এত কথা বলার উদ্দেশ্য, এই লেখার বিষয়টির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। কেননা, এই লেখার বিষয়টিও যে স্টিমড পাফার। জাপানি ভাষায় এর নাম ‘ফুগু’। ইংরেজি নাম ‘পাফার ফিশ’। বাংলায় আমরা যাকে বলি পটকা মাছ। এটি মূলত একটি জাপানি খাবার।

জাপানের শিমনোসেকি জাতির লোকেরাই প্রথম খাওয়া শুরু করে। এরপর ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। সামুদ্রিক মাছ। অত্যন্ত সুস্বাদু। জাপানে ফুগু ডিশ সবচেয়ে দামি খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু ফুগু বা পাফার বা পটকা, যা-ই বলুন না কেন, এটা খেতে যেমন সুস্বাদু, তার চেয়েও ভয়ানক বিষাক্ত।
দুনিয়ার সবচেয়ে বিষাক্ত জীবদের মধ্যে অন্যতম ‘ফুগু’। এদের পিত্তথলিতে লুকানো থাকে টেট্রোডেটক্সিন নামের মারাত্মক বিষ। এ কারণে রান্নার সময় পিত্তথলিটা খুব সাবধানে কেটে ফেলে দিতে হয়। ক্ষুদ্র পিত্তথলি। কাটতে গিয়ে একটু ছোঁয়া লেগেছে কি, ফেটে সমস্তটাই বিষাক্ত হয়ে যাবে। আর সেই রেসিপি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত মৃত্যু! কয়েক মিনিটে…বলা হয়, গোখরা সাপের চেয়ে ১০ গুণ বিষাক্ত পাফার মাছের পিত্ত।

এ জন্য বিশেষ ধরনের শেফ ছাড়া জাপানে পাফার ডিশ নিষিদ্ধ। যদি নিতান্তই মৃত্যু না ঘটে, খুব সামান্য পরিমাণ পিত্তরসের উপস্থিতিতে হতে হবে প্যারালাইজড। তাই এই খাবার কেবল লাইসেন্সপ্রাপ্ত শেফরাই রান্না করতে পারেন। লাইসেন্স ছাড়া রান্না করা যাবে না এই পদ।