পতেঙ্গা পর্যটক যেন নয় দ্বিতীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প,দর্শনার্থী শূন্যের পথে

টাকা দিলেই মিলে সমুদ্রে পাড় ক্রয়,এভাবেই বিক্রি হচ্ছে সৈকতের অংশ।
অপরূ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সী-বিচ রয়েছে কোচক্র মহল। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার ভয়।
বন্দর নগরি চট্টগ্রামে যতগুলো পর্যটকের স্পট রয়েছে উন্নত মানের দর্শনার্থীদের মন জুড়ানো পর্যটক হচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সী-বিচ।
পর্যটকে শুরুতেই বিভিন্ন বৃক্ষ ফুল দিয়ে সাজানো হলেও একটি মহলে ধ্বংস করে দিয়েছে লক্ষ টাকার ফুলের বাগান, কেটে ফেলেছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষগুলো।
যেখানে পরিবেশ রক্ষার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মানুষকে সচেতন করছেন, বার্তা দিচ্ছেন বৃক্ষ রোপন করতে, গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান। পরিবেশের প্রত্যেকটি উপাদান একে অন্যর উপর নির্ভরশীল।
সৈকতে যেখানে গাছের চারা থাকার কথা সেখানে এখন গাছ কেটে বাঁশ রোপন করেছেন,দিনের পর দিন উন্নত হচ্ছে অবৈধ ভাসমান হকারদের স্থাপনার।
শত কোটি টাকা খরচ করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে দর্শনার্থীতে পতেঙ্গা সী-বিচ এলাকা জমজমাট হয়ে ওঠে।
তবে অযত্ন আর অবহেলায় আবারো পর্যটক হারাতে বসেছে এ চট্টগ্রামের সৈকত।
দীর্ঘদিনের অভিযোগ আছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় পতেঙ্গা সৈকত সী-বিচ এসব অবৈধ স্থাপনা বসিয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা। তথ্য বলছেন নতুন করে স্থাপনা করতে দুই গ্রুপ’কে মোটা অংকের একটি অংশ দিতে হয় ৫০০০-১০’০০০ হাজার টাকা।
এখান থেকে চাঁদা তোলে দুটি গ্রুপ,
এর মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন ‘পতেঙ্গা সৈকত হকার্স ও ক্যামেরাম্যান শ্রমজীবী সমবায় সমিতি’র নামে নুর মোহাম্মদ ও মাসুদ করিম,জেনাটার মঞ্জু ও শাহাবুদ্দিন।
একইসঙ্গে ‘পতেঙ্গা সৈকত দোকান মালিক সমিতি’র নামে চাঁদা তোলেন ওয়াহিদুল আলম ওরফে ওয়াহিদ মাস্টার এবং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাইনুল ইসলাম ও তাজু।
এছাড়া জেনেটার ‘লাইট ব্যবসার আড়ালে মঞ্জু নামে’র এক ব্যক্তি প্রতিজন পায়ে হাটা হকারদের কাছ থেকে দৈনিক ৩০-৫০ টাকা চাঁদা আদায় করেন ।
সৈকতের মধ্যে অবৈধ দোকানপাট ও যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে আবারো আগের রূপে ফিরে যাচ্ছে পতেঙ্গা সৈকত সী-বিচ । তাই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে আমাদের যাবতীয় কার্যাদি সম্পূর্ণ করা প্রয়োজন।
সৈকতের অবৈধ দোকান ব্যাঙের ছাতার কারণে সাগরই দেখতে পাচ্ছে না পর্যটক দর্শনার্থী ।
অযত্ন আর অবহেলার কারণে গত পাঁচ বছর আগেও দর্শনার্থী শূন্য হয়ে পড়েছিল পতেঙ্গা সৈকত।
তবে সিডিএ সৈকত সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেয়ার পর দর্শনার্থী বাড়তে শুরু করে ।
সমুদ্রের ঢেউয়ের আদলে তিন স্তরে করা হয়েছে সী-বিচ এর পাড়ের ডিজাইন। সাজানো হয়েছে রংবেরঙের ফুল ও বৃক্ষ রোপন করে,
তৈরি করা হয়েছে ওয়াকওয়ে, লিংক রোড ও কিডস জোন এখনো চলমান প্রজেক্ট।
গত ২৮ অক্টোবর কয়েকদিন আগে চালু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
সব মিলিয়ে নবরূপে সেজেছে পতেঙ্গা সৈকত সী-বিচ । যে রূপে আকৃষ্ট হয়ে সেই দর্শনার্থী শূন্য পতেঙ্গা সৈকত আবারো মুখরিত হয়ে ওঠে পর্যটকদের পদচারণায় ।
