১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আগামিকাল জাতীয় চা দিবস; প্রথমবারের মতো দেয়া হবে জাতীয় চা পুরস্কার

প্রতিনিধির নাম

‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামীকাল ০৪ জুন, ২০২৩ তারিখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হবে। আটটি ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।

এ বছর চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন-চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান অনু্ষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০ টায়।

অনু্ষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব ইমরান আহমদ এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইফ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর সভাপতি কামরান টি রহমান, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি জনাব শাহ মঈনুদ্দিন হাসান ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি জনাব মো: জসিম উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন।

এছাড়া দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০৪ জুন ১৯৫৭ সাল থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ তারিখ পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০ জুলাই ২০২০ খ্রি. তারিখে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ০৪ জুনকে “জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে।

চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী সব উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও বর্তমান সরকারের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশের চা শিল্প টেকসই উন্নয়নে পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের ছায়াতলে দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীদের পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করছে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট অদম্য শ্রমিকগণ। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাগান মালিকগণ কাজ করে চলেছে।

দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:২৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
৭৩ বার পড়া হয়েছে

আগামিকাল জাতীয় চা দিবস; প্রথমবারের মতো দেয়া হবে জাতীয় চা পুরস্কার

আপডেট : ০৫:২৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

‘চা দিবসের সংকল্প, শ্রমিকবান্ধব চা শিল্প’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড এর উদ্যোগে আগামীকাল ০৪ জুন, ২০২৩ তারিখে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তৃতীয়বারের মত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান করা হবে। আটটি ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন।

এ বছর চা শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন-চা শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চায়ের রাজধানী বলে পরিচিত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জাতীয় চা দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং প্রথমবারের মত ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩’ প্রদান অনু্ষ্ঠান শুরু হবে সকাল ১০ টায়।

অনু্ষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জনাব ইমরান আহমদ এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং উপাধ্যক্ষ ড. মো: আব্দুস শহীদ এমপি, সভাপতি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি ও সাবেক চিফ হুইফ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর সভাপতি কামরান টি রহমান, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি জনাব শাহ মঈনুদ্দিন হাসান ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি জনাব মো: জসিম উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন।

এছাড়া দিবস উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চা মেলাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হবে। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গস্থ টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০৪ জুন ১৯৫৭ সাল থেকে ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ তারিখ পর্যন্ত চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করে রাখতে গত ২০ জুলাই ২০২০ খ্রি. তারিখে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ০৪ জুনকে “জাতীয় চা দিবস” ঘোষণা করা হয়েছে।

চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর যুগান্তকারী সব উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ও বর্তমান সরকারের নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে দেশের চা শিল্প টেকসই উন্নয়নে পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের ছায়াতলে দেশের চা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চা উৎপাদনকারী ও বিপণনকারীদের পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করছে এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট অদম্য শ্রমিকগণ। শ্রমঘন এ শিল্পে শ্রমবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাগান মালিকগণ কাজ করে চলেছে।

দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয় চা। সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানে ১৮৫৪ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা চাষ শুরু করা হয়। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের অন্যতম সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে চা শিল্প বিকশিত হতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে ব্রিটিশ শাসনাধীন উপমহাদেশের এ অঞ্চলে চা শিল্পের অগ্রগতি মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমেই হয়েছে।