০৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বিজ্ঞ আদলতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ডি.এম.এফ.এ.এন.এম. মাহফুজুল হক এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

রফিকুল ইসলাম সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এন্ড ডিভিশনাল চীফ ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ জেলা ও সেশন জজ আদালতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা অর্থাৎ চাকুরী হতে অব্যাহতি প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ও মহাপরিচালক বরাবরে গত ২০/০৯/২০২৩ ইং তারিখে ১টি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগকারী হলেন মোঃ সিরাজুল ইসলাম উরফে ভুট্টু, পিতা- মৃত আব্দুল মজিদ, গ্রাম গোদারিয়া, ৪নং ওয়ার্ড, ফুলপুর পৌরসভা, ফুলপুর, ময়মনসিংহ।
জানাযায়, এ.এন.এম. মাহফুজুল হক ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পিতা: মৃত এটিএম আব্দুল্লাহ, সাং: গোদারিয়া মাদ্রাসা রোড, পোস্ট অফিস: ফুলপুর, এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আরোপিত The Negotiable Instrument, 1881 এর sec. 138 ধারার বিধানে অভিযোগটি সন্দহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসীমে ০১(এক) বছর মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১৬,00,000/-(ষোল লক্ষ) টাকার অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। আসামীকে আগামী ০৭(সাত) দিনের মধ্যে উক্ত টাকা বাদী অনুকূলে আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ব্যর্থতায় বাদী The Code of criminal Procedure 1898 এর ৩৮৬ ধারার বিধান মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন। দায়রা মোকাদ্দমা নং-১৩৭৮/২০১৭ আসামীর উপর আরোপিত দন্ডাদেশ অদ্য হতে কার্যকর হবে। আসামীর প্রতি সাজা পরোয়ানার ইস্যু প্রদান করা হয়েছে। মামলার সংযোগের আসামীর হাজতবাস (যদি থাকে) প্রদত্ত সাজার মেয়াদ থেকে কর্তন হবে।

ময়মনসিংহ জেলার যুগ্ম জায়রা জজ প্রথম আদালত ময়মনসিংহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অত্র রায়ের অনুলিপি বিজ্ঞ জেলার মেজিস্ট্রেট, ময়মনসিংহ ও চীফ ডিভিশনাল মেজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। জানা যায় এটি The Negotiable Instrument Act এর ১৩৮ ধরার বিধান মতে আনীত একটি মামলা। সংক্ষেপে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা এই যে, আসামী এ.এন.এম মাহফুজুল হক নালিশকারীর নিকট হতে টাকা হাওলাত গ্রহন করেন। নালিশকারীর পাওনা টাকা পরিশোধের নিমিত্তে আসামী বিগত ০২/০২/২০১৭ ইং তারিখে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেড, ফুলপুর শাখা, ময়মনসিংহ সঞ্চয়ী হিসাব নং-৬৬৬৬ এর অনুকূলে ১৬,00,000/-(ষোল লক্ষ) টাকার চেক প্রদান করেন। বাদীপক্ষ উক্ত চেক নগদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় জমা করলে আসামীর উল্লেখিত হিসাব নম্বরে টাকা জমা না থাকায় ০২/০২/২০১৭ ইং তারিখে উক্ত ব্যাংক চেকটি ফেরত প্রদান করেন। বিগত ০৮/০২/২০১৭ ইং তারিখে টাকা পরিশেঅধের জন্য আসামীর প্রতি উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়। আসামীর প্রতি উক্ত উকিল নোটিশ জারীর পরও আসামী চেকে বর্ণিত টাকা পরিশোধ না করায় নালিশকারীপক্ষে এন,আই,এ্যক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার বিধান মতে আসামীর বিরুদ্ধে অত্র মামলা দায়ের করা হয়।