চট্টগ্রামের শরিফ ভূঁইয়া নামে”র পর্যটক সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রকাশ করে জানান
যেখানে ফুরা পতেঙ্গা ব্যাবসায়ীদের দখলে ‘সেখানে নাগর দোলনা আর কিছু না? সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ফুল গাছ লাগিয়েছে আর এখন সেখানে শত শত ফুসকার দোকান আর চেয়ার আর চেয়ার আপনি ক্লান্ত শরিল এ বস্তে যাবেন? তাও পারবেন না কারন সেখানে চেয়ার আর চেয়ার আমি বিশ্রাম করতে গেলে চেয়ারে বস্তে হবে? আপনি একটু খালি জাইগা পাবেন না বসার জন্য, বস্তে হলে আপনাকে ওদের চেয়ার এ বস্তে হবে , আর প্রশাসন’ত টাকার কাছে বিক্রি হই গেছে ওদের কে আর কি বলবেন? দিন শেষে ওনাদের ভাগ ওনারা টিক এ পাই যাই।’
সৈকতে যেখানে দর্শনার্থী পদচারণের কথা ‘সে স্থানগুলো এখন শত নাগর দোলনা ও পর্যটক ইজিবাইক, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হারাতে পারে জীবন,কোথাও হাঁটার একটু জায়গা নেই। চলাচল রাস্তায় করেছেন প্রতিবন্ধী গীতা।
গত ৩ নভেম্বর বিকাল ৪ টার সময় অদক্ষ চালকের কারণে একটি পর্যটক ইজিবাইক উল্টে এক্সিডেন্ট করে, আহত হয় দুই দর্শনার্থী সহ চালক জসিম। দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার প্রতিনিধি খোঁজ নিয়ে জানা যায় এসব পর্যটক ইজিবাই ও ঘোড়া নিয়ন্ত্রণ নামে’র ডিলার ইকবাল, এক্সিডেন্টের কথা জিজ্ঞাস করলে সত্য বলে স্বীকার করেন।
সৈকতে স্পিড ‘বোট গুলোর আরেক সিন্ডিকেট দর্শনার্থীদের একবার বুটে ওটাতে পারলেই আনন্দের নামে হয়রানি নেন ২০০-৩০০ টাকা, দেখার যেন কেউ নেই। এসব স্পিডবোটের নেতৃত্ব রয়েছেন সিন্ডিকেট নামে’র সৈকত স্পীড বোট মালিক সমবায় সমিতি।
বাংলাদেশ সমাচার প্রতিবেদক অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে। পতেঙ্গা সৈকত স্পিড বোট মালিক সমবায় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুসা আলম বলেন। স্পিড বোটে’র ভাড়া প্রতিজন টুরিস্ট আগে নেয়া হতো ৫০, এখন তেল পার্টস সবকিছু দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারণে টিকিটের মাধ্যমে ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে পর্যটক হয়রানির বিষয়ে অস্বীকার করেন। কোন দর্শনার্থী অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
তবে আবারো অযত্ন আর অবহেলায় পর্যটক হারানোর পথে এ সৈকত। উপভোগের আগেই ম্লান হতে বসেছে শত কোটি টাকার সৌন্দর্য সী-বিচ।
সৈকত পাড়ে শত কোটি টাকা ব্যয়ে যে নির্মাণ কাজ চলছে তা শেষ হতে না হতেই ‘কিডস জোন’ দখলে নিয়ে নিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ হকাররা। দু’পাশ ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে শত শত ভ্ৰাম্যমাণ হকার দোকান যা এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দর্শনার্থীদের কাছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় শিশুদের জন্য নির্মাণাধীন কিডস জোন’র জায়গা দখলে নিয়ে স্থায়ী দোকান বসিয়েছে হকাররা।এখানে খাবার থেকে শুরু করে জামা-কাপড় ও রকমারি পণ্যের দোকান। অন্যদিকে পর্যটকদের অভিযোগের প্রসঙ্গে দোকানিদের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করলে পণ্যের দাম এত বেশি নিচ্ছেন কেন? দোকানিরা স্বীকার করে বলেন এখানে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করছি।
