০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

যশোরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা

প্রতিনিধির নাম

যশোরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মা ও পিতাকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।বাঘারপাড়ার হাবুল্য গ্রামের মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া এ মামলা করেন। আসামিরা হলো যশোর শহরের বকচর হুশতলার ভাড়াটিয়া ও হাবুল্য গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাহিদুল রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন নাহার। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, আসামি সাহিদুর রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন নাহার মামলার বাদীর পিতা ও মা। ২০২১ সালের ১০ মার্চ জান্নাতুল মাওয়া ভালোবেসে মিরাজুল ইসলামকে বিয়ে করেন। জান্নাতুল মাওয়ার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। জান্নাতুল মাওয়া গর্ভবতী হলে তার পিতা ও মা শ্বশুর বাড়িতে যেয়ে মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর জান্নাতুলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঢাকায় নিয়ে তার দুলাভাইয়ের বাসায় শিকল দিয়ে বেধে রাখে। একপর্যায়ে তাকে আবার যশোরের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে তার পরিবার। এমরধ্যে জান্নাতুল মাওয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর জোর করে স্বামীকে তালাক দেয়ায়। ৯ সেপ্টেম্বর শহরের বন্ধন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাওয়াকে। কিছুটা সুস্থ হলে আবার বাসা নিয়ে যায় তাকে। ১১ নভেম্বর সিটি হসপিটালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। পরে তাকে বাসায় নিয়ে গেলে বিষয়টি জানতে পারেন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া আবারও মিরাজুলকে বিয়ে করছেন। জান্নাতুল মাওয়ার অসম্মতিতে গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে পিতা ও মাকে আসামি করে আদালতে এ মামলা করেছেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
১৩৩ বার পড়া হয়েছে

যশোরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের মামলা

আপডেট : ১২:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

যশোরে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে মা ও পিতাকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা হয়েছে।বাঘারপাড়ার হাবুল্য গ্রামের মিরাজুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল মাওয়া এ মামলা করেন। আসামিরা হলো যশোর শহরের বকচর হুশতলার ভাড়াটিয়া ও হাবুল্য গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাহিদুল রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন নাহার। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, আসামি সাহিদুর রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন নাহার মামলার বাদীর পিতা ও মা। ২০২১ সালের ১০ মার্চ জান্নাতুল মাওয়া ভালোবেসে মিরাজুল ইসলামকে বিয়ে করেন। জান্নাতুল মাওয়ার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার। জান্নাতুল মাওয়া গর্ভবতী হলে তার পিতা ও মা শ্বশুর বাড়িতে যেয়ে মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর জান্নাতুলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঢাকায় নিয়ে তার দুলাভাইয়ের বাসায় শিকল দিয়ে বেধে রাখে। একপর্যায়ে তাকে আবার যশোরের ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে তার পরিবার। এমরধ্যে জান্নাতুল মাওয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর জোর করে স্বামীকে তালাক দেয়ায়। ৯ সেপ্টেম্বর শহরের বন্ধন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাওয়াকে। কিছুটা সুস্থ হলে আবার বাসা নিয়ে যায় তাকে। ১১ নভেম্বর সিটি হসপিটালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। পরে তাকে বাসায় নিয়ে গেলে বিষয়টি জানতে পারেন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া আবারও মিরাজুলকে বিয়ে করছেন। জান্নাতুল মাওয়ার অসম্মতিতে গর্ভপাত ঘটানোর অপরাধে পিতা ও মাকে আসামি করে আদালতে এ মামলা করেছেন।