০৪:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

গাসিক নির্বাচনে প্রথম মহিলা মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের স্বরণীয়  বিজয় 

প্রতিনিধির নাম
 গত ২৫ মে  ২০১৩ গাজীপুর সিটি করপোরেশন  নির্বাচনে প্রথম মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মাতা জায়েদা খাতুন। ৪৮০ ভোট কেন্দ্রে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২৩৮৯৩৪ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান পেয়েছেন  ২২২৭৩৭ ভোট।
এ ছাড়া, মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকে মোঃ রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬, ঘোড়া প্রতীকে মোঃ হারুন-অর-রাশিদ ২ হাজার ৪২৬ এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
জায়েদা খাতুন ব্যাক্তি জীবনে গৃহিণী  সাদাসিদে একজন মানুষ হলেও এই প্রথম তিনি ঘর ছেড়ে ছেলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিটি গাজীপুরের এক অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করেছেন। ছেলের দঃসময়ে পাশে দাড়িয়ে  জায়েদা খাতুনের বিজয় অর্জন বিশাল চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।  ইসির  যাচাই-বাছাইয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাদ পরে গেলেও তাঁর মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন ইসি। দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাড আজমত উল্লাহ খানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমে পড়েন জায়েদা খাতুন। নির্বচনে মায়ের প্রচারণা করায়
দলের আদেশ অমান্য করা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গেের দায়ে দ্বিতীয় বারের মতো দল থেকে বহিষ্কার হোন জাহাঙ্গীর আলম। নানা প্রতিকূল অবস্থায় হামলা ভয়ভীতিকে অপেক্ষা করে নগরের মানুষের উপর ভরশা করে জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যান। মূলত জাহাঙ্গীর মেয়র থাকাকালীন সময়ে নগরীর রাস্তা ঘাট ড্রেন নির্মাণ  ও নানা উন্নয়ন কাজ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করায় নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হলেও মা ছেলের যৌথ নির্বাচন নগরবাসীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি জায়েদা খাতুন নির্বাচীত হলেও জাহাঙ্গীর সাথে থেকে নগর উন্নয়নে কাজ করবেন। অপর দিকে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান ব্যাপক প্রচার প্রচারণা জনসংযোগ করে ভোটের মাঠে পিছিয়ে পড়াকে ভিন্ন ভাবে দেখছেন দলের নেতাকর্মীরা।
দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ নামে খ্যাত গাজীপুরে নৌকার পরাজয়কে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে চিন্তার ভাজ পড়ছে কপালে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্ব সহকারে যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দিলে দেশের উন্নয়নে ধারাকে অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে মনে করছেন সুশীল সমাজ। এদিকে নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন এই বিজয় গাজীপুরবাসির এই বিজয় নৌকার আমার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মি হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার এই বিজয় প্রধানমন্ত্রী কে উপহার দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি দূর্গ এখানে নৌকার বিজয় হয়েছে। একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আধুনিক বাসযোগ্য নগরী গঠনে আজমত উল্লাহ খান, নগরবাসী সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
৮৩ বার পড়া হয়েছে

গাসিক নির্বাচনে প্রথম মহিলা মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের স্বরণীয়  বিজয় 

আপডেট : ০৫:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
 গত ২৫ মে  ২০১৩ গাজীপুর সিটি করপোরেশন  নির্বাচনে প্রথম মহিলা মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মাতা জায়েদা খাতুন। ৪৮০ ভোট কেন্দ্রে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২৩৮৯৩৪ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান পেয়েছেন  ২২২৭৩৭ ভোট।
এ ছাড়া, মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম ১৬ হাজার ৯৭৪ ভোট, লাঙ্গল প্রতীকে এম এম নিয়াজ উদ্দিন ১৬ হাজার ৩৬২, হাতপাখা প্রতীকে গাজী আতাউর রহমান ৪৫ হাজার ৩৫২, গোলাপ ফুল প্রতীকে মোঃ রাজু আহাম্মেদ ৭ হাজার ২০৬, ঘোড়া প্রতীকে মোঃ হারুন-অর-রাশিদ ২ হাজার ৪২৬ এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম ২৩ হাজার ২৬৫ ভোট পেয়েছেন।
জায়েদা খাতুন ব্যাক্তি জীবনে গৃহিণী  সাদাসিদে একজন মানুষ হলেও এই প্রথম তিনি ঘর ছেড়ে ছেলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সিটি গাজীপুরের এক অবিস্মরণীয় বিজয় অর্জন করেছেন। ছেলের দঃসময়ে পাশে দাড়িয়ে  জায়েদা খাতুনের বিজয় অর্জন বিশাল চ্যালেন্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।  ইসির  যাচাই-বাছাইয়ে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাদ পরে গেলেও তাঁর মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন ইসি। দেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এ্যাড আজমত উল্লাহ খানের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমে পড়েন জায়েদা খাতুন। নির্বচনে মায়ের প্রচারণা করায়
দলের আদেশ অমান্য করা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গেের দায়ে দ্বিতীয় বারের মতো দল থেকে বহিষ্কার হোন জাহাঙ্গীর আলম। নানা প্রতিকূল অবস্থায় হামলা ভয়ভীতিকে অপেক্ষা করে নগরের মানুষের উপর ভরশা করে জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যান। মূলত জাহাঙ্গীর মেয়র থাকাকালীন সময়ে নগরীর রাস্তা ঘাট ড্রেন নির্মাণ  ও নানা উন্নয়ন কাজ করতে উদ্যোগ গ্রহণ করায় নগরবাসীর আস্থা অর্জন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল হলেও মা ছেলের যৌথ নির্বাচন নগরবাসীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি জায়েদা খাতুন নির্বাচীত হলেও জাহাঙ্গীর সাথে থেকে নগর উন্নয়নে কাজ করবেন। অপর দিকে বড় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান ব্যাপক প্রচার প্রচারণা জনসংযোগ করে ভোটের মাঠে পিছিয়ে পড়াকে ভিন্ন ভাবে দেখছেন দলের নেতাকর্মীরা।
দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ নামে খ্যাত গাজীপুরে নৌকার পরাজয়কে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে চিন্তার ভাজ পড়ছে কপালে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে গুরুত্ব সহকারে যাচাই বাছাই করে মনোনয়ন দিলে দেশের উন্নয়নে ধারাকে অব্যাহত রাখতে সহায়ক হবে মনে করছেন সুশীল সমাজ। এদিকে নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন এই বিজয় গাজীপুরবাসির এই বিজয় নৌকার আমার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক ও কর্মি হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার এই বিজয় প্রধানমন্ত্রী কে উপহার দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি গাজীপুর আওয়ামী লীগের একটি দূর্গ এখানে নৌকার বিজয় হয়েছে। একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আধুনিক বাসযোগ্য নগরী গঠনে আজমত উল্লাহ খান, নগরবাসী সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।