০১:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বৃষ্টি আর শীতে বিপর্যস্ত রামগঞ্জের জনজীবন

প্রতিনিধির নাম
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দুপুর থেকেই দমকা হাওয়ায় শুরু হাল্কা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার জনজীবন। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৪জানুয়ারী) উপজেলা শহর ও কয়েকটি ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো চায়ের দোকান আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে আলস সময় পার করতে। শহরের কর্মজীবী মানুষের মাঝে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
এবিষয়ে করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়া গ্রামের রিকশা চালক আব্দুল হালিম (৬০) বলেন, প্রায় ২০ বছর যাবত রিকসা চালাই। সকাল থেকে দুপুর মাত্র চল্লিশ কামাই করেছি। দুপুর থেকে বৃষ্টির কারনে রাস্তায় লোকজন নেই। তাই বসে বসে অলস সময় পার করছি।
একই এলাকার সিএনজি চালক মাসুদ আলম (৪৬) বলেন, সকাল থেকে শহরে যাত্রীর সংখ্যা কম। এ কারণে আমাদের রোজগারও অনেক কম। জুম্মার নামাজের পরপরই বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বৃষ্টি না হলে ভাল রোজগার করতে পারতাম।
করপাড়ার আন্দিরপাড় বাজারের আজম খান, হাবিব উল‍্যাহ ও লামচর বাজারের কুদ্দুস, আবুল বাশার সহ কয়েকজন চা দোকানি জানান, এভাবে বৃষ্টি থাকলে আমরা চা বিক্রেতারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়বো। কাষ্টমার নেই। যাও দু’একজন রয়েছে তারা বাকির আশায় বসে রয়েছেন।
পৌর শহরের ইজিবাইক চালক ফজল করিম, আজাদ, হারুনসহ অনেকে বলেন, প্রতিদিন বাজার স্টেশনে যাত্রীর চাপ থাকে। আজ বাজার স্টেশন দুপুর থেকে সন্ধা পযর্ন্ত বসে থেকেও যাত্রীর দেখা নাই।
রামগঞ্জ নিউমার্কেটের সামনে চা ও কনফেকশনারি দোকানী ডাক্তার (৬০) বলেন, বৃষ্টির কারনে দোকানে আগেরমতো ভীড় নেই। যাও কয়েকজন এসেছেন সবাই বসে বসে অলস সময় পার করছে। কেউ চা খাচ্ছেনা। তাই চা বিক্রি কমেছে। এভাবে বৃষ্টি নেমে থাকলে আমরা চা বিক্রেতারা পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়বো।
এছাড়াও দরবেশপুর ইউপির সমিতির বাজার, লামচর ইউপির লামচর বাজার, করপাড়ার শ‍্যামপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।
ট্যাগস :
আপডেট : ১০:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
৪৩০ বার পড়া হয়েছে

বৃষ্টি আর শীতে বিপর্যস্ত রামগঞ্জের জনজীবন

আপডেট : ১০:৪১:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দুপুর থেকেই দমকা হাওয়ায় শুরু হাল্কা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপজেলার জনজীবন। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর ও মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার (৪জানুয়ারী) উপজেলা শহর ও কয়েকটি ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো চায়ের দোকান আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে আলস সময় পার করতে। শহরের কর্মজীবী মানুষের মাঝে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
এবিষয়ে করপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম করপাড়া গ্রামের রিকশা চালক আব্দুল হালিম (৬০) বলেন, প্রায় ২০ বছর যাবত রিকসা চালাই। সকাল থেকে দুপুর মাত্র চল্লিশ কামাই করেছি। দুপুর থেকে বৃষ্টির কারনে রাস্তায় লোকজন নেই। তাই বসে বসে অলস সময় পার করছি।
একই এলাকার সিএনজি চালক মাসুদ আলম (৪৬) বলেন, সকাল থেকে শহরে যাত্রীর সংখ্যা কম। এ কারণে আমাদের রোজগারও অনেক কম। জুম্মার নামাজের পরপরই বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বৃষ্টি না হলে ভাল রোজগার করতে পারতাম।
করপাড়ার আন্দিরপাড় বাজারের আজম খান, হাবিব উল‍্যাহ ও লামচর বাজারের কুদ্দুস, আবুল বাশার সহ কয়েকজন চা দোকানি জানান, এভাবে বৃষ্টি থাকলে আমরা চা বিক্রেতারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়বো। কাষ্টমার নেই। যাও দু’একজন রয়েছে তারা বাকির আশায় বসে রয়েছেন।
পৌর শহরের ইজিবাইক চালক ফজল করিম, আজাদ, হারুনসহ অনেকে বলেন, প্রতিদিন বাজার স্টেশনে যাত্রীর চাপ থাকে। আজ বাজার স্টেশন দুপুর থেকে সন্ধা পযর্ন্ত বসে থেকেও যাত্রীর দেখা নাই।
রামগঞ্জ নিউমার্কেটের সামনে চা ও কনফেকশনারি দোকানী ডাক্তার (৬০) বলেন, বৃষ্টির কারনে দোকানে আগেরমতো ভীড় নেই। যাও কয়েকজন এসেছেন সবাই বসে বসে অলস সময় পার করছে। কেউ চা খাচ্ছেনা। তাই চা বিক্রি কমেছে। এভাবে বৃষ্টি নেমে থাকলে আমরা চা বিক্রেতারা পরিবার নিয়ে চরম বিপাকে পড়বো।
এছাড়াও দরবেশপুর ইউপির সমিতির বাজার, লামচর ইউপির লামচর বাজার, করপাড়ার শ‍্যামপুর বাজার সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে।