০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

নীলফামারীর ৬ উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসূচিতে সাড়ে ১৩ হাজার শ্রমিক

প্রতিনিধির নাম
জেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় প্রথম পর্যায় ছয় উপজেলায় ১৩ হাজার ৫ শত ৫১ জন সুফলভোগী গ্রামের বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত  রয়েছেন।
এর মধ্যে নীলফামারী সদরে তিনহাজার ৩শত ৬৫ জন, ডোমারে দুই হাজার ১শত ২জন, ডিমলায় দুই হাজার ৪ শত ৯৯জন, জলঢাকায় দুই হাজার ৬শত ৪৫জন, কিশোরগঞ্জে এক হাজার ৭শত ২৩জন ও সৈয়দপুর উপজেলায় এক হাজার ২শত ১৭ জন।
নীলফামারী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, জেলা সদরের ১৫ ইউনিয়নে তিন হাজার ৩শত ৬৫ জন অতিদরিদ্র কাজ করছেন। এর মধ্যে চওড়া বড়গাছায় ২শত ৫৯ জন, গোড়গ্রামে ২শত ৫১, খোকশাবাড়ী ২শত ২২, পলাশবাড়ীতে ১শত ৯৯, টুপামারী ২শত ৪৪, রামনগর ২শত ৫, কচুকাটা ২শত ১১, পঞ্চপুকুর ১শত ৮৫, ইটাখোলা ২শত ১৭, কুন্দুপুকুর ২শত ৬৩, সোনারায় ২শত ৫১, সংগলশী ১শত ৯৩, চড়াইখোলা ২শত ৪৬, চাপড়াসরমজানী ২শত ২৬, লক্ষিচাপ ইউনিয়নে ১শত ৯৩ জন।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় কাজ করে আসছে, এতে একদিকে যেমন গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, তেমনি সুফলভোগীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম শাহ জানান, এই ইউনিয়নে অতিদরিদ্র মানুষ ৪০ দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তারা প্রত্যেকে প্রতিদিন চারশত টাকা হারে ৪০ দিনে ১৬ হাজার টাকা উপার্জন করবেন। এই কর্মসূচির আওতায় ওই পরিবার গুলো লাভবান হবে ও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের সুফলভোগী আবু বক্কর সিদ্দিক আবু বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে নানা রোগে শোকে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় পড়ে আছি। এবার হামার চেয়ারম্যান আমার বউয়ের (স্ত্রীর) নামটা মাটি কাটার তালিকায় দিয়া ভালই করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আবু বলেন, বহুদিন থাকি ভালমন্দ খাওয়াতো দূরের কথা, শরীরের চিকিৎসা দিবারও টাকা হাতে নাই। হামারলার জন্যে সরকার ভালই করছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের ইজিপিপি কর্মসূচিতে কাচাঁ সড়কে মাটির কাজে জেলার ছয় উপজেলায় ১৩ হাজার ৫শত৫১জন অতি দরিদ্র (সুফলভোগী) এই কাজের সুযোগ পেয়েছে। তারা প্রতিদিন চারশত টাকা করে ৪০ দিনে মোট ১৬ হাজার টাকা পাবে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তাসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এজন্য জেলার অতিদরিদ্র, মৌসুমী বেকার, শ্রমিক পরিবারের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ত্রান ও পূনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের সহযোগীতায় এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ইজিপিপি কর্মসূচির মাটি কাটা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
১৪৩ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারীর ৬ উপজেলায় ৪০ দিনের কর্মসূচিতে সাড়ে ১৩ হাজার শ্রমিক

আপডেট : ০৩:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২
জেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় প্রথম পর্যায় ছয় উপজেলায় ১৩ হাজার ৫ শত ৫১ জন সুফলভোগী গ্রামের বিভিন্ন রাস্তাঘাট উন্নয়নে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত  রয়েছেন।
এর মধ্যে নীলফামারী সদরে তিনহাজার ৩শত ৬৫ জন, ডোমারে দুই হাজার ১শত ২জন, ডিমলায় দুই হাজার ৪ শত ৯৯জন, জলঢাকায় দুই হাজার ৬শত ৪৫জন, কিশোরগঞ্জে এক হাজার ৭শত ২৩জন ও সৈয়দপুর উপজেলায় এক হাজার ২শত ১৭ জন।
নীলফামারী সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বলেন, জেলা সদরের ১৫ ইউনিয়নে তিন হাজার ৩শত ৬৫ জন অতিদরিদ্র কাজ করছেন। এর মধ্যে চওড়া বড়গাছায় ২শত ৫৯ জন, গোড়গ্রামে ২শত ৫১, খোকশাবাড়ী ২শত ২২, পলাশবাড়ীতে ১শত ৯৯, টুপামারী ২শত ৪৪, রামনগর ২শত ৫, কচুকাটা ২শত ১১, পঞ্চপুকুর ১শত ৮৫, ইটাখোলা ২শত ১৭, কুন্দুপুকুর ২শত ৬৩, সোনারায় ২শত ৫১, সংগলশী ১শত ৯৩, চড়াইখোলা ২শত ৪৬, চাপড়াসরমজানী ২শত ২৬, লক্ষিচাপ ইউনিয়নে ১শত ৯৩ জন।
তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় কাজ করে আসছে, এতে একদিকে যেমন গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হচ্ছে, তেমনি সুফলভোগীরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম শাহ জানান, এই ইউনিয়নে অতিদরিদ্র মানুষ ৪০ দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তারা প্রত্যেকে প্রতিদিন চারশত টাকা হারে ৪০ দিনে ১৬ হাজার টাকা উপার্জন করবেন। এই কর্মসূচির আওতায় ওই পরিবার গুলো লাভবান হবে ও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।
রামনগর ইউনিয়নের বাহালী পাড়া গ্রামের সুফলভোগী আবু বক্কর সিদ্দিক আবু বলেন, প্রায় পাঁচ বছর ধরে নানা রোগে শোকে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় পড়ে আছি। এবার হামার চেয়ারম্যান আমার বউয়ের (স্ত্রীর) নামটা মাটি কাটার তালিকায় দিয়া ভালই করছেন। এক প্রশ্নের জবাবে আবু বলেন, বহুদিন থাকি ভালমন্দ খাওয়াতো দূরের কথা, শরীরের চিকিৎসা দিবারও টাকা হাতে নাই। হামারলার জন্যে সরকার ভালই করছে।
২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রথম পর্যায়ে ৪০ দিনের ইজিপিপি কর্মসূচিতে কাচাঁ সড়কে মাটির কাজে জেলার ছয় উপজেলায় ১৩ হাজার ৫শত৫১জন অতি দরিদ্র (সুফলভোগী) এই কাজের সুযোগ পেয়েছে। তারা প্রতিদিন চারশত টাকা করে ৪০ দিনে মোট ১৬ হাজার টাকা পাবে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তাসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এজন্য জেলার অতিদরিদ্র, মৌসুমী বেকার, শ্রমিক পরিবারের জন্য এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ত্রান ও পূনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের সহযোগীতায় এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ বছর ইজিপিপি কর্মসূচির মাটি কাটা শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিং রকেট এর মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।