দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর মৎস্য বন্দর মহিপুর আলিপুর এর প্রবেশ পথ শিববাড়িয়া নদীটি এখন খাল

নৌ-যান চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দ্রুত খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাজারো জেলে, ট্রলার মালিক, শ্রমিক ও মহিপুর আলীপুরের মৎস্য আড়ৎ মালিকেরা। তাদের প্রাণের দাবি দ্রুত নদীটি খনোনের। এ বিষয়ে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
গতকাল শনিবার (২রা আগস্ট) বিকেলে শেখ রাসেল সেতুর উপর এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি মোঃ দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: রাজু আহম্মেদ রাজা, মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফজলু গাজী, মহিপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব হাওলাদার, মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রেজা, অর্থ সম্পাদক সুমন দাস সহ প্রায় সহস্রাধিক জেলে, শ্রমিক এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি হাজী দিদার উদ্দিন আহমেদ মাসুম বেপারী বলেন, একসময় জোয়ারভাটার কলকল স্রোতে বয়ে যাওয়া নদী এখন খালে পরিণত হয়েছে। এপার থেকে ওপার সাঁতার কাটতে ভয় হতো। এখন যে কেউ সাঁতরে যেতে পারে ওপারে। এক পাড় থেকে ঢিল ছুড়ে ওপর পাড়ে নিতে পারে কিশোররাও। আমি এটি দ্রুত খননের দাবী জানাই সরকারের কাছে।
পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী-মহিপুর এবং ধুলাসার-ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খাপড়াভাঙ্গা নদী এটি। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে মরে যাচ্ছে নদীটি। নদী নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। দুপাশ দখলদারের দখলে। অন্যদিকে ময়লা আবর্জনা ফেলায় নদীটি এখন অস্তিত্ব সংকটে।
এসময় বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী ও মহিপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফজলু গাজী বলেন, এ নদীটি পুরোপুরি মরে গেলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের জেলেরা। বৈরী আবহাওয়ার সংকেত পেয়ে গভীর সমুদ্র থেকে জেলেরা নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন না। এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ীরা পড়বে বিপাকে। মৎস্য বন্দর আলীপুর, মহিপুর, কুয়াকাটার অন্যান্য ব্যবসায়ীরা পারবেনা নৌপথে খুলনা, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল থেকে মালামাল আনতে। এখন শেষ ভাটায় মালবাহী ট্রলার, স্টিমার ও মাছ ধরার বড় ট্রলার নদীতে প্রবেশ করতে পারে না। জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় সমুদ্র মোহনায়।