ফুটপাত তুমি কার?

নাগরিক চলাচলে ফুটপাত একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তবে বেশির ভাগ ফুটপাত দিয়ে আজকাল নাগরিক তো দুরের কথা রাস্তার প্রানী কুকুরও হাঁটাচলা করতে পারেনা। দিনে দিনে দখলবাজরা তা খিলে খেতে বসেছে।
বিভিন্ন ধরনের রংবেরঙের সাজ সজ্জায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগে জ্বলছে লাইট আর দোকানপাটের সমাহার। যেকারনে ঢাকায় চলাচলরত জনতার ফুটপাতে পা রাখার জায়গা নেই বললেই চলে। রাজধানীর ফুটপাত ও সড়কের নাজেহাল দশা দেখে বলতে ইচ্ছে করে! ফুটপাত তুমি কার? বাংলাদেশ তুমি কেনো স্বাধীন হয়েছো?
দোকানপাটের দৃশ্য দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এটি ফুটপাত? মনে হবে বানিজ্যিক মার্কেট!। বিভিন্ন ফুটপাত দখল করা রাস্তার পাশে বা মোড়ে রয়েছে ট্রাফিক পুলিশ বক্স। এমনকি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির আঞ্চলিক অফিস। রয়েছে সিটি কর্পোরেশন কাউন্সিলর কার্যালয়। এতো সব রাষ্ট্রের শক্তিশালী দায়ীত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার কর্মকর্তা থাকা সত্বেও চাঁদাবাজি দখলবাজি চলছে প্রকাশ্যে। দায়ীত্বশীলরা বিড়াল ছানার মত চোখ বন্ধ করে ফুটপাত দখল থাকা দোকানের পাশ দিয়ে যাতায়াত করছে কেন?
সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুল সড়ক দিয়েই হাঁটাচলা করছে। স্কুল কলেজ ভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ প্রতিনিয়ত কোথাও কোথাও সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যুসহ অঙ্গহানি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রতি বছর শতশত মানুষ যানবাহনের চাপায় পড়ে মৃত্যুের কোলে ঢলে পড়ছে ফুটপাত দখল থাকার কারণেই। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে শুধু ওই সময় আলোচনা হয় সরকার বা প্রশাসনের মগজে! বাকি সময় যা তা-ই। এমন বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি! যে দেশে আমি বা আমার পরিবার নিরাপদে চলাচল পারবেনা।
সমাজে একটি প্রবাদ বাক্য: প্রচলিত রয়েছে। যাদের দিয়ে ভূত ছাড়াবো! তাদের ধরেছে ভূতে। বাংলাদেশ অপরাধ দমনকারী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বেলায় ঘঠছে কি তেমন?। বর্তমান দেশের পরিস্থিতি হয়েছে এমন! সত্য বললে যেতে হবে জেলে। না হলে গুম খুন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যদি ফুটপাত দখল মুক্ত করতে না পারে? তাহলে গাদাগাদা সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বোনাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে পেলেপুষে দেশ, ও জনতার লাভ কি?।
রাষ্ট্রের কাছে আমাদের একটাই দাবি প্রশাসনের এমন নাটকীয় কর্মকান্ড বন্ধ করে ফুটপাত দখল মুক্ত করে রাষ্ট্রের মানুষের চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। “না” হলে এমন বাহিনী আমাদের প্রয়োজন কিসে?
বঙ্গবন্ধু” বলেছেন, সবাই পায় সোনার ক্ষনি আর আমি পেয়েছি চোরের ক্ষনি। চাটার দল সব খাইয়া শেষ করে ফালায়। আমার গরিব শ্রমিক কৃষক কিছুই পায়না।
সরকারের উচিৎ এখনি ফুটপাত দখল মুক্তে কঠোর ভূমিকা পালনে বাহিনীদের নির্দেশ প্রদান করা। যারা সড়ক থেকে চাঁদা তুলে বা চাঁদার ভাগ পেয়ে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে নাগরিক নিরাপত্তা ও অধিকারের কথা বলেই রাস্ট্রের কিছু চাঁদাবাজ ঘুষখোর সুবিধা ভোগিরা প্রতিবাদ কারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অপ্রচারে লিপ্ত হয়ে উঠে।, প্রতিবাদকারীকে মামলা হামলার শিকারও হতে হয়।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলবো এটা আমার নাগরিক অধিকার! রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ হলে গদিতে থাকার কি মানে? উন্মুক্ত করা হোক ফুটপাত ও সড়কের সকল অবৈধ স্থাপনা।
বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ নিরাপদে চলাচল করলে বাঁচবে দেশ, সচল থাকবে অর্থনৈতিক চাকা” উন্নতি হবে বাংলাদেশ। পরিবারের একজন উপার্জন কর্তা সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারালে বা পঙ্গুত্ব বরণ করলে সেই পরিবারের বাকি সদস্য গুলো পথে বসে যায় আমাদের সরকার সেই পরিবারের কোনো খোজ খবর নেয় না। দেশের আইনশৃংখলার বাহিনীর হেভিওয়েট অসৎ অফিসার” সৎ হলে দেশ হবে উন্নত। বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বের দোরগোড়ায় ছড়িয়ে পড়বে।