০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
দুর্গাপুরে বিজয়পুর স্থলবন্দর চালু এখন সময়ের দাবী

প্রতিনিধির নাম
পর্যাপ্ত অবকাঠামো থাকার পরও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিজয়পুর স্থলবন্দর। এক সময় এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কয়লা আমদানী করা হলেও ২০১৬ সনে ভারতের পরিবেশবাদী সংগঠনের করা মামলায় তা বন্ধ হয়ে যায়। স্থলবন্দর বন্দ থাকায় অত্র এলাকার ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ভারতের ব্যবসায়ীদের কাছে পড়ে থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দর পরিদর্শন করে দেখাগেছে, প্রায় ৫ বছর ধরে স্থলবন্দরটি বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে আমদানী কারকদের অফিসের আসবাবপত্র। ওই বন্দরে কর্মরত অনেক কয়লা শ্রমিকগন বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের দাবী আমরা সীমান্ত এলাকার থেটে খাওয়া মানুষ, আইনী জটিলতার কারনে আমরা অতি কষ্টে জীবন-যাপন করছি। এক সময় এই বন্দর দিয়ে কয়লা ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য আমাদানি হতো। কিন্তু ভারতীয় অংশে উন্মুক্ত কয়লা তোলার বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা মামলা করায় তা বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরটি পুনরায় চালু হলে দু‘দেশই অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করবে।
ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার এর প্রচেষ্টায় দুর্গাপুর এলাকার কয়লা ব্যবসায়ীন এবং ওই এলাকার আদিবাসী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা সহ ভারতের রপ্তানী কারকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে যাচ্ছেন। এতে নতুন করে বন্দরটি চালুর সম্ভাবনাও রয়েছে। বন্দরটি পুনরায় চালু হলে স্থানীয়ভাবে অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ মানুষের জীবিকায় নতুন সম্ভাবনা যুক্ত হবে। সেই সঙ্গে অল্প সময়ে সারাদেশে কয়লা, পাথরসহ কমপ ১৮টি পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে।
বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন, ভারতের করা মামলায় আটকে গেছে কয়লা আমদানী। আমাদের দেশের কম করে হলেও ২৫টি অফিস ও তার আসবাবপত্র নষ্ট হচ্ছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের বহু টাকা ভারতে আটকা পড়ে আছে। এ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। আমাদের বর্ডার দিয়ে কোন সমস্যা নাই, আশা করছি এবার চালু হতে পারে।
এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে কয়লা আমদানী করতে কোন সমস্যা নাই। ভারতের আইনী জটিলতার কারনে তা বন্ধ রয়েছে। বিগত সময়ে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই দেশের প্রশাসনের কাছে পত্র প্রেরণও করা হয়েছে, ইতোমধ্যে বন্দর চালুর বিষয়ে নানা বৈঠকও অব্যহত রয়েছে, আশা করছি এবছরই বন্দর চালু হতে পারে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার বলেন, ভারতের পরিবেশবাদীদের করা মামলার বিষয় সহ অন্যান্য নানা বিষয়ে বিগত সময়ে ভারতের শিলং এ দু‘দেশের জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন সভা করেছেন। বিজয়পুর সীমান্তের বন্দরটির গুরুত্ব তুলে ধরে ইতোমধ্যে দু‘দেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করেছি। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে আমাদের আশ্বাসও দিয়েছেন। অচিরেই মামলা জটিলতা নিরসন করে পুনরায় বন্দরটি চালু হবে বলে আমি আশাবাদী।
ট্যাগস :