০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পেকুয়ায় ৩০ বছর ধরে সংস্কার হয়নি গুরামিয়া চৌধুরী সড়কটি

প্রতিনিধির নাম
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সংস্কার কিংবা উন্নয়ন হয়নি গুরামিয়া চৌধুরী সড়কটি। সড়কটি বর্তমানে গোঁয়াখালী-টেকপাড়া-বিলহাসুরা সড়ক নামে পরিচিত । আড়াই কিলোমিটারের গ্রামীন জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির অর্ধেক অংশ প্রায় বিলীনের পথে।
জানাগেছে,তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট কামাল হোসেন সড়কটি সর্ব প্রথম মাটি দ্বারা উন্নয়ন করে। পরবর্তীতে কচ্ছপ গতীতে ফ্ল্যাট সলিন দ্বারা সড়কের কিছু অংশ উন্নয়ন হয়। এক কিলোমিটার এখনো কাচা সড়কে পড়ে আছে।
স্থানীয় আশরাফ মিয়া, নুরুল ইসলাম,ফজল করিম, ফকির মুহাম্মদ,জাফর আহমদ বলেন, বাপ দাদার বসতি এখানে। সড়কটি এক সময় আইল ছিল। সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিগত ৩০ বছর আগে মাটি দ্বারা উন্নয়ন করে। সড়কটি তিন গ্রামের ৫হাজার মানুষের  একমাত্র চলাচল মাধ্যম। কিছু অংশ ইট বিছানো হয়েছে। অর্ধেক অংশ কাচা রয়েছে। বর্ষায় সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকে। সড়কটি দ্রুত ইটদ্বারা সংস্কার উন্নয়ন চাই।
শিক্ষার্থী মেহেহী হাসান, জিসান, রুপসী বলেন, বর্ষায় সড়কটি কোমর সমান পানি থাকে। নৌকা যোগে স্কুলে যেতে হয় আমাদের। বর্ষায় পিচ্চিল রাস্তায় বই, খাতা অনেকবার পানিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে। গাড়ি চলাচল নেই বললে চলে। সড়কটির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম বলেন,আমাদের কপালের শনির দশা যাচ্ছেনা। অসুস্থ রোগিদের দোলনা কিংবা কাঁধে করে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। সড়কের যে অংশে ইট বসানো ছিল সেগুলো ওঠে গেছে। স্কুল, মাদরাসা,কলেজ,সরকারী হাসপাতাল,উপজেলা প্রশাসন, বাজারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যেতে হলে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আশ্বাসের মধ্যে বন্দি সড়কটির উন্নয়ন।
 ইউপি সদস্য মো.মানিক বলেন, আসলে সড়কটির প্রতি কারো নজর নেই। সড়কটি  তিন গ্রামের মানুষের চলাচল। কয়েকদিনের মধ্যে কর্মসৃজন কর্মসুচির শ্রমিক দিয়ে সড়কটি উঁচু করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে ইট বসানো হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান বাহদুর শাহ বলেন, সড়কটির প্রায় দুই কিলোমিটার ইট বসানো হয়েছে। বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে ইট বসানো হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন,কিছুদিন আগে সড়কটি দিয়ে একটি মাহফিলে গিয়েছিলাম। অত্যন্ত নাজুক অবস্থা সড়কটির। সংস্কারের জন্য অনেক বাজেট দরকার। এতো বাজেট উপজেলা পরিষদে হয়না। আমি এলজিইডি কর্মকর্তাকে অবশ্যই বলবো সড়কটি দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে। ৫ লক্ষ টাকার একটা বাজেট প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।
পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়ার প্রকৌশলী বলেন, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
৯৯ বার পড়া হয়েছে

পেকুয়ায় ৩০ বছর ধরে সংস্কার হয়নি গুরামিয়া চৌধুরী সড়কটি

আপডেট : ০৪:০২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
কক্সবাজারের পেকুয়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সংস্কার কিংবা উন্নয়ন হয়নি গুরামিয়া চৌধুরী সড়কটি। সড়কটি বর্তমানে গোঁয়াখালী-টেকপাড়া-বিলহাসুরা সড়ক নামে পরিচিত । আড়াই কিলোমিটারের গ্রামীন জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির অর্ধেক অংশ প্রায় বিলীনের পথে।
জানাগেছে,তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট কামাল হোসেন সড়কটি সর্ব প্রথম মাটি দ্বারা উন্নয়ন করে। পরবর্তীতে কচ্ছপ গতীতে ফ্ল্যাট সলিন দ্বারা সড়কের কিছু অংশ উন্নয়ন হয়। এক কিলোমিটার এখনো কাচা সড়কে পড়ে আছে।
স্থানীয় আশরাফ মিয়া, নুরুল ইসলাম,ফজল করিম, ফকির মুহাম্মদ,জাফর আহমদ বলেন, বাপ দাদার বসতি এখানে। সড়কটি এক সময় আইল ছিল। সাবেক চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিগত ৩০ বছর আগে মাটি দ্বারা উন্নয়ন করে। সড়কটি তিন গ্রামের ৫হাজার মানুষের  একমাত্র চলাচল মাধ্যম। কিছু অংশ ইট বিছানো হয়েছে। অর্ধেক অংশ কাচা রয়েছে। বর্ষায় সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকে। সড়কটি দ্রুত ইটদ্বারা সংস্কার উন্নয়ন চাই।
শিক্ষার্থী মেহেহী হাসান, জিসান, রুপসী বলেন, বর্ষায় সড়কটি কোমর সমান পানি থাকে। নৌকা যোগে স্কুলে যেতে হয় আমাদের। বর্ষায় পিচ্চিল রাস্তায় বই, খাতা অনেকবার পানিতে পড়ে নষ্ট হয়েছে। গাড়ি চলাচল নেই বললে চলে। সড়কটির জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম বলেন,আমাদের কপালের শনির দশা যাচ্ছেনা। অসুস্থ রোগিদের দোলনা কিংবা কাঁধে করে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। সড়কের যে অংশে ইট বসানো ছিল সেগুলো ওঠে গেছে। স্কুল, মাদরাসা,কলেজ,সরকারী হাসপাতাল,উপজেলা প্রশাসন, বাজারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যেতে হলে এই সড়ক দিয়ে যেতে হয়। জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আশ্বাসের মধ্যে বন্দি সড়কটির উন্নয়ন।
 ইউপি সদস্য মো.মানিক বলেন, আসলে সড়কটির প্রতি কারো নজর নেই। সড়কটি  তিন গ্রামের মানুষের চলাচল। কয়েকদিনের মধ্যে কর্মসৃজন কর্মসুচির শ্রমিক দিয়ে সড়কটি উঁচু করা হবে। এরপর বরাদ্দ পেলে ইট বসানো হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান বাহদুর শাহ বলেন, সড়কটির প্রায় দুই কিলোমিটার ইট বসানো হয়েছে। বাকি অংশ পর্যায়ক্রমে ইট বসানো হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন,কিছুদিন আগে সড়কটি দিয়ে একটি মাহফিলে গিয়েছিলাম। অত্যন্ত নাজুক অবস্থা সড়কটির। সংস্কারের জন্য অনেক বাজেট দরকার। এতো বাজেট উপজেলা পরিষদে হয়না। আমি এলজিইডি কর্মকর্তাকে অবশ্যই বলবো সড়কটি দ্রুত সংস্কার বাস্তবায়ন করতে। ৫ লক্ষ টাকার একটা বাজেট প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।
পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়ার প্রকৌশলী বলেন, আমি নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।