুলিশসহ বিভিন্ন মহলে পাঠানো হচ্ছে বলে রিকসা চালকরা  জানিয়েছেন এছাড়া রিকসা চালকরা টাকা দিতে  দেরি হলে   রিকসা চালকদের মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে রিকসা আনতে পুলিশকে তিন হাজার টাকা দিতে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে রিকসাচালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানায়, আমরা সবাই কোন না কোন এলাকার ভোটার।আমরা নির্বাচনের সময় ভোটও দেই, আবার ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ইশারায় নির্যাতিতও হই।
নাম  প্রকাশ করার স্বার্থে স্থানীয় এক আ’লীগ নেতা মন্তব্য করে বলেন, এই চাঁদাবাজির কারণে আগামী নির্বাচনে বিশাল  প্রভাব পড়বে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাতদিন কষ্ট করে দেশের নিম্ম আয়ের মানুষগুলোর রুটি রুজির জন্য এত উন্নয়ন করে যাচ্ছেন অথচ এই ধরনের কিছু মুষ্টিমেয় নেতার জন্য তা মলিন হয়ে যাচ্ছে। ওই আ’লীগ নেতা আরো বলেন স্থানীয়  ১০ আসনের সাংসদ মহিউদ্দিন বাচ্চু বিষয়টির আইনত ব্যবস্থা নেবে আশা করছেন। এ বিষয়ে ৮ নং শুলক বহর ওয়ার্ডের কাউান্সিলর মো. মোরশেদ আলম বলেন, টাকা উত্তোলনের বিষয়ে সেটা আমি জানি। আমিতো ম্যাজিস্ট্রেট না, কিভাবে বন্ধ করবো। টাকা না দিলে এসব রিকসা কিভাবে চলবে। তারা টাকা দিয়ে চালাচ্ছে। টাকা না দিলে প্রশাসনের নাকের ডগায় এগুলো কিভাবে চলছে। এ বিষয়ে আমি মেয়র মহোয়কে দুইবার অভিযোগ করেছি এবং ডিসি ট্রাফিক শ্যামল দত্ত মহোদয়কেও চিঠি দিয়েছি। তারপর কেন কোন উদ্দেশ্যে বন্ধ হয়নি সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমার এ জোনটা অনেক আধুনিক জোন, মফস্বল জোন না। এখানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রযেছে। প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে, অটোরিকশা ও চাঁবাজির কারণে। শুধু ব্যাটারী চালিত রিকসা না চাঁদা দিয়ে এখানে গ্রাম সিএনজিও চলে।
খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুবেল খান বলেন, আমি এটার বিরুদ্ধে আছি। চাঁদাবাজির বিষয়ে আমি জানিনা। রিকসাগুলো অবৈধ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। এরা টাকা দিয়ে চালাচ্ছে। আর এগুলো ট্রাফিকের বিষয়। তারা চাইলে বন্ধ করতে পারে। কিন্তু তারা ধরে এগুলো টু করে। টু করার পর  ট্রাফিক বিভাগকে যে ফি দেয় সেটাকে চালকরা মনে করে পুলিশরকে টাকা দিচ্ছে। আসলে বিষয়টি পুরোটা ট্রাফিক বিভাগের। থানার না।