রাজাপুরে নৌকায় ভোট দেওয়া সমর্থক কে অপহরণের অভিযোগ

রাজাপুরে নৌকায় ভোট দেওয়া সমর্থক কে অপহরণের অভিযোগ,
বাঁধা দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত ৩,
পরে অপহরণকৃত কে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুরে ইউনিয়নে নৌকায় ভোট দেওয়া আলাউদ্দিন নামে এক সমর্থক কে অপহরণের অভিযোগ উঠছে সাবেক মেম্বার সালাম জমাদারের বিরুদ্ধে।
অপহরণ করে নেওয়া সময় বাঁধা দেওয়া আলাউদ্দিনের মা ও তার অন্তঃসত্ত্বা বোনসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কন্দকপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, আলাউদ্দিনের মা সালেহা বেগম (৬৫), তার অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোন রাহিমা (২০) ও বড় বোন রহিম (২৫)। তারা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে অপহরণকৃত আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আহত সালেহা বেগম বলেন, আমরা তোফায়েল মিয়ার ও মিজান খা’র নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়াতে আমাদের উপর বহু হামলা চলতে আছে।আমার স্বামী শাহাজাহান কবিরাজ কে গত বৃহস্পতিবার ভুঁইয়াগো খালপাড় অনেক মারছে। পুলিশও গেছে, স্বামীকে হাসপাতাল আনতে চেয়ে, আনি নাই। বলছি দরকার নাই আল্লাহ বিচার করবো।আজকে আবার আমার ছেলে আলাউদ্দিনকে ধরে নিয়ে গেছে। আজ সকালে একজন বাড়ি বলে যে আপনার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়। সালাম মেম্বার, নজির, শাহাজাহান, জাকির আর আলমগীর এদের ধরে নিয়ে যায় দেখে বিলে গিয়ে দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে বাঁধা দেই। এবং তাদের কে জিজ্ঞাস করি কি জন্য নেও আমার পোলারে। বলে তোর পোলারে নিয়া বাইন্দা পিঠায়া রসি দিমু। আমি বলি কিয়ারে রসি দিবা। তারা বলে লেনদেন পাই।আমি বলি লেনদেন পেলে আমাগো বাড়ির দিকে আয়, আরো দশজনকে ডাক দেয়। তারা বলে এহন তোরও বাইন্দা থুমু। এরপর চিত করে পালায়া আমাকে ও আমার সাথে থাকা দুই মেয়ে মারধর করে। আমাদের সঙ্গে থাকা স্বর্নের চেইন,কানের দুল ও আমার মেয়ের মোবাইল নিয়ে যায় তার। কানের দুল নেওয়ার সময় আমার কান ছেড়ে ফেলেছে। আমার ছেলেকে কোথায় নিয়ে গেছে বলতে পারি না।
অপহরণকৃত আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে ইলিশা ফাঁড়ির এসআই মোঃ ছিদ্দিক। এ ব্যাপারের তার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, সালামের গ্রুপ ওহাব গ্রুপের আলাউদ্দিন নামে একজনকে জোর খাল এলাকা থেকে নিয়ে গিয়ে সালাম বাড়ীতে নিয়ে রাখছে। আমি সেখান থেকে আলাউদ্দিন কে উদ্ধার করেছি। ওকে আনাতে গেলে আলাউদ্দিনের মা আর দুই বোনকে পিঠায়েছে ইচ্ছা মত।আবার কানের থেকে স্বর্ন দুল টান গিয়ে কান ছিড়ে নিয়ে চলে গেছে। এটা ওখানে প্রমাণ পাওয়া গেছে।আমি যাওয়ার পর ওরা আমাকে আলাউদ্দিনকে দিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সালাম জমাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেন, আমি এলাকায় ছিলাম না। এলাকায় গিয়ে তারপর বুঝবো আসলে ঘটনাটি কি ঘটছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে, আমরা তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।