০১:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

নৌ কমান্ডোর রহস্য জনক মৃত্যু;জানা জায়নি মৃত্যুর সঠিক কারন, দাফন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়

প্রতিনিধির নাম

রহস্য জনক ভাবে একজন সৎ নিষ্ঠাবান মোঃ জাহিদ ইসলাম রিয়াজ( ২৬ ) নৌবাহিনীর কমান্ডো ব্যাচ ২০১৭ এবি ( এনসিটি ৩) স্পেশাল ফোর্স এর আকষ্মিক মৃত্যু হয়েছে। মোঃ জাহিদ ইসলাম রিয়াজ ( নৌ কমান্ডো )পিতা- ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাফর আহমেদ,গ্রামঃ দিঘলী,থানা চন্দ্রগঞ্জ, জেলাঃ লক্ষীপুর।দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সাবার বড় দ্বিতীয় হলো বোন এবং সবার ছোট এক ভাই যার বয়স প্রায় ৯ বছর। পরিবার সূত্রে জানাযায় ঘটার দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মা ও অন্যান্যদের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা হয়। মাকে বলেন মা এবার ছুটিতে বাড়ি আসলে আমাকে আপনারা দেখে শুনে বিয়ে করাবেন মা বাবার পছন্দের বাহিরে বিয়ে করবোনা এবং আমাদের ঘরের কাজ গুলো যখন যা করানোর প্রয়োজন হয় করাতে থাকেন আমি মাস শেষে বেতন পেলে বেতনের টাকা পাঠালে মানুষের কাজের টাকা দিয়ে দিবেন।তার বাবাকে বলে ছিলেন বাবা আমাদের ঘরের জন্য কিছু ফার্নিচার বানাইতে দেন বেতন পেলে আমি আস্তে আস্তে টাকা দিয়ে দিবো।সকল জল্পনা কল্পনার মোড় ঘুরে যায় বৃহস্পতীবার  ০৬ জানুয়ারী ২০২২ং দিবাগত রাত মৃত্যুর পর রাত ১০টার দিকে। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।যেখানে নৌবাহিনীর অন্যান্য কমান্ডো সদস্যরা তাদের ডিউটি শেষে অবস্থান করে থাকেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি যে কেপ্টেন এর দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন সে কেপ্টেন কে রাতে স্পিডবোটে নদীর ওপারে এগিয়ে দিয়ে আসতে গিয়েছিলেন মৃত জাহিদ ইসলাম রিয়াজ ও তার সাথের একজন সহকর্মী।আসার পথে কিছুক্ষণ পরে তাদের কেপ্টেন এর কাছে ফোন যায় স্যার আমরা বিপদে আছি আমাদের বাঁচান। আমাদের খুব বিপদ আমরা খুব বিপদে আছি।এ বলে ফোনটি কেটে যায়।খবর শুনে ঘটনার স্থলে ছুটে যান নৌবাহিনীর উদ্ধার কর্মীরা ঘটনার স্থলে গিয়ে মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ ও তার সাথের বন্ধুকে উদ্ধার করে বানৌজা পতেঙ্গা নৌবাহিনীর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক তখনকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ কে মৃত দেখতে পায় এবং সাথের বন্ধুকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখে জরুরী ভিত্তিতে আইসিইউতে প্রেরণ করেন ।মৃত্যুর খবরটি জাহিদ ইসলাম রিয়াজ এর চাচা ( নৌ অবঃ ) কে জানানো হলে তিনি তার স্ত্রী ও ছেলে ছুটে যান হাস পাতালে।সেখানে গিয়ে তারা তাদের বাতিজার তরতাজা মরদেহ দেখতে পান।তারা আকস্মিক মৃত্যু সইতে না পেরে লাশের দেহ ভালো করে দেখেন। তখন তারা মৃতের শরীরে কোনা দাগ বা কোনো প্রকারের বা স্পট দেখতে পাননি।কিন্তু ০৬ জানুয়ারী ২০২২ং দিবাগত রাত মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন সুত্র মতে পরিবারকে জানানো হয়ে ছিলো ইলেক্ট্রিকসকে মারা গিয়েছে জাহিদ।পরবর্তীতে পরিবারের এবং নৌ ডিপার্টমেন্ট এর অনুমতি নিয়ে করা হলো পোস্টমর্টেম। মৃতের লাস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চট্রগ্রাম নৌবাহিনীর প্যারেড স্কয়ারে প্রথম জানাযা দেওয়া হয়।জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নৌবাহিনীর সামরিক সদস্যরা সহ এম্বুলেন্স ও গাড়ির বহর যোগে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্ণীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলীতে নিয়ে আসলে সেখানে হৃদয় বিদারক শোকের মাতম শোকাহতের শোকে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়।পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃতের মরদেহের কফিন বুজিয়ে দেওয়া হয়। সাথে তার ব্যহারিক পুরনো কিছু জামা কপড় ও সাথে থাকা একত্রিশ হাজার টাকা বুজিয়ে দেওয়া হয়।সাথে দুই টা মোবাইল ফোন ছিলো একটা এন্ডোয়েটে এরং একটি বাটম মোবাইল।এন্ডোয়েটে মোবাইল পরিবারকে দাপনের দিন দিয়ে পরের দিন পূনঃরায় পরের দিন পেরত নিয়ে গেছে তদন্তের সার্থে। আর বাটম মোইলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। পূনরায় রাষ্ট্রীয়ভাবে নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পরিবারি কবরস্থানে দাপন করা হয়।এবং মৃত্যুর সম্ভাব্য কারন হিসেবে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলেছিলেন বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মার গিয়েছেন তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর সঠিক কারন জানা যাবে। আনুমানিক দশ দিন পর পোস্টমর্টেম এর রিপোর্ট বের হলে পরিবাকে জানানো হয় যে এটি ইলেক্ট্রিকসখ নয়। তবে তদন্তের কারনে আপাতত বলা যাচেছনা। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক তথ্য কি কারন এখনো যানা যায়নি।পরিবারের কেউই এখনো  সঠিক বিষয়টি যানেননা আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন কি।রাষ্ট্র হারিয়েছে একজন নৌ কমান্ডোকে আর একজন বাবা মা হিারিয়েছেন তার উটতি বয়সি নাড়িছেড়া গর্ভের সন্তানকে।সু শিক্ষায় শিক্ষীত যে ছেলে পরিবারের হাল ধরবে সে ছেলের অকাল মৃত্যুতে এখন নিস্তব্ধ বাকরুদ্ধ পুরো পরিবার।পরিবারের মা বাবা, ভাই বোন ও আত্নীয় স্বজন প্রােনের দাবি জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর প্রধান ও সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননী প্রধান মন্ত্রী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানে স্নেময়ী কন্যা শেখ হাসিনা সবার  কান্না জড়িত কন্ঠে অনুরোধ জানিয়েছেন যে সঠিক তদন্ত করে আসল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য। প্রশ্ন মৃত্যুর সঠিক কারন কি ? কিইবা ছিলো অপরাধ ?

ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২
১৪৫ বার পড়া হয়েছে

নৌ কমান্ডোর রহস্য জনক মৃত্যু;জানা জায়নি মৃত্যুর সঠিক কারন, দাফন হয়েছে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়

আপডেট : ০৬:৪২:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২২

রহস্য জনক ভাবে একজন সৎ নিষ্ঠাবান মোঃ জাহিদ ইসলাম রিয়াজ( ২৬ ) নৌবাহিনীর কমান্ডো ব্যাচ ২০১৭ এবি ( এনসিটি ৩) স্পেশাল ফোর্স এর আকষ্মিক মৃত্যু হয়েছে। মোঃ জাহিদ ইসলাম রিয়াজ ( নৌ কমান্ডো )পিতা- ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাফর আহমেদ,গ্রামঃ দিঘলী,থানা চন্দ্রগঞ্জ, জেলাঃ লক্ষীপুর।দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সাবার বড় দ্বিতীয় হলো বোন এবং সবার ছোট এক ভাই যার বয়স প্রায় ৯ বছর। পরিবার সূত্রে জানাযায় ঘটার দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মা ও অন্যান্যদের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই কথাবার্তা হয়। মাকে বলেন মা এবার ছুটিতে বাড়ি আসলে আমাকে আপনারা দেখে শুনে বিয়ে করাবেন মা বাবার পছন্দের বাহিরে বিয়ে করবোনা এবং আমাদের ঘরের কাজ গুলো যখন যা করানোর প্রয়োজন হয় করাতে থাকেন আমি মাস শেষে বেতন পেলে বেতনের টাকা পাঠালে মানুষের কাজের টাকা দিয়ে দিবেন।তার বাবাকে বলে ছিলেন বাবা আমাদের ঘরের জন্য কিছু ফার্নিচার বানাইতে দেন বেতন পেলে আমি আস্তে আস্তে টাকা দিয়ে দিবো।সকল জল্পনা কল্পনার মোড় ঘুরে যায় বৃহস্পতীবার  ০৬ জানুয়ারী ২০২২ং দিবাগত রাত মৃত্যুর পর রাত ১০টার দিকে। ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।যেখানে নৌবাহিনীর অন্যান্য কমান্ডো সদস্যরা তাদের ডিউটি শেষে অবস্থান করে থাকেন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি যে কেপ্টেন এর দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন সে কেপ্টেন কে রাতে স্পিডবোটে নদীর ওপারে এগিয়ে দিয়ে আসতে গিয়েছিলেন মৃত জাহিদ ইসলাম রিয়াজ ও তার সাথের একজন সহকর্মী।আসার পথে কিছুক্ষণ পরে তাদের কেপ্টেন এর কাছে ফোন যায় স্যার আমরা বিপদে আছি আমাদের বাঁচান। আমাদের খুব বিপদ আমরা খুব বিপদে আছি।এ বলে ফোনটি কেটে যায়।খবর শুনে ঘটনার স্থলে ছুটে যান নৌবাহিনীর উদ্ধার কর্মীরা ঘটনার স্থলে গিয়ে মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ ও তার সাথের বন্ধুকে উদ্ধার করে বানৌজা পতেঙ্গা নৌবাহিনীর হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তাৎক্ষণিক তখনকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম রিয়াজ কে মৃত দেখতে পায় এবং সাথের বন্ধুকে মুমুর্ষ অবস্থায় দেখে জরুরী ভিত্তিতে আইসিইউতে প্রেরণ করেন ।মৃত্যুর খবরটি জাহিদ ইসলাম রিয়াজ এর চাচা ( নৌ অবঃ ) কে জানানো হলে তিনি তার স্ত্রী ও ছেলে ছুটে যান হাস পাতালে।সেখানে গিয়ে তারা তাদের বাতিজার তরতাজা মরদেহ দেখতে পান।