০৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আমাদের মধুবিল

প্রতিনিধির নাম

সেই কবে কোন দিন স্রষ্টা গড়েছেন বিলখানি
সারা রাজ্যের জল গড়িয়ে এনেছেন হেথা টানি,
চৈত্র মাসেও শুকায়না বিল,মাঝখানে থাকে জল,
দখিনা হাওয়ায় ঢেউ খেলে সেথা জল করে টলমল।
স্বচ্ছ জলের কিনারে কিনারে লুটোপুটি করে ছোট মাছ,
কলমি লতারা বিছানা বিছায় বছরের বারো মাস।
বর্ষা আসিলে নবীন মেঘেরা বর্ষে অবিরাম,
জলে জল পড়ে ফুলে ফেঁপে ওঠে মধু বিলের চারিধাম।
বর্ষার জলে বন্যার জলে মিলেমিশে হয় একাকার,
দিগন্ত জুড়িয়া গড়িয়া ওঠে অথৈ জলের পাথার।
কলমি ডগা জলে ডুবে ডুবে ভেসে ওঠে আবার উপরে, পুবান বাতাসের ঢেউয়ের দোলায় নুয়ে পড়ে জলের শিয়রে।
জলচর পাখি দলে দলে এসে জলেতে করে সন্তরণ,
নব জলে তারা অবগাহন করিয়া জলকেলি করে সারাক্ষণ।
ছোট-বড় কতনা নৌকা পাল তুলিয়া ভাসিয়া যায়,
ঝিয়ারী কনেরা নায়রীতে আসে তাদের বাপের গাঁয়।
পুব দিগন্তে পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে, মধু বিলের বুক ফাঁরি,
দিক দিগন্ত আলোকিত করি ছড়িয়ে দেয় রশ্মি তারি।
সারা নিশি ধরি নীরবে শশী জোছনা ছড়ায় ভুবনময়,
বিলের জলে চাঁদের আলো গোপনে এসে কথা কয়।
বিলের চারিধারে জনবসতিরা হাজার বছর ধরে,
বিলের ফসলে বিলেরি মৎস্যে জীবিকা নির্বাহ করে।
হেথায় ফুল,ফসল, মাছ আর পাখিদের আনাগোনা,
যেন রূপসী বাংলার ঊর্বশী মেয়ে আমাদের বিলখানা।

ট্যাগস :
আপডেট : ১২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
২৩৬ বার পড়া হয়েছে

আমাদের মধুবিল

আপডেট : ১২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

সেই কবে কোন দিন স্রষ্টা গড়েছেন বিলখানি
সারা রাজ্যের জল গড়িয়ে এনেছেন হেথা টানি,
চৈত্র মাসেও শুকায়না বিল,মাঝখানে থাকে জল,
দখিনা হাওয়ায় ঢেউ খেলে সেথা জল করে টলমল।
স্বচ্ছ জলের কিনারে কিনারে লুটোপুটি করে ছোট মাছ,
কলমি লতারা বিছানা বিছায় বছরের বারো মাস।
বর্ষা আসিলে নবীন মেঘেরা বর্ষে অবিরাম,
জলে জল পড়ে ফুলে ফেঁপে ওঠে মধু বিলের চারিধাম।
বর্ষার জলে বন্যার জলে মিলেমিশে হয় একাকার,
দিগন্ত জুড়িয়া গড়িয়া ওঠে অথৈ জলের পাথার।
কলমি ডগা জলে ডুবে ডুবে ভেসে ওঠে আবার উপরে, পুবান বাতাসের ঢেউয়ের দোলায় নুয়ে পড়ে জলের শিয়রে।
জলচর পাখি দলে দলে এসে জলেতে করে সন্তরণ,
নব জলে তারা অবগাহন করিয়া জলকেলি করে সারাক্ষণ।
ছোট-বড় কতনা নৌকা পাল তুলিয়া ভাসিয়া যায়,
ঝিয়ারী কনেরা নায়রীতে আসে তাদের বাপের গাঁয়।
পুব দিগন্তে পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে, মধু বিলের বুক ফাঁরি,
দিক দিগন্ত আলোকিত করি ছড়িয়ে দেয় রশ্মি তারি।
সারা নিশি ধরি নীরবে শশী জোছনা ছড়ায় ভুবনময়,
বিলের জলে চাঁদের আলো গোপনে এসে কথা কয়।
বিলের চারিধারে জনবসতিরা হাজার বছর ধরে,
বিলের ফসলে বিলেরি মৎস্যে জীবিকা নির্বাহ করে।
হেথায় ফুল,ফসল, মাছ আর পাখিদের আনাগোনা,
যেন রূপসী বাংলার ঊর্বশী মেয়ে আমাদের বিলখানা।