০৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বিএডিসির ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে আগাম আউশ ধানের বাম্পার ফলন

সোহেল রানা, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, রংপুর

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার (বিএডিসিতে) চলতি মৌসুমে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার আরো বাম্পার ফলন হবে। ছাড়িয়ে যেতে পারে লক্ষ্যমাত্রা। আউশ ধান থেকে উৎপাদিত ফলন বীজ হিসেবে সংরক্ষন করা হবে বলে জানিয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ।

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখাযায়, ধানগুলোতে সোনালি রংএ দাঁড়িয়ে আছে আউশের পুড়ো মাঠ। ফসলের মাঠের দিকে তাকালে জুড়িয়ে আসে প্রাণ। কিছু জমির আউশ ধান কাটাই ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আউশ ধানের মাঠ দেখে খুশি বিএডিসি খামারের আশে পাশের কৃষক।

বিএডিসি অফিস সূত্রে জানাযায়, খামারটিতে এর আগে শুধু ভিত্তি বীজ আলু চাষাবাদ করা হতো। আলু উঠানোর পর কয়েক মাস জমি গুলো পতিত হয়ে পড়ে থাকতো। আর কোন ফসল চাষাবাদ করা হতো না। খামারটির উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা আসার পর থেকে আউশ ধানের চাষাবাদ শুরু করা হয়। ২০২১ সালে উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা ১০০ একর জমিতে পরিক্ষামুলক আউশ ধান চাষাবাদ করেন। বেলে মাটির পরিমাণ বেশী থাকায় সে বছর তেমন ভালো ফলন হয়নি। কিন্তু ২০২২ সালে বেলে মাটির সঙ্গে এটেল মাটির সংমিশ্রন ও জৈব সার প্রয়োগ করে ২৪০ একর মাটিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়। সেই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩০৮ টন ধান বীজ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয় ৩৮০টন। সে বছরেই আউশের বাম্পার ফলন হয়। এখন খামারটিতে প্রতি বছরেই আউশের ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। চলতি বছরে খামারটিতে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধানের ১টি জাত ব্রি-ধান ৯৮ চাষ করা হয়েছে। এই জাত থেকে উৎপাদিত সবাই ধান মানসম্পন্ন ভিত্তি ধান বীজ হিসেবে বাজারজাত করা হবে।

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা জানান, ২০২১ সালে খামারটির পতিত জমিতে আউশ ধান চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করি। তারপর থেকে প্রতিবছরেই আউশের চাষাবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ২৫৫একর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩২ টন যা আউশ ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। তবে আশা করছি এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
২৩১ বার পড়া হয়েছে

বিএডিসির ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে আগাম আউশ ধানের বাম্পার ফলন

আপডেট : ০৪:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

নীলফামারীর ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামার (বিএডিসিতে) চলতি মৌসুমে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে গত বছরের তুলনায় এবার আরো বাম্পার ফলন হবে। ছাড়িয়ে যেতে পারে লক্ষ্যমাত্রা। আউশ ধান থেকে উৎপাদিত ফলন বীজ হিসেবে সংরক্ষন করা হবে বলে জানিয়েছেন খামার কর্তৃপক্ষ।

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে গিয়ে দেখাযায়, ধানগুলোতে সোনালি রংএ দাঁড়িয়ে আছে আউশের পুড়ো মাঠ। ফসলের মাঠের দিকে তাকালে জুড়িয়ে আসে প্রাণ। কিছু জমির আউশ ধান কাটাই ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আউশ ধানের মাঠ দেখে খুশি বিএডিসি খামারের আশে পাশের কৃষক।

বিএডিসি অফিস সূত্রে জানাযায়, খামারটিতে এর আগে শুধু ভিত্তি বীজ আলু চাষাবাদ করা হতো। আলু উঠানোর পর কয়েক মাস জমি গুলো পতিত হয়ে পড়ে থাকতো। আর কোন ফসল চাষাবাদ করা হতো না। খামারটির উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা আসার পর থেকে আউশ ধানের চাষাবাদ শুরু করা হয়। ২০২১ সালে উপ-পরিচালক আবু তালেব মিঞা ১০০ একর জমিতে পরিক্ষামুলক আউশ ধান চাষাবাদ করেন। বেলে মাটির পরিমাণ বেশী থাকায় সে বছর তেমন ভালো ফলন হয়নি। কিন্তু ২০২২ সালে বেলে মাটির সঙ্গে এটেল মাটির সংমিশ্রন ও জৈব সার প্রয়োগ করে ২৪০ একর মাটিতে আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়। সেই বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩০৮ টন ধান বীজ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উৎপাদন হয় ৩৮০টন। সে বছরেই আউশের বাম্পার ফলন হয়। এখন খামারটিতে প্রতি বছরেই আউশের ধানের চাষাবাদ বাড়ছে। চলতি বছরে খামারটিতে ২৫৫ একর জমিতে আউশ ধানের ১টি জাত ব্রি-ধান ৯৮ চাষ করা হয়েছে। এই জাত থেকে উৎপাদিত সবাই ধান মানসম্পন্ন ভিত্তি ধান বীজ হিসেবে বাজারজাত করা হবে।

ডোমার ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন খামারে উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা জানান, ২০২১ সালে খামারটির পতিত জমিতে আউশ ধান চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করি। তারপর থেকে প্রতিবছরেই আউশের চাষাবাদ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে ২৫৫একর জমিতে আউশ ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩২ টন যা আউশ ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। তবে আশা করছি এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।