০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র নারীদেরকে কাজে লাগিয়ে ক্ষেতলালে হিন্দা গ্রামে দ্রুতই আসছে ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি

প্রতিনিধির নাম

হাতের কাজ হস্তশিল্প কুটির শিল্পের কাজগুলোকে মূল্য সংযোজন সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্য হিসেবে বাজারজাত করে একদিকে কর্মসংস্থান, অপরদিকে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের দ্বার খুলতে যাচ্ছে।
বৈধ ট্রেড লাইসেন্সধারী ক্ষেতলালে হিন্দাতে নাঈম ইসলাম উদ্যোক্তা এই সমবায় সমিতির নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন।

সমবায় অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনায় এগিয়ে চলছে এই বাজার কার্যক্রম। হাতের ছোঁয়ায় উৎপাদিত দ্রব্যাদি নায্যমূল্যে বাজারজাত করেন!
প্রয়োজনে তৃণমূল পর্যায়ের উপকার ভোগীদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া ও পরিবেশগত কারণে শহর ও গ্রামের অনেক মানুষ তাদের অনগ্রসরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
অনগ্রসর মানুষের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। অনেকে কাজে পারদর্শী, কিন্তু কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও শ্রমমূল্য তারা পান না সময়োপযোগী শিক্ষা প্রশিক্ষণ না থাকায় তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন। হস্তশিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, কুটির শিল্পে তারা বিচ্ছিন্নভাবে সময় দিলেও কার্যত দারিদ্র তাদের পিছু ছাড়েনি কখনও।
এই প্রেক্ষাপটে ক্ষেতলালে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের কর্মে উদ্দমী দরিদ্র নারীদের সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত সমবায় বাজার করার ব্যাপারে চিন্তা করছে উদ্যোক্তা ।
নকসী কাঁথা, হাতের কাজের বালিশ বেড সিটের কভার, পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, বাঁশ বেত কাঠের শিল্পের কাজ, এমনকি হাতে ভাজা মুড়ি, ঢেঁকি ছাটা চাল, চিড়ে, নারকেল পাটালি এই সমবায় বাজারে স্থান পাবে। গ্রামভিত্তিক গ্রুপ করে হাতের কাজে পারদর্শীদের কাজে লাগিয়ে তাদের শ্রম মূল্য দেওয়া হবে। দরিদ্র নারীদের নারীদের প্রয়োজনে ঋণ সুবিধা দেয়া, অথবা আগাম টাকা দেওয়া হবে।
এছাড়া দেশের নাম করা প্রতিষ্ঠান সুইজ কন্ট্রাকের সঙ্গে সংলাপ চলছে উদ্যোক্তা নাঈম ইসলাম এর তারা মার্কেটিংয়ে সহায়তা করে এই সমবায় সমিতির গতিশীল করবে।

আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ওনাদের সাথে কাজ করছে। তাছারাও ২০ উদ্যোক্তাকে নিয়ে একটি কমিটির রুপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সমবায় সমিতির অফিস রুম আছে স্থান হিন্দা শিমুলতলী বাজার।
এ ব্যাপারে সমবায় সমিতির হাউজের সত্ত্বাধিকারী নাঈম ইসলাম জানিয়েছেন, বিশেষ করে দরিদ্রদের নিয়ে গ্রামাঞ্চলে কাজ করা হবে। জয়পুরহাট ছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে স্থানীয় নারীদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা হবে। রাজধানীর কয়েক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও কথা হচ্ছে। এই কাজে শহর ও গ্রাম সব জায়গা থেকে সাড়া মিলছে।

উদ্যোক্তা নাঈম ইসলাম জানিয়েছেন, একটি ভালো ও সময় উপযোগী উদ্যোগ এই সমবায় বাজার। আমরাই উৎপাদন করব আমরাই বিক্রি করব। আমাদের পিছিয়ে পড়া নারীদের উৎপাদিত গুণগত মানসম্মতভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। এই সমন্বিত সমবায় বাজার হলে হাতের কাজের মূল্যায়ন বাড়বে। এ ব্যাপারে সরকারি সহায়তা কমনা করে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
৬১ বার পড়া হয়েছে

গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র নারীদেরকে কাজে লাগিয়ে ক্ষেতলালে হিন্দা গ্রামে দ্রুতই আসছে ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি

