০৫:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

অটোরাইস মিলের দূষিত ছাঁই, ধুলা, বালিতে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুলের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

প্রতিনিধির নাম
মো: সাকিব হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার  লক্ষীপুর গ্রামে  অবস্থিত দেশ বাংলা অটো রাইস মিলের দূষিত ছাঁই ও ধুলো বালিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের পরিবার।

উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে জীবননগর লক্ষীপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন,  আমি ১৯৯৬ সাল থেকে উল্লেখিত ঠিকানায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, আমার বসবাসারে প্রায় ১০ বছর পর আমার নিজ বাড়ীর পাশেই বিল্লাল মিয়া নামক একজন ব্যাক্তি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই ” দেশ বাংলা নামক অটো রাইস মিল তৈরি করেন। উক্ত অটো রাইস মিল তৈরির পর থেকেই অটো রাইস মিল থেকে নির্গত ছাঁই,ধোয়া, ধুলাবালি প্রভৃতি দূষিত পদার্থ  দ্বারা তুষারের ন্যায় আমার ঘরবাড়ি ঢেকে গেছে। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যগন দূষিত ছাঁই, বালির জন্য ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। তাছাড়া আমার বাড়ির বাগানে বিভিন্ন জাতের ফল গাছ  রয়েছে যেমন: আম, জাম,কাঠাল, লিচু, পেয়ারা,নারকেল,বড়ই ইত্যাদি যা মিলের দূষিত ছাঁই পড়ে ঢেকে গেছে যার কারনে কোন ফল উৎপাদন হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন আমার বাগানের মত আশে পাশের আরো অনেক ফলজ বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। উক্ত বিষয় আমি দীর্ঘদিন ধরে মিল মালিক বিল্লাল হোসেনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। আমি আমার এই দূষণের বিচার চাই যদি এর কোন সঠিক ফলাফল না হয় তবে আমি আত্মহত্যা করবো।
এই বিষয়ে জানতে দেশবাংলা অটোরাইস মিলের মালিক বিল্লাল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন এটা একটা বানিজ্যিক এলাকা ঝড়ের সময় হয়তোবা আমাদের মিলের কিছু ধুলাবালি ও ছাঁই আশপাশে উড়তে পারে এছাড়া আমি চেষ্টা করবো আমার মিলের কারনে যেন কারো কোন ক্ষতি না  হয়।
এই বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রোকুনুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল ইসলাম খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন
ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার পরিদর্শক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ভুক্তভোগীরা আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ জানিয়েছেন আমরা নির্দেশনা পেল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০১:১১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
১১৯ বার পড়া হয়েছে

অটোরাইস মিলের দূষিত ছাঁই, ধুলা, বালিতে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুলের পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

আপডেট : ০১:১১:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
মো: সাকিব হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি:
ভুক্তভোগীর অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার  লক্ষীপুর গ্রামে  অবস্থিত দেশ বাংলা অটো রাইস মিলের দূষিত ছাঁই ও ধুলো বালিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের পরিবার।

উক্ত ঘটনার সত্যতা জানতে জীবননগর লক্ষীপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন,  আমি ১৯৯৬ সাল থেকে উল্লেখিত ঠিকানায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছি, আমার বসবাসারে প্রায় ১০ বছর পর আমার নিজ বাড়ীর পাশেই বিল্লাল মিয়া নামক একজন ব্যাক্তি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই ” দেশ বাংলা নামক অটো রাইস মিল তৈরি করেন। উক্ত অটো রাইস মিল তৈরির পর থেকেই অটো রাইস মিল থেকে নির্গত ছাঁই,ধোয়া, ধুলাবালি প্রভৃতি দূষিত পদার্থ  দ্বারা তুষারের ন্যায় আমার ঘরবাড়ি ঢেকে গেছে। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যগন দূষিত ছাঁই, বালির জন্য ঘর থেকে বের হতে পারছিনা। তাছাড়া আমার বাড়ির বাগানে বিভিন্ন জাতের ফল গাছ  রয়েছে যেমন: আম, জাম,কাঠাল, লিচু, পেয়ারা,নারকেল,বড়ই ইত্যাদি যা মিলের দূষিত ছাঁই পড়ে ঢেকে গেছে যার কারনে কোন ফল উৎপাদন হচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন আমার বাগানের মত আশে পাশের আরো অনেক ফলজ বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। উক্ত বিষয় আমি দীর্ঘদিন ধরে মিল মালিক বিল্লাল হোসেনকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। আমি আমার এই দূষণের বিচার চাই যদি এর কোন সঠিক ফলাফল না হয় তবে আমি আত্মহত্যা করবো।
এই বিষয়ে জানতে দেশবাংলা অটোরাইস মিলের মালিক বিল্লাল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন এটা একটা বানিজ্যিক এলাকা ঝড়ের সময় হয়তোবা আমাদের মিলের কিছু ধুলাবালি ও ছাঁই আশপাশে উড়তে পারে এছাড়া আমি চেষ্টা করবো আমার মিলের কারনে যেন কারো কোন ক্ষতি না  হয়।
এই বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রোকুনুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো: আমিরুল ইসলাম খানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন
ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার পরিদর্শক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সাথে বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ভুক্তভোগীরা আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ জানিয়েছেন আমরা নির্দেশনা পেল আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ভুক্তভোগী বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের তড়িৎ পদক্ষেপ কামনা করেছেন।