১০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

মাত্র পঁচিশ বা ত্রিশ কিমি রেল লাইন নির্মাণের অভাবে গোপালগঞ্জ ও বাগের হাট বাসি মোংলা বন্দর, বেনাপোল, ও রাজধানী ঢাকা থেকে বিছিন্ন

প্রতিনিধির নাম
খুলনা মোংলা রেল প্রোজেক্ট যেমন মোংলা খুলনা,ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সাথে সংযুক্ত তেমনি যশোর নড়াইল হয়ে সংযুক্ত হচ্ছে রাজধানী ঢাকার সাথে, অথচ, মাত্র ত্রিশ পচিশ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের অভাবে বাগের হাট বাসি ও গোপালগঞ্জ বাসি বঞ্চিত হচ্ছে মোংলা ও বেনাপোল স্থল বন্দরের রেল সুবিধা থেকে।  গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি পর্যন্ত রেললাইন অলরেডি নির্মিত হয়ে আছে, কাশিয়ানি হতে বাগের হাট হয়ে খুলনার কাটাখালী পর্যন্ত মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হলে এই দুই জেলার বাসিন্দা বেনাপোল ও মোংলা বন্দরের সুবিধা ও সুফল সরাসরি ভোগ করতো, এবং রাজধানী ঢাকার সাথে তাদের যোগাযোগ খুব সহজেই স্থাপিত হতো বলে মনে করেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।
প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের  অন্যতম মেগা প্রকল্প রুপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের জুনেই দেশের দীর্ঘতম এই রেল সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি হতে বাগের হাট হয়ে কাটাখালী, খুলনা পর্যন্ত  মাত্র ২৫/৩০ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ করলে মোংলা বন্দর এবং খুলনার সাথে রাজধানী ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা সরাসরি স্থাপিত হবে। কাশিয়ানি হতে বাগের হাট হয়ে রেল লাইনটি ইংরেজি অক্ষর ওয়াই এর লেজ ধরে এগিয়ে গিয়ে, ওয়াই এর দুই মাথা দুই দিকে অর্থাৎ একটি  মংলা বন্দরের দিকে অন্যটি খুলনার দিকে স্থাপন করলে রেল পথে মাত্র তিন ঘন্টায় ঢাকা পৌছানো যেত এ অঞ্চলের লোকজনের।  করোনার বিরুপ পরিস্থিতির মাঝে একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি সেতু নির্মাণের কাজ। তাই উদ্বোধনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুটির কাজ আর ৫ শতাংশ বাকী রয়েছে, অর্থাৎ ৯৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
রূপসা রেল সেতু চালু হলে, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পাল্টে যাবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মোংলা বন্দর ও মোংলা ইপিজেডে আরো গতি সঞ্চারিত হবে, এবং রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হত। এখানে  অর্থাৎ কাটাখালী হতে মংলা বন্দর এর মাঝে রুপসা নদীর পাড়ে একটি গার্মেন্টস পল্লী স্থাপনেরও প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অঞ্চলের অধিবাসীরা।  মোংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সমগ্র বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সুগম হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সুন্দরবন সহজে  ভ্রমণ করতে পারবেন, সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতদিন শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ভারী ভারী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ কাজে। নির্মাণাধীন রেলসেতুর পশ্চিম পাড় (খুলনা শহর অংশ) বটিয়াঘাটা উপজেলার পুটিমারী ও পূর্ব পাড় খারাবাদ (মোংলা অংশ) এলাকায় চলছে ব্যাপক রেল লাইন নির্মাণ  কর্মযজ্ঞ।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর একটি রূপসা নদীর উপর রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং সিস্টেম। প্রকল্পের আওতায় লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। রূপসা নদীর উপরে যুক্ত হচ্ছে ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। এছাড়া ২১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট এবং খুলনার ফুলতলা থানা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্টেশানের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।  এরমধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল.এন.টি)রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণ কাজ করছে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় নির্মাণ  প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেলসেতু নির্মাণসহ সমগ্র প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ রেলসেতুটি হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজের উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন। সর্বশেষ গত বছর ২ অক্টোবর রেল সচিব মো. সেলিম রেজা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। ২০২২ এর জুন মাসে  রেল সেতু উদ্বোধনের আশাবাদ ওই সময় ব্যক্ত করেছিলেন রেল সচিব মহোদয়,
সেতুর অগ্রগতি সম্পর্কে রূপসা রেলসেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত বলেন, রেলসেতুর ভায়াডাক্টের ৮৫৬টি পাইলের মধ্যে সবকয়টি, পাইল বেস-গ্রাউটিং ৮৫৬টির সবকয়টি, পাইল ক্যাপ ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি, পিয়ার ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি, স্প্যান ইর্যাকশান ১৩৬টির সবকয়টি ও ব্যাক  ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি সম্পন্ন হয়েছে। এক কিলোমিটার দৈর্ঘের মূল সেতুর পাইল ৭২টির মধ্যে ৭০টি, পাইল ক্যাপ ৮টির মধ্যে ৩টি, বিয়ারিং ৩২টির মধ্যে ৮টি সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশ, চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ট্যাগস :
আপডেট : ১১:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৩৭ বার পড়া হয়েছে

মাত্র পঁচিশ বা ত্রিশ কিমি রেল লাইন নির্মাণের অভাবে গোপালগঞ্জ ও বাগের হাট বাসি মোংলা বন্দর, বেনাপোল, ও রাজধানী ঢাকা থেকে বিছিন্ন

