সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকাতে আপনাকে স্বাগতম! বাংলাদেশ সমাচার পড়ুন,বিজ্ঞাপন দিন সহযোগী হোন! বাংলাদেশ সমাচার পড়ুন বেকারত্ব দূর করুন ।
শিরোনাম :
ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি : তথ্যমন্ত্রী তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিউটে নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন বিষয়ক প্রশিক্ষণের  উদ্বোধন প্ল্যান্ট টিস্যু কালচারের উপর হাতে কলমে প্রশিক্ষণ মহিপুর থানার নবাগত ওসির সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মিথ্যাচার বিএনপির একমাত্র সম্বল”নওগাঁয় ওবায়দুল কাদের ভূরুঙ্গামারীতে  তরুণীকে জোর পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে আটক১  কৃষকদের নিয়ে পদ্ধতি প্রদর্শনী সভা- ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ বিজয়নগর এক প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রতিবাদ “হাতিরঝিল সাংবাদিক ফোরাম গঠিত”

বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপনের নামে আমরা এগুলা করছিটা কী ?

বিভিন্ন অনুষ্ঠান, নববর্ষ ও খেলাধুলার নামে দেশে এ বিশৃঙ্খলার অবসান হবে কবে ? অনুষ্ঠান পালন করেন, নববর্ষ উদযাপন করেন, খেলা দেখেন ভালো কথা তবে সারারাত ধরে উচ্চস্বরে গানবাজনা, আতশবাজি, ফানুস উড়ানো এগুলা কোন ধরনের উদযাপনের দৃশ্য ? একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উদযাপন করা ঠিক আছে। যেমন নববর্ষে রাত ১২টায় বাজি ফুটান, ১২টা পর্যন্ত গানবাজনা করেন। আর শহরের আকাশে তো ফানুসে আলোকিত হয়ে যায়। এই ফানুস উড়াতে গিয়ে দেশের কতো স্থানে আগুন ধরেছে, কতো মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, হাজার হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে, বিদ্যুতের তারে লেগে মারাত্মক বিষ্ফোরণ হয়েছে এর খবর রেখেছেন ? পশুপাখিদের খবর রেখেছেন ? ওহ্ ভালো কথা, আমরা তো মানুষের খবরই রাখি না, আর পশুপাখিদের! ফেসবুকে দেখলাম একটি মেয়ে রাতে লাইভে গিয়ে একটি কুকুরকে দেখাচ্ছে, কুকুরটা কতটা আতঙ্কিত, ভয়ে সে দরজার সামনে চলে আসছে, কুকুরটির শরীর কাঁপছে! আহ্, আমরা কতটা অমানবিক! এটা দেখে জাহানারা ইমামের লেখা ‘একাত্তরের দিনগুলি’-এর মিকি নামের পোষা কুকুরটির কথা মনে পড়ে গেলো ! আমার আপনার ফোটানো এই বাজির শব্দে এরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, নানাদিক ছোটাছুটি করে। আপনার আমার যেমন স্বাধীনতা আছে, পশুপাখিদেরও এ পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার স্বাধীনতা আছে।
মনে আছে ৪ বছরের ছোট্ট শিশু তানজীমের কথা ?
থার্টি ফার্স্ট নাইটের রাতে তানজীমও মনের আনন্দে খেলছিলো। রাত তখন প্রায় পৌনে বারোটা। হঠাৎ শহরজুড়ে শুরু হলো আতশবাজি আর পটকার বিকট শব্দ। হাসিখুশী তানজীমের চেহারা বদলে গেলো মুহূর্তের মধ্যে। প্রতিটা বিকট আওয়াজে প্রচন্ডভাবে কেঁপে উঠছিলো ওর দেহ। কাঁদতে কাঁদতে গলা শুকিয়ে গেলো ওর। আতঙ্কে চোখগুলো যেন বেরিয়ে আসছিলো। শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। যদিও তার আর্তনাদগুলো আতশবাজি আর পটকার শব্দের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিলো। কোনোমতে রাতটা কাটিয়ে ভোরেই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকেলে ডাক্তার বললেন, হার্টফেল করে ছোট্ট তানজীম উমায়ের আল্লাহর কাছে চলে গিয়েছে।
ফুটবল বিশ্বকাপ উন্মাদনায় বিভোর জাতি যখন উত্তাল, ঠিক তখনই এক বৃদ্ধের বাড়িতে নেমে এসেছিলো শোকের ছায়া। ফানুসের আগুন তারে লেগে মারাত্মক বিষ্ফোরণ হয়ে সারারাত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল রাজধানীর কয়েকটি এলাকা।
পটকা আর আতশবাজির শব্দে কেউ কষ্ট পেলে বা মারা গেলে কী বা আসে যায় এমনটা হয়ে পড়েছে বিষয়টা! দেশে আজ প্রতিটি ঘরেই হার্টের রোগী রয়েছে, সারারাত ঘুম না আসায়, ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হয় এমন রোগীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে যেদিন নিজ আত্মীয়ের মধ্যে কোন একজনকে নিয়ে সমস্যায় পড়বেন তখন বুঝবেন এর মজা।
তাই আসুন আমরা সচেতন হই, মানবিক হই!


বিজ্ঞপ্তি

©দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার 2023All rights reserved