০১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রতিনিধির নাম

হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হত্যা মামলার তিন আসামীর বিরুদ্ধে একজনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হলে তার বাবা বাদি হয়ে মামলার করার ১১ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বাগুলাট ইউনিয়নের কালিকাতলা গ্রামের মুনছের মোল্লার ছেলে সালাম মোল্লা। এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই ইউনিয়নের শানপুকুরিয়া গ্রামের আমির হামজার ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কালিকাতলা এলাকার হারুনার রশিদ হারুর ছেলে রেজাউল জোয়ার্দার কালু। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে শহিদুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ২৮ মে সকাল ৬টার দিকে কালিতলা এলাকায় একটি ডোবায় তার গলাকাটা মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সেদিন নিহত শহিদুল ইসলামের বাবা মুনছের আলী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন। এদিকে নিহত শহিদুল ইসলামের বাবা মুনছের আলী রায়ে সন্তোশ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে শহিদুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন করে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। ১১ বছর পর এ রায়ে আমরা খুবই খুশি। তবে তাদের ফাঁসি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম। পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং একজনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:০৪:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২
১৫০ বার পড়া হয়েছে

হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট : ০৫:০৪:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২২

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হত্যা মামলার তিন আসামীর বিরুদ্ধে একজনের আমৃত্যু ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম। মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হলে তার বাবা বাদি হয়ে মামলার করার ১১ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বাগুলাট ইউনিয়নের কালিকাতলা গ্রামের মুনছের মোল্লার ছেলে সালাম মোল্লা। এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন একই ইউনিয়নের শানপুকুরিয়া গ্রামের আমির হামজার ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কালিকাতলা এলাকার হারুনার রশিদ হারুর ছেলে রেজাউল জোয়ার্দার কালু। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে শহিদুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ২৮ মে সকাল ৬টার দিকে কালিতলা এলাকায় একটি ডোবায় তার গলাকাটা মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সেদিন নিহত শহিদুল ইসলামের বাবা মুনছের আলী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন। এদিকে নিহত শহিদুল ইসলামের বাবা মুনছের আলী রায়ে সন্তোশ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে শহিদুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন করে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। ১১ বছর পর এ রায়ে আমরা খুবই খুশি। তবে তাদের ফাঁসি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম। পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং একজনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।