০২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

তারুয়া সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

প্রতিনিধির নাম

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বঙ্গোপসাগর মোহনার তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে ডলফিনটি ভেসে এসে বালুচরে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগের সদস্যরা পর্যবেক্ষণ শেষে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত ডলফিনটি সৈকতের এক পাশে বালিচাপা দেন। তবে কী কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি বন বিভাগ।

ভোলা বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে অর্ধগলিত ডলফিনের মৃতদেহটি তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে। এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বন বিভাগে খবর দেন। পরে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি আরও জানান, প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে বন কর্মীদের উপস্থিতিতে মৃত ডলফিনটি সৈকতে বালুচাপা দেওয়া হয়।

এদিকে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ও বন্য প্রাণী গবেষক সামিউল মেহেসানিন ই-মেইলের মাধ্যমে ডলফিনটির মৃতদেহের ছবি দেখে এটিকে ইরাবতী ডলফিন হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “গভীর সাগরে মাছ শিকাররত জেলেদের জালে আটকে প্রায়ই এভাবে ডলফিনের মৃত্যু হয়। পরে ভাসতে ভাসতে এসব ডলফিনের মৃতদেহ কোনো এক সৈকতের বালুচরে চলে যায়। আর এভাবেই দিন দিন বঙ্গোপসাগরে এর সংখ্যা কমে আসছে। তাই এ সম্পদ রক্ষা করা না গেলে সামুদ্রিক পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।”

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৮৯ বার পড়া হয়েছে

তারুয়া সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

আপডেট : ১২:০৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বঙ্গোপসাগর মোহনার তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে ডলফিনটি ভেসে এসে বালুচরে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগের সদস্যরা পর্যবেক্ষণ শেষে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত ডলফিনটি সৈকতের এক পাশে বালিচাপা দেন। তবে কী কারণে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি বন বিভাগ।

ভোলা বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে অর্ধগলিত ডলফিনের মৃতদেহটি তারুয়া সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসে। এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে বন বিভাগে খবর দেন। পরে বন বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি আরও জানান, প্রায় সাড়ে চার ফুট লম্বা ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে বন কর্মীদের উপস্থিতিতে মৃত ডলফিনটি সৈকতে বালুচাপা দেওয়া হয়।

এদিকে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কো-অর্ডিনেটর ও বন্য প্রাণী গবেষক সামিউল মেহেসানিন ই-মেইলের মাধ্যমে ডলফিনটির মৃতদেহের ছবি দেখে এটিকে ইরাবতী ডলফিন হিসেবে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “গভীর সাগরে মাছ শিকাররত জেলেদের জালে আটকে প্রায়ই এভাবে ডলফিনের মৃত্যু হয়। পরে ভাসতে ভাসতে এসব ডলফিনের মৃতদেহ কোনো এক সৈকতের বালুচরে চলে যায়। আর এভাবেই দিন দিন বঙ্গোপসাগরে এর সংখ্যা কমে আসছে। তাই এ সম্পদ রক্ষা করা না গেলে সামুদ্রিক পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।”