০৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

প্রতিনিধির নাম

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টি ২০র সঙ্গে একটু রসিকতা করল আবহাওয়া। বেলা ২টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা। টসের পর বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা পড়ে। ৪০ মিনিট পর বৃষ্টি থামলে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ম্যাচ শুরুর ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। খানিক পর আবার শুরু হয় বৃষ্টি। ১৭ ওভারের ম্যাচ শুরু হয় ৩টা ৪০ মিনিটে।

তারপর? জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় উঠল। কালবৈশাখী নয়, লিটন-রনি ঝড়। এ দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩.৩ ওভারেই বাংলাদেশ ৫০ পেরিয়ে যায় মাত্র ২১ বলে। টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে যা বাংলাদেশের দ্রুততম। এই প্রথম বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি টানা তৃতীয়বার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের পার্টনারশিপ গড়ল। এরপর যা হলো, এককথায় তা জাদু।

লিটন ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ১৮ বলে। তার তুঙ্গস্পর্শী ফর্মের আরেক ঝলক দেখা গেল এদিন। বাংলাদেশের হয়ে যে কোনো সংস্করণে এটি দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। মোহাম্মদ আশরাফুল চলে গেলেন পেছনের বেঞ্চে। ২০০৭ টি ২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আশরাফুলের ২০ বলে ফিফটি ছিল আগের রেকর্ড।

৯.২ ওভারে ১২৪ রানে ভাঙে লিটন-রনির উদ্বোধনী জুটি। টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে যা সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ছিল মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২, ২০২১-এর জুলাইয়ে। দুই ওপেনারের যুগল তাণ্ডবে মাত্র ৪৩ বলে দলীয় দ্রুততম শতরানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। লং-অনে এডেয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার। বোলার ছিলেন হোয়াইট। ২৩ বলে ৪৪ রনির পুঁজি। তিনটি চার ও দুটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ১৯১.৩। ১২তম ওভারে উইকেটের অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন একটিও ডট বল না খেলে ফিফটি পূর্ণ করা লিটন। ১০টি চার ও তিনটি ছয়ে ২০২.৪৩ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৮৩। বল খেলেছেন ৪১টি। চতুর্থ ওভারে ১৬ রানে ফিরে যেতে পারতেন লিটন। জর্জ ডকরেল তার বুলেট গতির পুল শট ধরে রাখতে পারেননি। এই জুটি ১৩টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকায়। ভেঙে দেয় অনেক রেকর্ড।

এরপরও চার-ছয়ের বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। ১৩তম ওভারে সাকিব হ্যারি টেক্টরকে একটি করে চার ও ছয় মারেন। আন্তর্জাতিক টি ২০তে বাংলাদেশ দ্রুততম ১৫০ রান করে। ১৭তম ওভার পূর্ণ হওয়ার এক বল আগে তাওহিদ হৃদয় ১৩ বলে ২৪ রান করতে আউট হন (তিনটি চার ও একটি ছয়)। স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৬১। ১৭ ওভারে তিন উইকেটে ২০২ বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২৪ বলে ৩৮* (তিনটি চার ও দুটি ছয়)। সাকিব ও হৃদয় তৃতীয় উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন। ২০৩ রানের পাহাড় তাড়া করতে নামা আয়ারল্যান্ড ৪৩ রানে হারায় ছয় উইকেট। পরে কার্টিস ক্যাম্ফারের ফিফটির (৩০ বলে ৫০ রান) বদৌলতে নির্ধারিত ১৭ ওভারে নয় উইকেটে ১২৫ রানে থামে সফরকারীরা। সাকিবের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি ২৭ রানে তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।

ট্যাগস :
আপডেট : ১১:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
১৩৬ বার পড়া হয়েছে

আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

আপডেট : ১১:৩২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টি ২০র সঙ্গে একটু রসিকতা করল আবহাওয়া। বেলা ২টায় খেলা শুরু হওয়ার কথা। টসের পর বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা পড়ে। ৪০ মিনিট পর বৃষ্টি থামলে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে ম্যাচ শুরুর ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। খানিক পর আবার শুরু হয় বৃষ্টি। ১৭ ওভারের ম্যাচ শুরু হয় ৩টা ৪০ মিনিটে।

তারপর? জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় উঠল। কালবৈশাখী নয়, লিটন-রনি ঝড়। এ দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৩.৩ ওভারেই বাংলাদেশ ৫০ পেরিয়ে যায় মাত্র ২১ বলে। টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে যা বাংলাদেশের দ্রুততম। এই প্রথম বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি টানা তৃতীয়বার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের পার্টনারশিপ গড়ল। এরপর যা হলো, এককথায় তা জাদু।

লিটন ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ১৮ বলে। তার তুঙ্গস্পর্শী ফর্মের আরেক ঝলক দেখা গেল এদিন। বাংলাদেশের হয়ে যে কোনো সংস্করণে এটি দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড। মোহাম্মদ আশরাফুল চলে গেলেন পেছনের বেঞ্চে। ২০০৭ টি ২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আশরাফুলের ২০ বলে ফিফটি ছিল আগের রেকর্ড।

৯.২ ওভারে ১২৪ রানে ভাঙে লিটন-রনির উদ্বোধনী জুটি। টি ২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে যা সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি ছিল মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০২, ২০২১-এর জুলাইয়ে। দুই ওপেনারের যুগল তাণ্ডবে মাত্র ৪৩ বলে দলীয় দ্রুততম শতরানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। লং-অনে এডেয়ারের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন রনি তালুকদার। বোলার ছিলেন হোয়াইট। ২৩ বলে ৪৪ রনির পুঁজি। তিনটি চার ও দুটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ১৯১.৩। ১২তম ওভারে উইকেটের অনেক বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন একটিও ডট বল না খেলে ফিফটি পূর্ণ করা লিটন। ১০টি চার ও তিনটি ছয়ে ২০২.৪৩ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৮৩। বল খেলেছেন ৪১টি। চতুর্থ ওভারে ১৬ রানে ফিরে যেতে পারতেন লিটন। জর্জ ডকরেল তার বুলেট গতির পুল শট ধরে রাখতে পারেননি। এই জুটি ১৩টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকায়। ভেঙে দেয় অনেক রেকর্ড।

এরপরও চার-ছয়ের বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। ১৩তম ওভারে সাকিব হ্যারি টেক্টরকে একটি করে চার ও ছয় মারেন। আন্তর্জাতিক টি ২০তে বাংলাদেশ দ্রুততম ১৫০ রান করে। ১৭তম ওভার পূর্ণ হওয়ার এক বল আগে তাওহিদ হৃদয় ১৩ বলে ২৪ রান করতে আউট হন (তিনটি চার ও একটি ছয়)। স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৬১। ১৭ ওভারে তিন উইকেটে ২০২ বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ২৪ বলে ৩৮* (তিনটি চার ও দুটি ছয়)। সাকিব ও হৃদয় তৃতীয় উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন। ২০৩ রানের পাহাড় তাড়া করতে নামা আয়ারল্যান্ড ৪৩ রানে হারায় ছয় উইকেট। পরে কার্টিস ক্যাম্ফারের ফিফটির (৩০ বলে ৫০ রান) বদৌলতে নির্ধারিত ১৭ ওভারে নয় উইকেটে ১২৫ রানে থামে সফরকারীরা। সাকিবের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি ২৭ রানে তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।