আপডেট : ০৫:১৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

হাতের কাজ হস্তশিল্প কুটির শিল্পের কাজগুলোকে মূল্য সংযোজন সামগ্রী ও খাদ্যদ্রব্য হিসেবে বাজারজাত করে একদিকে কর্মসংস্থান, অপরদিকে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের দ্বার খুলতে যাচ্ছে।
বৈধ ট্রেড লাইসেন্সধারী ক্ষেতলালে হিন্দাতে নাঈম ইসলাম উদ্যোক্তা এই সমবায় সমিতির নেতৃত্বে দিয়ে আসছেন।

সমবায় অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনায় এগিয়ে চলছে এই বাজার কার্যক্রম। হাতের ছোঁয়ায় উৎপাদিত দ্রব্যাদি নায্যমূল্যে বাজারজাত করেন!
প্রয়োজনে তৃণমূল পর্যায়ের উপকার ভোগীদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান করার কথাও ভাবা হচ্ছে।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া ও পরিবেশগত কারণে শহর ও গ্রামের অনেক মানুষ তাদের অনগ্রসরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
অনগ্রসর মানুষের মধ্যে রয়েছে অনেক গুণ। অনেকে কাজে পারদর্শী, কিন্তু কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও শ্রমমূল্য তারা পান না সময়োপযোগী শিক্ষা প্রশিক্ষণ না থাকায় তারা সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়েছেন। হস্তশিল্প, ক্ষুদ্র শিল্প, কুটির শিল্পে তারা বিচ্ছিন্নভাবে সময় দিলেও কার্যত দারিদ্র তাদের পিছু ছাড়েনি কখনও।
এই প্রেক্ষাপটে ক্ষেতলালে উপজেলার গ্রামাঞ্চলের কর্মে উদ্দমী দরিদ্র নারীদের সম্পৃক্ত করে একটি সমন্বিত সমবায় বাজার করার ব্যাপারে চিন্তা করছে উদ্যোক্তা ।
নকসী কাঁথা, হাতের কাজের বালিশ বেড সিটের কভার, পাঞ্জাবি, থ্রিপিস, বাঁশ বেত কাঠের শিল্পের কাজ, এমনকি হাতে ভাজা মুড়ি, ঢেঁকি ছাটা চাল, চিড়ে, নারকেল পাটালি এই সমবায় বাজারে স্থান পাবে। গ্রামভিত্তিক গ্রুপ করে হাতের কাজে পারদর্শীদের কাজে লাগিয়ে তাদের শ্রম মূল্য দেওয়া হবে। দরিদ্র নারীদের নারীদের প্রয়োজনে ঋণ সুবিধা দেয়া, অথবা আগাম টাকা দেওয়া হবে।
এছাড়া দেশের নাম করা প্রতিষ্ঠান সুইজ কন্ট্রাকের সঙ্গে সংলাপ চলছে উদ্যোক্তা নাঈম ইসলাম এর তারা মার্কেটিংয়ে সহায়তা করে এই সমবায় সমিতির গতিশীল করবে।

আরও অনেক প্রতিষ্ঠান ওনাদের সাথে কাজ করছে। তাছারাও ২০ উদ্যোক্তাকে নিয়ে একটি কমিটির রুপরেখা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সমবায় সমিতির অফিস রুম আছে স্থান হিন্দা শিমুলতলী বাজার।
এ ব্যাপারে সমবায় সমিতির হাউজের সত্ত্বাধিকারী নাঈম ইসলাম জানিয়েছেন, বিশেষ করে দরিদ্রদের নিয়ে গ্রামাঞ্চলে কাজ করা হবে। জয়পুরহাট ছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে স্থানীয় নারীদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করা হবে। রাজধানীর কয়েক ব্যবসায়ীর সঙ্গেও কথা হচ্ছে। এই কাজে শহর ও গ্রাম সব জায়গা থেকে সাড়া মিলছে।

উদ্যোক্তা নাঈম ইসলাম জানিয়েছেন, একটি ভালো ও সময় উপযোগী উদ্যোগ এই সমবায় বাজার। আমরাই উৎপাদন করব আমরাই বিক্রি করব। আমাদের পিছিয়ে পড়া নারীদের উৎপাদিত গুণগত মানসম্মতভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। এই সমন্বিত সমবায় বাজার হলে হাতের কাজের মূল্যায়ন বাড়বে। এ ব্যাপারে সরকারি সহায়তা কমনা করে।