০১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কুরআনের নূর,পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী ও ইসলামিক কনফারেন্স ২০২৩ অনুষ্ঠিত

প্রতিনিধির নাম

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনবীরের কল্যাণে এত বড় অনুষ্ঠান এর আয়োজন সম্ভব হয়েছে’ প্রতিযোগীতা সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর, পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ প্রথম আসরের সমাপনী ও ইসলামিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।আইসিসিবির নবরাত্রি হলে বিশ্ববরেণ্য সম্মানিত আলেম-ওলামাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে চূড়ান্ত ধাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ঢাকা উত্তরের মারকাজুল ফয়জুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ নুরুদ্দীন মোহাম্মদ জাকারিয়া।

পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী ঢাকা উত্তরের মো. শাহরিয়ার নাফিস সালমান পেয়েছে ৭ লাখ টাকা।

প্রতিযোগীতায় তৃতীয় স্হান অধিকার করে সম্মান অর্জন করেছেন কুমিল্লার শামসুল উলূম তাহফিজুল হিফজ কোরআন মাদ্রাসার মো. মোশাররফ হোসাইন পেয়েছে ৫ লাখ টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম স্হান অধিকার করেছেন ঢাকা দক্ষিণের মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী মো. নাসরুল্লাহ আনাছ এবং মোহাম্মদ বশীর আহমদ।অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছেন দুই লক্ষ টাকা করে।
সেরা আটের বাকি তিনজন ময়মনসিংহের মো. লাবিব আল হাসান, সিলেটের মো. আবু তালহা আনহার ও ঢাকা দক্ষিণের আবদুল্লাহ আল মারুফ পেয়েছে ১ লাখ টাকা করে। এছাড়া বিজয়ীদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতা-সহ পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের সুযোগ পাবে।

এদিকে প্রতিযোগিতার নবম থেকে ৪৫তম স্থান অধিকারীরাও পেয়েছে আর্থিক সম্মাননা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির এই অনন্য আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর চ্যানেলে হাফেজদের এ প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর অতিথিদের নিয়ে মঞ্চে ওঠার সময় হলজুড়ে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। এ সময় আগত অতিথিদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

আজ সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান মহোদয়

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন,এটা সত্যি গর্বের ব্যাপার যে ইসলাম কত সুন্দর কত, শান্ত কত, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলে। তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। এই আয়োজনে আগামীতে যেন নিয়মিতভাবে চালু থাকে এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সচেষ্ট থাকবে। আর পুরস্কারের মাত্রাটা সাতজনের জায়গায় অন্তত ১৫ জন হওয়া উচিত। কেননা প্রতি জেলা থেকে এত পরিমাণ প্রতিযোগীরা আসে, আমি চাই না তারা বিরাগভাজন হয়ে ফিরুক। এই শিশুরা তাদের আত্মার ভেতরে কুরআনকে ঢুকিয়ে রেখেছে। এরাই ভবিষ্যতে কুরআনকে রক্ষা করবে। আমি অনুরোধ করবো যারা হাফেজ, তারা শুধু আরবিতে নয় বাংলাতেও তারা কুরআনের অর্থ বুঝে পারদর্শী হয়ে উঠবে।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমার ইচ্ছা, বসুন্ধরা গ্রুপ এবং বায়তুল মোকাররমের যৌথ প্রচেষ্টায় একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আহ্বান জানাই। যেখানে এই হাফেজরাসহ আরও অনেকে উচ্চশিক্ষা পাবে এবং সারা বিশ্বে ইসলামের মুখ উজ্জ্বল করবে। এটা প্রমাণ করবে যে বাঙালি মুসলমান অনেক শক্তিশালী, ইসলামে তাদের খুঁটি অনেক শক্ত। সুতরাং আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় বসুন্ধরা স্থাপন করতে পারে।

এ সময় তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা দান করারও ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ:) এর সুযোগ্য নাতি আওলাদে রাসুল (সা:) সায়্যিদ মুফতি আফফান মানসুরপুরী (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি ভারত থেকে এসে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই ধরনের আয়োজন সত্যিই অনন্য। আগামীতেও এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে এটাই প্রত্যাশা করি। কুরআনের সেবা করা মানেই ইসলামের সেবা করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মানবিক ব্যক্তিত্ব সায়েম সোবহান আনভীর।

সারাদেশে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার একটি সুন্দর পরিকল্পনা ছিল জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির। কিন্তু অর্থের অভাবে তা কোনমতে করা যাচ্ছিল না।সুন্দর এই পরিকল্পনার কথা বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবকে জানাই। তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি আশা করি, এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের কোরআনের হেফাজতরা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মান আরও উঁচুতে নিয়ে যাবে। তারা নিজেরা নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম মানে মানবতা। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো কুরআনের বাণীকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আগামীতে কুরআনের এই প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশে আয়োজন করা হবে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমরা সফলভাবে এই আয়োজনটি করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সুদূর মিশর থেকে আসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাইনা (হাফিজাহুল্লাহ), চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া (দা.বা.),জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন প্রমুখ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাজধানীর এক হাজার মসজিদের প্রখ্যাত ইমাম, মুহতামিম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ইসলামিক স্কলাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, থানা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছেন ১৫০ জন আলেম ও ইসলামিক স্কলার। গত কয়েকদিন ধরে বিপুল সংখ্যক ইসলামিক স্কলার ও আলেমদের একত্রিত করার এ বড় কর্মযজ্ঞ চলে সরাসরি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের তত্ত্বাবধানে।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে দেখা যায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। এর আগে মঞ্চ কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা ইসলামী গান পরিবেশন করে মাতিয়ে তোলেন অনুষ্ঠানস্থল ও হল রুম।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
১১২ বার পড়া হয়েছে

কুরআনের নূর,পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী ও ইসলামিক কনফারেন্স ২০২৩ অনুষ্ঠিত

আপডেট : ০৩:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনবীরের কল্যাণে এত বড় অনুষ্ঠান এর আয়োজন সম্ভব হয়েছে’ প্রতিযোগীতা সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর, পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ প্রথম আসরের সমাপনী ও ইসলামিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারের নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।আইসিসিবির নবরাত্রি হলে বিশ্ববরেণ্য সম্মানিত আলেম-ওলামাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় প্রায় ১০ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে চূড়ান্ত ধাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ঢাকা উত্তরের মারকাজুল ফয়জুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ নুরুদ্দীন মোহাম্মদ জাকারিয়া।

পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় বিজয়ী ঢাকা উত্তরের মো. শাহরিয়ার নাফিস সালমান পেয়েছে ৭ লাখ টাকা।

প্রতিযোগীতায় তৃতীয় স্হান অধিকার করে সম্মান অর্জন করেছেন কুমিল্লার শামসুল উলূম তাহফিজুল হিফজ কোরআন মাদ্রাসার মো. মোশাররফ হোসাইন পেয়েছে ৫ লাখ টাকা। চতুর্থ ও পঞ্চম স্হান অধিকার করেছেন ঢাকা দক্ষিণের মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী মো. নাসরুল্লাহ আনাছ এবং মোহাম্মদ বশীর আহমদ।অনুষ্ঠানে পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছেন দুই লক্ষ টাকা করে।
সেরা আটের বাকি তিনজন ময়মনসিংহের মো. লাবিব আল হাসান, সিলেটের মো. আবু তালহা আনহার ও ঢাকা দক্ষিণের আবদুল্লাহ আল মারুফ পেয়েছে ১ লাখ টাকা করে। এছাড়া বিজয়ীদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতা-সহ পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের সুযোগ পাবে।

এদিকে প্রতিযোগিতার নবম থেকে ৪৫তম স্থান অধিকারীরাও পেয়েছে আর্থিক সম্মাননা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির এই অনন্য আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর চ্যানেলে হাফেজদের এ প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর অতিথিদের নিয়ে মঞ্চে ওঠার সময় হলজুড়ে তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। এ সময় আগত অতিথিদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