সৈকত পাড়েন সৌন্দর্য রক্ষায় ময়লা ফেললে হাজার টাকা জরিমানা উল্লেখ করে সাইনবোর্ড বসিয়েছে সিডিএ। তবে এই সাইন বোর্ডের পাশেই কিছু ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানিকে দেখা যায় খাবার বিক্রি করতে ।
এ ছাড়া সী-বিচ ঘোড়া মালিকরা ব্যবসা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর ঘোড়ার মল গুলো পড়ে থাকে সৈকতে ভালো স্থান গুলোতে, দেখার যেন কেউ নেই ।
পর্যটকদের খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশগুলো যেখানে সেখানে ফেলতে দেখা যায় এসব দোকানদারদের, নেই কোন নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ।
ফলে নবরূপে রঙিন এই অপরূপ পতেঙ্গা সৈকত সী-বিচ দেখতে আসা পর্যটকরা উপভোগ করতে পারছে না প্রকৃত সৌন্দর্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানি বলেন, বাংলাদেশ সমাচার কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আমাদের দোকানগুলো উচ্ছেদ করার কথা থাকলেও উচ্ছেদ হবে না প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা বলে ২০০০ টাকা নেই মাসুদ করিম নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু টানেলের উদ্বোধনের আগের দিন প্রশাসন আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু টানেলের সামনের কিছু অংশ দোকান উচ্ছেদ করে দেয়। এখন দেখি টাকা গুলো উদ্ধার করা যায় কিনা ।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সী-বিচ পাঁচ শতাধিক অবৈধ দোকান প্রতিটি স্থাপনা থেকে দৈনিক ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলা হয়। এ হিসাবে মাসে চাঁদা ওঠে প্রায় ২০ লাখ টাকা।
চাঁদার এই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা হয়। এর বড় একটি অংশ যায় পতেঙ্গা সৈকত ট্যুরিস্ট পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পকেটে।
সমুদ্র পাড়জুড়ে শুধু দোকান আর দোকান। এত দোকান সমুদ্র দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ কোন পর্যটক আসলে দেখে মনে হবে যে এ যেন আরেকটি দ্বিতীয় রোহিঙ্গা ক্যাম্প। তবে কিছুটা জায়গা রয়েছে হকারমুক্ত যেখানে এসে মন ভরে সমুদ্র দেখাযায় । পরিবেশ হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের পূর্ণাঙ্গ জীবন- প্রণালী।
অভিযোগ রয়েছে, সৌন্দর্য রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছেন তাদের ইশারায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে এসব দোকানিরা। উচ্ছেদ অভিযানের দোহাই দিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান প্রতিটি দোকান থেকে প্রতিদিন ১০০ -৩০০ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। হকারদের দখল করা ভ্রাম্যমাণ মার্কেটটি থেকেও প্রতিনিয়ত চাঁদা আদায় করে আসছে একটি চক্র।
সৈকতে ওঠার মুখে হযরত খোয়াজ খিজির মসজিদের সামনেও দোকান বসিয়ে দিয়েছে চক্রটি।
খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে একটি মসজিদ আছে। এ ছাড়া মসজিদের উন্নয়নের নামে প্রতিদিন দর্শনার্থী দান করলে তবে বিগত ১০ বছর যাবত মসজিদটির কোনো উন্নয়নই হয়নি।
সৈকতে ঝালমুড়ি বিক্রেতা হকার সোহেল নামের এক মতো দোকানি বলেন, জেনাটার মঞ্জু নামে একজনকে প্রতিদিন ৩০-৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় আমাদের কোন এক জায়গায় স্থায়ী দোকান নয় তারপরও টাকা দিতে দেরি হলে অকাট্য ভাষায় খারাপ আচরণ করেন। অভিযোগের বিষয়ে স্বীকার করে বলেন’। ‘জেনাটার মঞ্জু জ্বী, আমি যে চাঁদা নিয়ে থাকি তবে আপনি মাসুদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন এটা কিসের ।
