০৮:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করবো- টিপু মুনশী এমপি

প্রতিনিধির নাম

বাংলাদেশ-ইরানের  বানিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারকরণের মাধ্যমে ব্যবসা-বানিজ্যের সম্প্রসারণে একত্রে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

 

আজ বুধবার দুপুরে  নিজ কার্যালয়ে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে ইরানের প্রতি এ আহবান জানান তিনি।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সাথে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশ ইরানে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করলেও এর পরিমাণ খুব বেশি নয়। আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে উভয় দেশেরই অনেক সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশ ও ইরান ওআইসির সদস্য। আবার ঊভয় দেশেই ডি-৮ এর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র। দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি ২০২২ সালে দুই দেশ দ্বৈত শুল্ক পরিহারেও চুক্তি স্বাক্ষর করে। এসময় দ্বৈত ‍শুল্ক পরিহার চুক্তিটি অনুসমর্থন করার জন্য ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।

 

উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

সাক্ষাতকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইরানের পুরানো ও বিশ্বস্ত বন্ধু-প্রতীম দেশ। উভয় দেশেই প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই লাভবান এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

এসময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ এগিয়ে যাওয়ায় প্রশংসা করেন ইরানি রাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
৭৪ বার পড়া হয়েছে

ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করবো- টিপু মুনশী এমপি

আপডেট : ০৩:৫৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ-ইরানের  বানিজ্য প্রসারে একত্রে কাজ করা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারকরণের মাধ্যমে ব্যবসা-বানিজ্যের সম্প্রসারণে একত্রে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

 

আজ বুধবার দুপুরে  নিজ কার্যালয়ে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোসি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে ইরানের প্রতি এ আহবান জানান তিনি।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের সাথে ইরানের বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাণিজ্যের অন্যতম অংশীদার। বাংলাদেশ ইরানে আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি করলেও এর পরিমাণ খুব বেশি নয়। আমদানি-রপ্তানি সম্প্রসারণে উভয় দেশেরই অনেক সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই দেশেই ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশ ও ইরান ওআইসির সদস্য। আবার ঊভয় দেশেই ডি-৮ এর অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র। দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৬ সালে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি ২০২২ সালে দুই দেশ দ্বৈত শুল্ক পরিহারেও চুক্তি স্বাক্ষর করে। এসময় দ্বৈত ‍শুল্ক পরিহার চুক্তিটি অনুসমর্থন করার জন্য ইরানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানান তিনি।

 

উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী ইরান-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

সাক্ষাতকালে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইরানের পুরানো ও বিশ্বস্ত বন্ধু-প্রতীম দেশ। উভয় দেশেই প্রাচীনকাল থেকেই সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণই লাভবান এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

এসময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ এগিয়ে যাওয়ায় প্রশংসা করেন ইরানি রাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত।