০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অহংকার জব্বারের বলী খেলা

প্রতিনিধির নাম
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা ও মেলা বন্ধ ছিল। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বৈশাখী মেলার ১১৪তম আসরে লালদীঘি মাঠে তৈরি হয়েছে লড়াই মঞ্চ  লালদীঘি মাঠ সংস্কারের কারণে ২০২২ সালে বলীখেলা হয়েছিল রাস্তার ওপর মঞ্চ তৈরি করে। এই বলীখেলা ও মেলা চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্য। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা ও মেলা বন্ধ ছিল  ২৫এপ্রিল মেলা শুরু হয়।  মুলত নগরীর বসিরহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর  ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ও শরীর গঠনে উৎসাহিত করতে ১৯০৯ সালে  লালদীঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা  এখন জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত।
মেলায় মাটির তৈজসপত্র, ঝাড়ু, হাতপাখা, শীতলপাটি, দা-খুন্তি, প্লাস্টিকের সামগ্রী-ফুল, মণ্ডা-মিঠাই, গৃহসজ্জার সামগ্রী, গাছের চারা, তামা-কাঁসা-পিতলের সামগ্রী, কাঠের আসবাবপত্র, বেতের আসবাব, বাদ্যযন্ত্র, দোলনা, মাছ ধরার জাল, মোড়া, পিঁড়ি, জলচৌকিসহ কী নেই এই মেলায়।
নগরের অধিবাসীরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন এই মেলার জন্য কারণ এখানেই মিলে গৃহস্থালীর সব জিনিসপত্র।
আবদুল জব্বারের নাতি ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে বাপ-দাদার মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় এই মেলার আয়োজন করে যাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহায়তা করছে।
জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, এ বছর দুই শতাধিক কুস্তিগির প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির

ট্যাগস :
আপডেট : ০৫:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
৫৮ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের অহংকার জব্বারের বলী খেলা

আপডেট : ০৫:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
চট্টগ্রামে আব্দুল জব্বারের স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা ও মেলা বন্ধ ছিল। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বৈশাখী মেলার ১১৪তম আসরে লালদীঘি মাঠে তৈরি হয়েছে লড়াই মঞ্চ  লালদীঘি মাঠ সংস্কারের কারণে ২০২২ সালে বলীখেলা হয়েছিল রাস্তার ওপর মঞ্চ তৈরি করে। এই বলীখেলা ও মেলা চট্টগ্রামবাসীর ঐতিহ্য। করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা ও মেলা বন্ধ ছিল  ২৫এপ্রিল মেলা শুরু হয়।  মুলত নগরীর বসিরহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর  ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ও শরীর গঠনে উৎসাহিত করতে ১৯০৯ সালে  লালদীঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা  এখন জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত।
মেলায় মাটির তৈজসপত্র, ঝাড়ু, হাতপাখা, শীতলপাটি, দা-খুন্তি, প্লাস্টিকের সামগ্রী-ফুল, মণ্ডা-মিঠাই, গৃহসজ্জার সামগ্রী, গাছের চারা, তামা-কাঁসা-পিতলের সামগ্রী, কাঠের আসবাবপত্র, বেতের আসবাব, বাদ্যযন্ত্র, দোলনা, মাছ ধরার জাল, মোড়া, পিঁড়ি, জলচৌকিসহ কী নেই এই মেলায়।
নগরের অধিবাসীরা সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন এই মেলার জন্য কারণ এখানেই মিলে গৃহস্থালীর সব জিনিসপত্র।
আবদুল জব্বারের নাতি ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে বাপ-দাদার মাধ্যমে বংশ পরম্পরায় এই মেলার আয়োজন করে যাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসন সার্বিক সহায়তা করছে।
জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী বলেন, এ বছর দুই শতাধিক কুস্তিগির প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল ফকির