লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আন্তঃজেলা এলাকায় জুলফি নামে জনৈক এক লোকের পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন একই এলাকার বাবুল ঘোষের ছেলে বিপুল ঘোষ( ২৫)।

৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর ২টার দিকে মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে বিপুল ঘোষ সিগারেটের আগুন জ্বালানোর  কথা বলে ওই বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মেয়ের দুলাভাই আশিকের দায়ের করা অভিযোগে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গেছে, জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টায় ধস্তাধস্তি করার এক পর্যায়ে শিশুটি বাঁচার জন্য ঘর থেকে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে আসে। ঘটনার কিছু সময় পরে শিশুটির বড় বোন ও দুলাভাই বাড়িতে এসে মেয়েটির কান্না জড়িত কণ্ঠে ঘটনা জানতে পেরে থানায় আইনের আশ্রয় নেন।

পাটগ্রাম থানা পুলিশ  বিপুল ঘোষকে আটক করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় আদালতে প্রেরণ করেন।বিজ্ঞ আদালত বিপুলের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।

এদিকে,ঘটনার পর শিশুটির পরিবারকে মামলা তুলে নিতে নানাদিক থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও  সেই অভিযোগে বিপুলের বাবা বাবুল ঘোষ ও তার ছোট ভাই অভিকে একই মামলায় আসামী করা হয়েছে। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতিতে পরিনত হয়েছে।

গত ১৩ জানুয়ারি লালমনিরহাট পুলিশ সুপার  আবিদা সুলতানা এলাকা পরিদর্শনে এসে পাটগ্রাম থানায় রেকর্ডকৃত মামলা নং ৭ তারিখ ৯ জানুয়ারি সুত্র ধরে ভুক্তভোগী মেয়েটির জবানবন্দি শুনে ১৬১ ধারায় রেকর্ড করেন এবং সঠিক তদন্ত পূর্বক পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনর্চাজ ওমর ফারুক কে  নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, বিপুল ঢাকার একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সুবাদে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকা সাভার এলাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারের ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েকে গত জুন মাসে পালিয়ে ঢাকায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যদায় ঘরে তুলেন লাবন্যকে। নিজ ধর্মে থেকে সেই পুত্রবধূ লাবন্য আজও শ্বশুরবাড়িতে গৃহবন্দী জীবন যাপন করছে বলে এলাকাবাসী জানান। বিপুলের বাবা বাবুল ঘোষ পাটগ্রাম পৌর বাজারের একজন কসমেটিকস ব্যবসায়ী ।