আপডেট : ১১:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
খুলনা মোংলা রেল প্রোজেক্ট যেমন মোংলা খুলনা,ও বেনাপোল স্থল বন্দরের সাথে সংযুক্ত তেমনি যশোর নড়াইল হয়ে সংযুক্ত হচ্ছে রাজধানী ঢাকার সাথে, অথচ, মাত্র ত্রিশ পচিশ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের অভাবে বাগের হাট বাসি ও গোপালগঞ্জ বাসি বঞ্চিত হচ্ছে মোংলা ও বেনাপোল স্থল বন্দরের রেল সুবিধা থেকে।  গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি পর্যন্ত রেললাইন অলরেডি নির্মিত হয়ে আছে, কাশিয়ানি হতে বাগের হাট হয়ে খুলনার কাটাখালী পর্যন্ত মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হলে এই দুই জেলার বাসিন্দা বেনাপোল ও মোংলা বন্দরের সুবিধা ও সুফল সরাসরি ভোগ করতো, এবং রাজধানী ঢাকার সাথে তাদের যোগাযোগ খুব সহজেই স্থাপিত হতো বলে মনে করেন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।
প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের  অন্যতম মেগা প্রকল্প রুপসা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আশা করা হচ্ছে চলতি বছরের জুনেই দেশের দীর্ঘতম এই রেল সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করবে ট্রেন।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি হতে বাগের হাট হয়ে কাটাখালী, খুলনা পর্যন্ত  মাত্র ২৫/৩০ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ করলে মোংলা বন্দর এবং খুলনার সাথে রাজধানী ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা সরাসরি স্থাপিত হবে। কাশিয়ানি হতে বাগের হাট হয়ে রেল লাইনটি ইংরেজি অক্ষর ওয়াই এর লেজ ধরে এগিয়ে গিয়ে, ওয়াই এর দুই মাথা দুই দিকে অর্থাৎ একটি  মংলা বন্দরের দিকে অন্যটি খুলনার দিকে স্থাপন করলে রেল পথে মাত্র তিন ঘন্টায় ঢাকা পৌছানো যেত এ অঞ্চলের লোকজনের।  করোনার বিরুপ পরিস্থিতির মাঝে একদিনের জন্যও বন্ধ থাকেনি সেতু নির্মাণের কাজ। তাই উদ্বোধনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সেতুটির কাজ আর ৫ শতাংশ বাকী রয়েছে, অর্থাৎ ৯৫ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
রূপসা রেল সেতু চালু হলে, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পাল্টে যাবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মোংলা বন্দর ও মোংলা ইপিজেডে আরো গতি সঞ্চারিত হবে, এবং রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হত। এখানে  অর্থাৎ কাটাখালী হতে মংলা বন্দর এর মাঝে রুপসা নদীর পাড়ে একটি গার্মেন্টস পল্লী স্থাপনেরও প্রয়োজন বলে মনে করেন এই অঞ্চলের অধিবাসীরা।  মোংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সমগ্র বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সুগম হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে। কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও সুন্দরবন সহজে  ভ্রমণ করতে পারবেন, সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতদিন শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ভারী ভারী অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ কাজে। নির্মাণাধীন রেলসেতুর পশ্চিম পাড় (খুলনা শহর অংশ) বটিয়াঘাটা উপজেলার পুটিমারী ও পূর্ব পাড় খারাবাদ (মোংলা অংশ) এলাকায় চলছে ব্যাপক রেল লাইন নির্মাণ  কর্মযজ্ঞ।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর একটি রূপসা নদীর উপর রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং সিস্টেম। প্রকল্পের আওতায় লুপ লাইনসহ রেলওয়ে ট্র্যাকের দৈর্ঘ্য ৮৬ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ। রূপসা নদীর উপরে যুক্ত হচ্ছে ১ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রেলসেতু। এছাড়া ২১টি ছোট ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট এবং খুলনার ফুলতলা থানা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৮টি স্টেশন নির্মাণকাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্টেশানের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।  এরমধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এল.এন.টি)রূপসা নদীর উপর রেলসেতুর নির্মাণ কাজ করছে। বাকি কাজ করছে ভারতীয় নির্মাণ  প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিঃ। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেলসেতু নির্মাণসহ সমগ্র প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এ রেলসেতুটি হবে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর রূপসা রেলসেতুর পাইলিংয়ের কাজের উদ্বোধন করেন রেল মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন। সর্বশেষ গত বছর ২ অক্টোবর রেল সচিব মো. সেলিম রেজা প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। ২০২২ এর জুন মাসে  রেল সেতু উদ্বোধনের আশাবাদ ওই সময় ব্যক্ত করেছিলেন রেল সচিব মহোদয়,
সেতুর অগ্রগতি সম্পর্কে রূপসা রেলসেতুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত বলেন, রেলসেতুর ভায়াডাক্টের ৮৫৬টি পাইলের মধ্যে সবকয়টি, পাইল বেস-গ্রাউটিং ৮৫৬টির সবকয়টি, পাইল ক্যাপ ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি, পিয়ার ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি, স্প্যান ইর্যাকশান ১৩৬টির সবকয়টি ও ব্যাক  ১৩৬টির মধ্যে সবকয়টি সম্পন্ন হয়েছে। এক কিলোমিটার দৈর্ঘের মূল সেতুর পাইল ৭২টির মধ্যে ৭০টি, পাইল ক্যাপ ৮টির মধ্যে ৩টি, বিয়ারিং ৩২টির মধ্যে ৮টি সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশ, চলতি বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।