০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

উজিরপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বহাল তবিয়তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

প্রতিনিধির নাম
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হাবিবপুরে সৈয়দ আজিজুল হক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন যাবৎ  বহাল তবিয়তে রহিয়াছেন।
সুত্রে জানা যায়, গত ২৯/০৬/২০২২ তারিখের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইং ২৯/০৬/২০২২ তারিখের স্মারক নং- ০৭ (১৫২৫) জাতীঃ বিঃ/কঃপঃ/৫৪৬১৪ এর মাধ্যমে প্রজ্ঞাপনে অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ধারা ৪(ii) মোতাবেক পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবেন।  উল্লেখিত প্রজ্ঞাপন সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে প্রায় ০৪ (চার) বছর দায়িত্ব পালন করেন যাহা আইনের মধ্য পরেনা।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত ২২/১১/২২ ইং তারিখে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি পাঠিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দায়িত্ব হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন। উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেজুলেশন মোতাবেক উপাধ্যক্ষ / জ্যেষ্ঠতম ৫ জন শিক্ষকদের মধ্য হতে যেকোনো একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে গভর্নিং বডির রেজুলেশন সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে অবহিত করতে বলা হয়েছে এবং আরো বলা হয়েছে যে, মোঃ রুহুল আমিন কর্তিক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে স্বাক্ষরিত কোন প্রকার আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করা হবে না।
জাতীয়  বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বর্তমানেও মোহাম্মদ রুহুল আমিন উক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে উক্ত কলেজের  গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ তাসাদ্দুক হোসাইন, খবির আহমেদ, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ সালাউদ্দিন সেলিম বাদী হয়ে রুহুল আমিনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বর বৈধতা নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মোকদ্দমা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৪৫/২০২৩। উক্ত মামলার এজাহারেও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদীপক্ষ।
এ বিষয়ে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি বলেন, তিনি জোরজবরদস্তি করে উক্ত কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে কলেজের অনেক ক্ষতি সাধন করছেন। তার উচিৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী  দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
এ বিষয়ে, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বার বার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আমরা অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারিনি এবং  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি যাহাতে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।
 এ বিষয়ে মামালর বাদি মোহাম্মদ তাসাদ্দুক হোসাইন বলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আবেদনের প্রেক্ষেতিতে এখন পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন জবাব আসেনি বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খোজ নিয়ে  আমরা জানি ।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৯:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
৯৬ বার পড়া হয়েছে

উজিরপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বহাল তবিয়তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

আপডেট : ০৯:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হাবিবপুরে সৈয়দ আজিজুল হক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো: রুহুল আমিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন যাবৎ  বহাল তবিয়তে রহিয়াছেন।
সুত্রে জানা যায়, গত ২৯/০৬/২০২২ তারিখের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইং ২৯/০৬/২০২২ তারিখের স্মারক নং- ০৭ (১৫২৫) জাতীঃ বিঃ/কঃপঃ/৫৪৬১৪ এর মাধ্যমে প্রজ্ঞাপনে অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি ধারা ৪(ii) মোতাবেক পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবহিত করবেন।  উল্লেখিত প্রজ্ঞাপন সত্ত্বেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে প্রায় ০৪ (চার) বছর দায়িত্ব পালন করেন যাহা আইনের মধ্য পরেনা।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গত ২২/১১/২২ ইং তারিখে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর চিঠি পাঠিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রুহুল আমিনের দায়িত্ব হস্তান্তর করার নির্দেশ দেন। উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের চাকুরীর শর্তাবলী রেজুলেশন মোতাবেক উপাধ্যক্ষ / জ্যেষ্ঠতম ৫ জন শিক্ষকদের মধ্য হতে যেকোনো একজনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে গভর্নিং বডির রেজুলেশন সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে অবহিত করতে বলা হয়েছে এবং আরো বলা হয়েছে যে, মোঃ রুহুল আমিন কর্তিক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে স্বাক্ষরিত কোন প্রকার আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করা হবে না।
জাতীয়  বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বর্তমানেও মোহাম্মদ রুহুল আমিন উক্ত কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে উক্ত কলেজের  গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ তাসাদ্দুক হোসাইন, খবির আহমেদ, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ সালাউদ্দিন সেলিম বাদী হয়ে রুহুল আমিনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বর বৈধতা নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মোকদ্দমা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৪৫/২০২৩। উক্ত মামলার এজাহারেও মোহাম্মদ রুহুল আমিনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাদীপক্ষ।
এ বিষয়ে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ব্যক্তি বলেন, তিনি জোরজবরদস্তি করে উক্ত কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে কলেজের অনেক ক্ষতি সাধন করছেন। তার উচিৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী  দায়িত্ব হস্তান্তর করা।
এ বিষয়ে, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বার বার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও আমরা অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারিনি এবং  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছি যাহাতে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।
 এ বিষয়ে মামালর বাদি মোহাম্মদ তাসাদ্দুক হোসাইন বলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আবেদনের প্রেক্ষেতিতে এখন পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোন জবাব আসেনি বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে খোজ নিয়ে  আমরা জানি ।