অত্র নালিশী দরখাস্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আমলী আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারায় নালিশকারীর জবানবন্দি গ্রহন করতঃ আসামীর বিরুদ্ধে The Negotiable Instrument Act এর ১৩৮ ধরার অপরাধ আমলে গ্রহন করেন। মামলা বিচারার্থে প্রস্তুত হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তা দায়রা আদালতে করলে বিজ্ঞ দায়রা জজ আসামী এ.এন.এম মাহফুজুর হক এর বিরুদ্ধে এন,আই, এ্যাক্ট ১৮৮১ ধারা অভিযোগ আমলে গ্রহন করেন।অতঃপর মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য অত্র আদালতে প্রেরন করেন। অত্র আদলতে ২৬/০৭/২০১৭ ইং তারিখে আসামীর বিরুদ্ধে এন.আ্ই,এ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। গঠিত অভিযোগ আসামীকে পাঠ ও ব্যাখ্যা করে শুনানো হলে সে নিজেকে নিদোর্ষ বলে দাবী করে এবং বিচার পার্থনা করে। রাষ্ট্রপক্ষে ৩জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।

আসামীপক্ষে বাদীপক্ষের সাক্ষীদেরকে জেরা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহন কার্যক্রম সমাপ্ত হলে আসামীকে ফৌর:কা:বি: ৩৪২ ধারা মতে পরীক্ষা করা হলে সে সাফাই সাক্ষী দিবে এবং কাগজপত্র দাখিল করবে মর্মে জানায়।

অতঃপর রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ এ,পি,পি এবং আসামীপক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীর বক্তব্য শ্রবনান্তে অদ্য রায় ঘোষনার জন্য দিন ধার্য্য করা হয়।অবশেষে ২২/০৬/২০২৩ ইং তারিখে আসামীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষনা করা হয়। এ বিষয়ে আসামী এ.এন.এ, মাহফুজুল হকের কাছে জানতে চায়লে এই প্রতিবেধককে বলেন, আমি এই রায়ে সংক্ষুব্ধ আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করিব। এই মামলার বাদী নূর মোহাম্মদ তারকি তার কাছে জানতে চাইলে এই প্রতিবেধককে বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দুষ্টের দমন সৃষ্টের প্রতি পালন প্রতিফলিত হয়েছে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৪৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিজ্ঞ আদলতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ডি.এম.এফ.এ.এন.এম. মাহফুজুল হক এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট : ০৬:৪৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ময়মনসিংহ জেলা ও সেশন জজ আদালতের রায়ে সাজা প্রাপ্ত হওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা অর্থাৎ চাকুরী হতে অব্যাহতি প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ও মহাপরিচালক বরাবরে গত ২০/০৯/২০২৩ ইং তারিখে ১টি অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। অভিযোগকারী হলেন মোঃ সিরাজুল ইসলাম উরফে ভুট্টু, পিতা- মৃত আব্দুল মজিদ, গ্রাম গোদারিয়া, ৪নং ওয়ার্ড, ফুলপুর পৌরসভা, ফুলপুর, ময়মনসিংহ।
জানাযায়, এ.এন.এম. মাহফুজুল হক ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পিতা: মৃত এটিএম আব্দুল্লাহ, সাং: গোদারিয়া মাদ্রাসা রোড, পোস্ট অফিস: ফুলপুর, এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আরোপিত The Negotiable Instrument, 1881 এর sec. 138 ধারার বিধানে অভিযোগটি সন্দহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসীমে ০১(এক) বছর মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১৬,00,000/-(ষোল লক্ষ) টাকার অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। আসামীকে আগামী ০৭(সাত) দিনের মধ্যে উক্ত টাকা বাদী অনুকূলে আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ব্যর্থতায় বাদী The Code of criminal Procedure 1898 এর ৩৮৬ ধারার বিধান মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারবেন। দায়রা মোকাদ্দমা নং-১৩৭৮/২০১৭ আসামীর উপর আরোপিত দন্ডাদেশ অদ্য হতে কার্যকর হবে। আসামীর প্রতি সাজা পরোয়ানার ইস্যু প্রদান করা হয়েছে। মামলার সংযোগের আসামীর হাজতবাস (যদি থাকে) প্রদত্ত সাজার মেয়াদ থেকে কর্তন হবে।

