১০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার !

প্রতিনিধির নাম

বৃহস্পতিবার ১৭ফেব্রয়ারী ২০২২ ইং বিকালে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: আলী আশরাফর এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন জঙ্গল থেকে গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূর নাম আছমা আক্তার(২২) সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসীরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আলী মিয়ার কন্যা। জানা গেছে গত ৩ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে অালমগীরের সাথে বিয়ে হয়।তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ বছরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী আলমগীর (২৬) পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক। যৌতুকের জন্য স্ত্রী আছমাকে প্রায় সময় নির্যাতন করত আলমগীর। এমনকি শ্বশুরবাড়ি থেকে দেয়া দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণ বিক্রি করে দেয় আলমগীর। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী আছমা স্বামীর ওপর অভিমান করে নিজ পিত্রালয়ে চলে আসে। এই ক্ষোভে স্বামী আলমগীর মিয়া তার পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী (১৬ ফেব্রয়ারী) স্বর্ণ কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ পিত্রালয় থেকে স্ত্রী আছমাকে মাধবপুর বাজারের কথা বলে বের করে নিয়ে অাসে।

পরে সিএনজি ভাড়া করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে নিয়ে যা।একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে আছমাকে সাতছড়ির গহীন জঙ্গলে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী। আছমার পরিবার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তার স্বামীর নাম্বারে ফোন করে।তখন আলমগীর আছমার সাথে তার দেখা হয়নি বলে জানায়।

একপর্যায়ে আছমার পিতা আলী মিয়া নাসিরনগর থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ স্বন্দেহমূলকভাবে আলমগীর মিয়া কে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আশরাফ বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে নাসিরনগর থানা পুলিশ।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৫১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর লাশ সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার !

আপডেট : ০৮:৫৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বৃহস্পতিবার ১৭ফেব্রয়ারী ২০২২ ইং বিকালে খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো: আলী আশরাফর এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন জঙ্গল থেকে গলায় ফাঁস লাগানো গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেন। নিহত গৃহবধূর নাম আছমা আক্তার(২২) সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসীরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আলী মিয়ার কন্যা। জানা গেছে গত ৩ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে অালমগীরের সাথে বিয়ে হয়।তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ বছরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী আলমগীর (২৬) পেশায় একজন ইট ভাটার শ্রমিক। যৌতুকের জন্য স্ত্রী আছমাকে প্রায় সময় নির্যাতন করত আলমগীর। এমনকি শ্বশুরবাড়ি থেকে দেয়া দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণ বিক্রি করে দেয় আলমগীর। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক মনোমালিন্য হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী আছমা স্বামীর ওপর অভিমান করে নিজ পিত্রালয়ে চলে আসে। এই ক্ষোভে স্বামী আলমগীর মিয়া তার পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী (১৬ ফেব্রয়ারী) স্বর্ণ কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ পিত্রালয় থেকে স্ত্রী আছমাকে মাধবপুর বাজারের কথা বলে বের করে নিয়ে অাসে।

পরে সিএনজি ভাড়া করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঘুরতে নিয়ে যা।একপর্যায়ে সুযোগ বুঝে আছমাকে সাতছড়ির গহীন জঙ্গলে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় পাষন্ড স্বামী। আছমার পরিবার মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে তার স্বামীর নাম্বারে ফোন করে।তখন আলমগীর আছমার সাথে তার দেখা হয়নি বলে জানায়।

একপর্যায়ে আছমার পিতা আলী মিয়া নাসিরনগর থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ স্বন্দেহমূলকভাবে আলমগীর মিয়া কে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়। চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী আশরাফ বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করেছে নাসিরনগর থানা পুলিশ।