এদিকে দোকানিদের থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ওয়হিদ মাস্টার। তিনি বাংলাদেশ সমাচারকে বলেন আমরা তো সমিতির নিয়ম মেনেই নির্ধারিত টাকা রশিদ বইয়ের মাধ্যমে আদায় করে থাকি নাম’মাত্র। তবে কিছুদিন যাবত চাঁদা আদায় করা বন্ধ রয়েছে মামলার কারণে। বলেন শুধু হকারদের থেকে নয় এ টু জেড জোরপূর্বক ভাবে জিম্মির করে দীর্ঘদিন দৈনিক টাকা আদায় করছেন হকার সমিতির মাসুদের পক্ষে হয়ে মঞ্জু ও শাহাবুদ্দিন বরণ হকার সমিতির কারণে আমাদের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
‘উল্টা মামলা করেছি অনেক টাকার হিসাব দিতে ব্যক্ত হওয়ার কারণে দোকান মালিক সমিতির নামে। এরপরেও চাঁদা থামাতে পারছি না প্রতিদিন ‘চাঁদা তোলেন—জানিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হকার সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন’, ‘চাঁদাবাজি আমি করি না, নাম বলবো না অন্যরা চাঁদাবাজি করেন , আমরা শুধু নির্ধারিত একটি সঞ্চয় চাঁদানিয়ে থাকি।’মাসুদ করিম আমার ছেলে আমার পরের দায়িত্ব সেই পালন করছে বর্তমানে, এখন চাঁদা আদায় করছে সেই,তবে অতিরিক্তর বিষয়ে জানেন না বলে অস্বীকার করেন।
এসব বিষয়ে পতেঙ্গা মডেল থানার সী-বিচ এরিয়া দায়িত্বরত এস আই ফরিদ বলেন।’ চাঁদাবাজির বিষয়ে কিছু জানি না কে’ বা ‘কারা আমাদের নামে চাঁদা নিয়েছেন । সিনিয়র অফিসার’রা যতটুকু ভাসমান হকার উচ্ছেদ করার কথা বলেছেন, আমরা সহযোগিতা করে উচ্ছেদ করেছি’।
অভিযোগের বিষয়ে পতেঙ্গা সৈকত ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্রারাফিল মজুমদার ‘বলেন, ‘টুরিস্ট পুলিশ কোন চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত নেই, ভাসমান হকার স্থাপনা বা উচ্ছেদ করা এগুলো আমাদের কাজ নয়। আপনারা জানেন টুরিস্ট পুলিশের হেফাজত খানা, হ্যান্ডকাফ , অস্ত্র নেই, ইঙ্গিত করে বলেন যাদের কাছে এগুলো রয়েছে তারাই মূলত চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। আমরা শুধু পর্যটক টুরিস্টদের সেবা দিয়ে থাকি।’
এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন। ‘আমি এই থানায় এসেছি কিছুদিন হচ্ছে, অবশ্যই সৈকতে’র চাঁদাবাজির বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে, আমি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিব কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’। তবে বিষয়গুলো আমি খতিয়ে দেখছি’।
অভিযোগের এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে (বন্দর) ডিসি শাকিলা সুলতানা বলেন,’ওখানের সব দোকানেই ভাসমান, এগুলো স্থায়ী দোকান নয়,চাঁদাবাজির বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি,সৈকত রক্ষণাবেক্ষণ দেখভালের দায়িত্ব রয়েছেন, সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ, এখন উনারা যদি কোন ধরনের সহযোগিতা চাই তাহলে আমরা করব।
আমরা অনেক’কেই বলেছি অবশ্যই চাঁদাবাজির বিষয়ে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন,’
এসব বিষয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষের মুঠোফোনে একধিকবার যোগাযোগের চেষ্ট করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
সৈকতের বিষয়ে জানতে সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামসেরের মুঠোফোনে কল করা হলে ‘মিটিং এ আছি বলে ফোন কেটে দেন ।