০৭:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কালাইয়ে  স্কুল শিক্ষার্থী সিয়াম বাঁচাতে বাবার আকুতি

প্রতিনিধির নাম
জয়পুরহাটের কালাইয়ে সন্তানকে বাঁচাতে বাবার আকুতি । মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিভু নিভু করছে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরেফিন রহমান সিয়ামের জীবন। বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা না গেলে মৃত্যু তার অবধারিত বলেছেন চিকিৎসকরা। বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করতে খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু সিয়াম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হওয়ায় সেই সাধ্য নেই। যা সঞ্চয় ছিল সব চিকিৎসা বাবদ ব্যয় করে আজও সুস্থ্য হয়নি সিয়াম। তার সুস্থ্যতার জন্য গত কয়েক মাসে ১১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিমাসে রক্ত দেওয়া ছাড়াও ঔষধের জন্য খরচ হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। এ অবস্থায় সিয়ামকে বাঁচাতে হলে দ্রুত বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কালাই পৌরশহরের পৌরপাড়া মহল্লার আশিকুর রহমানের বড় ছেলে আরেফিন রহমান সিয়াম কালাই ওমর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সিয়াম অসুস্থ হয় গত বছর। শরীরে তার রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত বছরের ৮ আগষ্ট হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সুরজিত সরকার তিতাস সিয়ামের অবর্ধক রক্তশূন্যতা রোগ শনাক্ত করেন। এটি একটি বিরল রক্তব্যাধি। যাতে শরীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক রক্তকণিকা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এরপর ঢাকা, রংপুর এবং ভারতের ভেলোর সিএমসি সহ একাধিক হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর সেখানকার চিকিৎসকগণও সিয়ামের শরীরে একই রোগ শনাক্ত করেন। দুই দেশের চিকিৎসকগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে সিয়ামের বনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। রক্তের প্লাটিলেট ১৫ হাজার এবং হিমোগেগ্লোবিন মাত্র ৬। বর্তমানে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালের হেমাটোললজি বিশেষজ্ঞ ডা. কর্ণেল মো: মোস্তাফিল করিম সিয়ামের চিকিৎসা করছেন।
সিয়ামের বাবা একজন জুতা ব্যবসায়ী। কালাই মসজিদ মার্কেটে তার দোকান আছে। সেই দোকানের আয় দিয়েই তাদের সংসারের খরচ চলতো। কিন্তু দোকানের মালামাল বিক্রি করে গত একবছর ধরে সিয়ামের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে তার খরচ হয়েছে ১১ লক্ষাধিক টাকা। এখন ছেলে সিয়ামের বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করার মত সামর্থ্য তার নেই। তাই ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবান সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে তিনি সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন।
সিয়ামের বাবা আশিকুর রহমান বলেন,‘ছেলের চিকিৎসার জন্য এখনো প্রতিমাসে ৭০ হাজার টাকার ঔষধ কিনতে হয়। ছয় শতকের বসতভিটা আর একটি জুতার দোকানই আমার সম্বল। যা কিছু ছিল সবই ব্যয় করেছি। তারপরও ছেলেকে সুস্থ্য করতে পারিনি। এখন কিভাবে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় মেটাবো ভেবে পাচ্ছি না। বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করতে দেশে ২৫ থেকে ৩০ লাখ এবং ভারতে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন। তিনি ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন।
আশিকুর রহমানের অগ্রনী ব্যাংক কালাই শাখার সঞ্চয়ী হিসেব নম্বর ০২০০০১৮৮৪০৬৯৩, বিকাশ নম্বর ০১৭৫৩২৬২৯১০, মোবাইল ০১৭২৫-৭৩৩৫৫৫।
ট্যাগস :
আপডেট : ০২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
৬৮ বার পড়া হয়েছে

কালাইয়ে  স্কুল শিক্ষার্থী সিয়াম বাঁচাতে বাবার আকুতি

আপডেট : ০২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
জয়পুরহাটের কালাইয়ে সন্তানকে বাঁচাতে বাবার আকুতি । মাত্র ১৫ বছর বয়সে নিভু নিভু করছে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরেফিন রহমান সিয়ামের জীবন। বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করা না গেলে মৃত্যু তার অবধারিত বলেছেন চিকিৎসকরা। বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করতে খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু সিয়াম নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হওয়ায় সেই সাধ্য নেই। যা সঞ্চয় ছিল সব চিকিৎসা বাবদ ব্যয় করে আজও সুস্থ্য হয়নি সিয়াম। তার সুস্থ্যতার জন্য গত কয়েক মাসে ১১ লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিমাসে রক্ত দেওয়া ছাড়াও ঔষধের জন্য খরচ হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। এ অবস্থায় সিয়ামকে বাঁচাতে হলে দ্রুত বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
কালাই পৌরশহরের পৌরপাড়া মহল্লার আশিকুর রহমানের বড় ছেলে আরেফিন রহমান সিয়াম কালাই ওমর কিন্ডার গার্টেন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সিয়াম অসুস্থ হয় গত বছর। শরীরে তার রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে গত বছরের ৮ আগষ্ট হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সুরজিত সরকার তিতাস সিয়ামের অবর্ধক রক্তশূন্যতা রোগ শনাক্ত করেন। এটি একটি বিরল রক্তব্যাধি। যাতে শরীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক রক্তকণিকা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এরপর ঢাকা, রংপুর এবং ভারতের ভেলোর সিএমসি সহ একাধিক হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর সেখানকার চিকিৎসকগণও সিয়ামের শরীরে একই রোগ শনাক্ত করেন। দুই দেশের চিকিৎসকগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে সিয়ামের বনমেরু ট্রান্সপ্লান্টের পরামর্শ দিয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। রক্তের প্লাটিলেট ১৫ হাজার এবং হিমোগেগ্লোবিন মাত্র ৬। বর্তমানে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালের হেমাটোললজি বিশেষজ্ঞ ডা. কর্ণেল মো: মোস্তাফিল করিম সিয়ামের চিকিৎসা করছেন।
সিয়ামের বাবা একজন জুতা ব্যবসায়ী। কালাই মসজিদ মার্কেটে তার দোকান আছে। সেই দোকানের আয় দিয়েই তাদের সংসারের খরচ চলতো। কিন্তু দোকানের মালামাল বিক্রি করে গত একবছর ধরে সিয়ামের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে তার খরচ হয়েছে ১১ লক্ষাধিক টাকা। এখন ছেলে সিয়ামের বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করার মত সামর্থ্য তার নেই। তাই ছেলেকে বাঁচাতে বিত্তবান সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে তিনি সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন।
সিয়ামের বাবা আশিকুর রহমান বলেন,‘ছেলের চিকিৎসার জন্য এখনো প্রতিমাসে ৭০ হাজার টাকার ঔষধ কিনতে হয়। ছয় শতকের বসতভিটা আর একটি জুতার দোকানই আমার সম্বল। যা কিছু ছিল সবই ব্যয় করেছি। তারপরও ছেলেকে সুস্থ্য করতে পারিনি। এখন কিভাবে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় মেটাবো ভেবে পাচ্ছি না। বনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট করতে দেশে ২৫ থেকে ৩০ লাখ এবং ভারতে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা খরচ হওয়ার কথা চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন। তিনি ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছেন।
আশিকুর রহমানের অগ্রনী ব্যাংক কালাই শাখার সঞ্চয়ী হিসেব নম্বর ০২০০০১৮৮৪০৬৯৩, বিকাশ নম্বর ০১৭৫৩২৬২৯১০, মোবাইল ০১৭২৫-৭৩৩৫৫৫।