১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কুমিল্লায় মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে প্রকাশ্য দিবালোকে মসজিদের সামনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে জুমার নামাজের পর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত এনামুল হক ওই গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ও সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।অভিযোগ রয়েছে,এনামুলের সঙ্গে একটি পক্ষের মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে এবং মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশ করে দেয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর এনামুলকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তার গলা ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এনামুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ থেকে এনামুল বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন মিলে তাকে টেনে হিঁচড়ে মসজিদের সামনে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে এনামুল মারা যান।কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুলকে দায়ী করে তারা। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান। এনামুলের হত্যাকারীরা জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ তার।
ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরালসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এনামুলের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:২৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
৬৯ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লায় মসজিদের সামনে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

আপডেট : ০৬:২৭:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে প্রকাশ্য দিবালোকে মসজিদের সামনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে জুমার নামাজের পর উপজেলার দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত এনামুল হক ওই গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ও সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।অভিযোগ রয়েছে,এনামুলের সঙ্গে একটি পক্ষের মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে এবং মাদক সেবনের ভিডিও প্রকাশ করে দেয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বিরোধ ছিল। তারই জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পর এনামুলকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তার গলা ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এনামুলের বাবা আবদুল ওয়াদুদ জানান, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ থেকে এনামুল বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন মিলে তাকে টেনে হিঁচড়ে মসজিদের সামনে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে এনামুল মারা যান।কুমিল্লা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল জানান, আওয়ামী লীগ কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়া বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুলকে দায়ী করে তারা। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান। এনামুলের হত্যাকারীরা জামায়াত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ তার।
ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরালসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এনামুলের সঙ্গে বেশ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।