আজ সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান মহোদয়

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন,এটা সত্যি গর্বের ব্যাপার যে ইসলাম কত সুন্দর কত, শান্ত কত, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলে। তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। এই আয়োজনে আগামীতে যেন নিয়মিতভাবে চালু থাকে এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সচেষ্ট থাকবে। আর পুরস্কারের মাত্রাটা সাতজনের জায়গায় অন্তত ১৫ জন হওয়া উচিত। কেননা প্রতি জেলা থেকে এত পরিমাণ প্রতিযোগীরা আসে, আমি চাই না তারা বিরাগভাজন হয়ে ফিরুক। এই শিশুরা তাদের আত্মার ভেতরে কুরআনকে ঢুকিয়ে রেখেছে। এরাই ভবিষ্যতে কুরআনকে রক্ষা করবে। আমি অনুরোধ করবো যারা হাফেজ, তারা শুধু আরবিতে নয় বাংলাতেও তারা কুরআনের অর্থ বুঝে পারদর্শী হয়ে উঠবে।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, আমার ইচ্ছা, বসুন্ধরা গ্রুপ এবং বায়তুল মোকাররমের যৌথ প্রচেষ্টায় একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য আমি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আহ্বান জানাই। যেখানে এই হাফেজরাসহ আরও অনেকে উচ্চশিক্ষা পাবে এবং সারা বিশ্বে ইসলামের মুখ উজ্জ্বল করবে। এটা প্রমাণ করবে যে বাঙালি মুসলমান অনেক শক্তিশালী, ইসলামে তাদের খুঁটি অনেক শক্ত। সুতরাং আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন একটি ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় বসুন্ধরা স্থাপন করতে পারে।

এ সময় তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা দান করারও ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমাদ মাদানি (রহ:) এর সুযোগ্য নাতি আওলাদে রাসুল (সা:) সায়্যিদ মুফতি আফফান মানসুরপুরী (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি ভারত থেকে এসে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই ধরনের আয়োজন সত্যিই অনন্য। আগামীতেও এই আয়োজন আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে এটাই প্রত্যাশা করি। কুরআনের সেবা করা মানেই ইসলামের সেবা করা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বসুন্ধরা গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা মানবিক ব্যক্তিত্ব সায়েম সোবহান আনভীর।

সারাদেশে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার একটি সুন্দর পরিকল্পনা ছিল জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির। কিন্তু অর্থের অভাবে তা কোনমতে করা যাচ্ছিল না।সুন্দর এই পরিকল্পনার কথা বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর সাহেবকে জানাই। তিনি আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমি আশা করি, এই ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের কোরআনের হেফাজতরা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মান আরও উঁচুতে নিয়ে যাবে। তারা নিজেরা নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, ইসলাম মানে শান্তি, ইসলাম মানে মানবতা। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো কুরআনের বাণীকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আগামীতে কুরআনের এই প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশে আয়োজন করা হবে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমরা সফলভাবে এই আয়োজনটি করতে পারি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সুদূর মিশর থেকে আসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কারি শায়খ ড. আহমাদ আহমাদ নাইনা (হাফিজাহুল্লাহ), চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া (দা.বা.),জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন প্রমুখ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাজধানীর এক হাজার মসজিদের প্রখ্যাত ইমাম, মুহতামিম, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ইসলামিক স্কলাররা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় শহর, জেলা শহর, থানা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছেন ১৫০ জন আলেম ও ইসলামিক স্কলার। গত কয়েকদিন ধরে বিপুল সংখ্যক ইসলামিক স্কলার ও আলেমদের একত্রিত করার এ বড় কর্মযজ্ঞ চলে সরাসরি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের তত্ত্বাবধানে।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথি ও পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে দেখা যায় আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। এর আগে মঞ্চ কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা ইসলামী গান পরিবেশন করে মাতিয়ে তোলেন অনুষ্ঠানস্থল ও হল রুম।