তারা আকস্মিক মৃত্যু সইতে না পেরে লাশের দেহ ভালো করে দেখেন। তখন তারা মৃতের শরীরে কোনা দাগ বা কোনো প্রকারের বা স্পট দেখতে পাননি।কিন্তু ০৬ জানুয়ারী ২০২২ং দিবাগত রাত মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন সুত্র মতে পরিবারকে জানানো হয়ে ছিলো ইলেক্ট্রিকসকে মারা গিয়েছে জাহিদ।পরবর্তীতে পরিবারের এবং নৌ ডিপার্টমেন্ট এর অনুমতি নিয়ে করা হলো পোস্টমর্টেম। মৃতের লাস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চট্রগ্রাম নৌবাহিনীর প্যারেড স্কয়ারে প্রথম জানাযা দেওয়া হয়।জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নৌবাহিনীর সামরিক সদস্যরা সহ এম্বুলেন্স ও গাড়ির বহর যোগে তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্ণীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলীতে নিয়ে আসলে সেখানে হৃদয় বিদারক শোকের মাতম শোকাহতের শোকে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যায়।পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃতের মরদেহের কফিন বুজিয়ে দেওয়া হয়। সাথে তার ব্যহারিক পুরনো কিছু জামা কপড় ও সাথে থাকা একত্রিশ হাজার টাকা বুজিয়ে দেওয়া হয়।সাথে দুই টা মোবাইল ফোন ছিলো একটা এন্ডোয়েটে এরং একটি বাটম মোবাইল।এন্ডোয়েটে মোবাইল পরিবারকে দাপনের দিন দিয়ে পরের দিন পূনঃরায় পরের দিন পেরত নিয়ে গেছে তদন্তের সার্থে। আর বাটম মোইলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। পূনরায় রাষ্ট্রীয়ভাবে নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পরিবারি কবরস্থানে দাপন করা হয়।এবং মৃত্যুর সম্ভাব্য কারন হিসেবে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলেছিলেন বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মার গিয়েছেন তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর সঠিক কারন জানা যাবে। আনুমানিক দশ দিন পর পোস্টমর্টেম এর রিপোর্ট বের হলে পরিবাকে জানানো হয় যে এটি ইলেক্ট্রিকসখ নয়। তবে তদন্তের কারনে আপাতত বলা যাচেছনা। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক তথ্য কি কারন এখনো যানা যায়নি।পরিবারের কেউই এখনো  সঠিক বিষয়টি যানেননা আসলে মৃত্যুর সঠিক কারন কি।রাষ্ট্র হারিয়েছে একজন নৌ কমান্ডোকে আর একজন বাবা মা হিারিয়েছেন তার উটতি বয়সি নাড়িছেড়া গর্ভের সন্তানকে।সু শিক্ষায় শিক্ষীত যে ছেলে পরিবারের হাল ধরবে সে ছেলের অকাল মৃত্যুতে এখন নিস্তব্ধ বাকরুদ্ধ পুরো পরিবার।পরিবারের মা বাবা, ভাই বোন ও আত্নীয় স্বজন প্রােনের দাবি জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর প্রধান ও সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননী প্রধান মন্ত্রী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানে স্নেময়ী কন্যা শেখ হাসিনা সবার  কান্না জড়িত কন্ঠে অনুরোধ জানিয়েছেন যে সঠিক তদন্ত করে আসল অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য। প্রশ্ন মৃত্যুর সঠিক কারন কি ? কিইবা ছিলো অপরাধ ?