ময়মনসিংহ জেলার যুগ্ম জায়রা জজ প্রথম আদালত ময়মনসিংহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অত্র রায়ের অনুলিপি বিজ্ঞ জেলার মেজিস্ট্রেট, ময়মনসিংহ ও চীফ ডিভিশনাল মেজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। জানা যায় এটি The Negotiable Instrument Act এর ১৩৮ ধরার বিধান মতে আনীত একটি মামলা। সংক্ষেপে রাষ্ট্রপক্ষের মামলা এই যে, আসামী এ.এন.এম মাহফুজুল হক নালিশকারীর নিকট হতে টাকা হাওলাত গ্রহন করেন। নালিশকারীর পাওনা টাকা পরিশোধের নিমিত্তে আসামী বিগত ০২/০২/২০১৭ ইং তারিখে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লিমিটেড, ফুলপুর শাখা, ময়মনসিংহ সঞ্চয়ী হিসাব নং-৬৬৬৬ এর অনুকূলে ১৬,00,000/-(ষোল লক্ষ) টাকার চেক প্রদান করেন। বাদীপক্ষ উক্ত চেক নগদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় জমা করলে আসামীর উল্লেখিত হিসাব নম্বরে টাকা জমা না থাকায় ০২/০২/২০১৭ ইং তারিখে উক্ত ব্যাংক চেকটি ফেরত প্রদান করেন। বিগত ০৮/০২/২০১৭ ইং তারিখে টাকা পরিশেঅধের জন্য আসামীর প্রতি উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়। আসামীর প্রতি উক্ত উকিল নোটিশ জারীর পরও আসামী চেকে বর্ণিত টাকা পরিশোধ না করায় নালিশকারীপক্ষে এন,আই,এ্যক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারার বিধান মতে আসামীর বিরুদ্ধে অত্র মামলা দায়ের করা হয়।

অত্র নালিশী দরখাস্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আমলী আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারায় নালিশকারীর জবানবন্দি গ্রহন করতঃ আসামীর বিরুদ্ধে The Negotiable Instrument Act এর ১৩৮ ধরার অপরাধ আমলে গ্রহন করেন। মামলা বিচারার্থে প্রস্তুত হলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট তা দায়রা আদালতে করলে বিজ্ঞ দায়রা জজ আসামী এ.এন.এম মাহফুজুর হক এর বিরুদ্ধে এন,আই, এ্যাক্ট ১৮৮১ ধারা অভিযোগ আমলে গ্রহন করেন।অতঃপর মামলাটি বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য অত্র আদালতে প্রেরন করেন। অত্র আদলতে ২৬/০৭/২০১৭ ইং তারিখে আসামীর বিরুদ্ধে এন.আ্ই,এ্যাক্ট ১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। গঠিত অভিযোগ আসামীকে পাঠ ও ব্যাখ্যা করে শুনানো হলে সে নিজেকে নিদোর্ষ বলে দাবী করে এবং বিচার পার্থনা করে। রাষ্ট্রপক্ষে ৩জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।

আসামীপক্ষে বাদীপক্ষের সাক্ষীদেরকে জেরা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহন কার্যক্রম সমাপ্ত হলে আসামীকে ফৌর:কা:বি: ৩৪২ ধারা মতে পরীক্ষা করা হলে সে সাফাই সাক্ষী দিবে এবং কাগজপত্র দাখিল করবে মর্মে জানায়।

অতঃপর রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ এ,পি,পি এবং আসামীপক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীর বক্তব্য শ্রবনান্তে অদ্য রায় ঘোষনার জন্য দিন ধার্য্য করা হয়।অবশেষে ২২/০৬/২০২৩ ইং তারিখে আসামীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষনা করা হয়। এ বিষয়ে আসামী এ.এন.এ, মাহফুজুল হকের কাছে জানতে চায়লে এই প্রতিবেধককে বলেন, আমি এই রায়ে সংক্ষুব্ধ আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করিব। এই মামলার বাদী নূর মোহাম্মদ তারকি তার কাছে জানতে চাইলে এই প্রতিবেধককে বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দুষ্টের দমন সৃষ্টের প্রতি পালন প্রতিফলিত হয়েছে।