০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঝান্ডু ফুলে ভাগ্য বদল

প্রতিনিধির নাম

ঘরবাড়ী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যবহৃত পাহাড়ে জন্মানো ঝান্ডুফুলের বিকল্প নেই। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরে রয়েছে এ ফুল কদর। নাইক্ষংছড়ি,বাইশারী ও ঈদগড়ের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ঝান্ডুফুল এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানেই। ঝান্ডুফুল সংগ্রহ ও বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করেছেন স্থানীয়দের। এই নিয়ে ভাগ্য বদল হয়েছে অনেকের। বছরের একটা নিদিষ্ট সময় স্থানীয় মানুষরা প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঝান্ডু ফুলের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনেন।

এমনকি ফুল ঝাড়ু বিক্রি করে অনেক দরিদ্র ও শ্রম জীবী পরিবার আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। দরিদ্র মানুষের আর্থিক সংকট মোকাবেলায় ফুল ঝাড়ু সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বহু শ্রমজীবী মানুষের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে ফুলঝাড়ু সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে।

শুকনো মৌসুমে পাহাড়ী এলাকার ঝোঁপ-জঙ্গল থেকে লোকজন ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করে আঁটি বেধে বিক্রি করে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে অল্প অল্প ক্রয় করে প্রচুর পরিমান মজুদ করার পর বাজারে চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ট্রাক ভর্তি করে রপ্তানী করে থাকেন নানান জায়গায়।

এক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, পাহাড়ে জন্মানো ফুল ঝাড়ু সংগ্রহে অনেক দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হয়েছে।পাহাড়ীদের কাছ থেকে কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন তারা। দেখা যায়, ৪/৫টি ফুল নিয়ে বাঁধছেন একটি ঝান্ডু। সেটির দাম নিচ্ছেন ২০ টাকা।

এদিক ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফুল ঝাড়ু সংগ্রহ করে খোলা জায়গায় কড়া রোদে ভাল করে ঝাড়ু শুকিয়ে নিচ্ছেন রপ্তানির উদ্দ্যেশ্যে। ঈদগড়সহ নানা পয়েন্টে ফুল ঝাড়ু শুকানোর এমন দৃশ্য চোখে পড়ার মত। ফুলঝাড়ু রপ্তানির মাধ্যমে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পাচ্ছে। এখন মানুষ ফুলঝাড়ু সংগ্রহ ও বিক্রির দিকে ঝুঁকছেন । এতেই তারা ভাল লাভবান হচ্ছেন।

ঈদগাঁও বাজারে ঝান্ডুফুল বিক্রি করতে আসা এক ব্যাক্তি জানান, বর্তমানে সবখানেই ফুল ঝান্ডু বিক্রি চলছে। ঘর পরিস্কারের ক্ষেত্রে ফুলের কদর রয়েছে তুঙ্গে।

স্থানীয়রা জানালেন, অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে এই ঝান্ডুফুল। সংরক্ষন করা গেলে পাহাড়ের অর্থনীতিতে এই পণ্য বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন তারা।

ট্যাগস :
আপডেট : ০২:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
১৬৮ বার পড়া হয়েছে

পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঝান্ডু ফুলে ভাগ্য বদল

আপডেট : ০২:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

ঘরবাড়ী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজে ব্যবহৃত পাহাড়ে জন্মানো ঝান্ডুফুলের বিকল্প নেই। গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরে রয়েছে এ ফুল কদর। নাইক্ষংছড়ি,বাইশারী ও ঈদগড়ের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো ঝান্ডুফুল এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানেই। ঝান্ডুফুল সংগ্রহ ও বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন করেছেন স্থানীয়দের। এই নিয়ে ভাগ্য বদল হয়েছে অনেকের। বছরের একটা নিদিষ্ট সময় স্থানীয় মানুষরা প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো ঝান্ডু ফুলের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনেন।

এমনকি ফুল ঝাড়ু বিক্রি করে অনেক দরিদ্র ও শ্রম জীবী পরিবার আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। দরিদ্র মানুষের আর্থিক সংকট মোকাবেলায় ফুল ঝাড়ু সহায়ক ভূমিকা রাখছে। বহু শ্রমজীবী মানুষের সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারে ফুলঝাড়ু সর্বত্র বিক্রি হচ্ছে।

শুকনো মৌসুমে পাহাড়ী এলাকার ঝোঁপ-জঙ্গল থেকে লোকজন ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করে আঁটি বেধে বিক্রি করে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা তাদের কাছ থেকে অল্প অল্প ক্রয় করে প্রচুর পরিমান মজুদ করার পর বাজারে চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে ট্রাক ভর্তি করে রপ্তানী করে থাকেন নানান জায়গায়।

এক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, পাহাড়ে জন্মানো ফুল ঝাড়ু সংগ্রহে অনেক দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হয়েছে।পাহাড়ীদের কাছ থেকে কিনে এনে বাজারে বিক্রি করেন তারা। দেখা যায়, ৪/৫টি ফুল নিয়ে বাঁধছেন একটি ঝান্ডু। সেটির দাম নিচ্ছেন ২০ টাকা।

এদিক ব্যবসায়ীরা খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ফুল ঝাড়ু সংগ্রহ করে খোলা জায়গায় কড়া রোদে ভাল করে ঝাড়ু শুকিয়ে নিচ্ছেন রপ্তানির উদ্দ্যেশ্যে। ঈদগড়সহ নানা পয়েন্টে ফুল ঝাড়ু শুকানোর এমন দৃশ্য চোখে পড়ার মত। ফুলঝাড়ু রপ্তানির মাধ্যমে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব পাচ্ছে। এখন মানুষ ফুলঝাড়ু সংগ্রহ ও বিক্রির দিকে ঝুঁকছেন । এতেই তারা ভাল লাভবান হচ্ছেন।

ঈদগাঁও বাজারে ঝান্ডুফুল বিক্রি করতে আসা এক ব্যাক্তি জানান, বর্তমানে সবখানেই ফুল ঝান্ডু বিক্রি চলছে। ঘর পরিস্কারের ক্ষেত্রে ফুলের কদর রয়েছে তুঙ্গে।

স্থানীয়রা জানালেন, অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে এই ঝান্ডুফুল। সংরক্ষন করা গেলে পাহাড়ের অর্থনীতিতে এই পণ্য বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন তারা।