০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় পাট দিবস পালিত 

প্রতিনিধির নাম

নব্বই দশকের মানুষরা বাজারে যাওয়ার সময় পাটের বস্তা কিংবা ব্যাগ নিয়ে যেতো। এখনকার মানুষ আগের মতো আর পাটের ব্যাগ কিংবা বস্তা নিয়ে বাজারে যায় না। দিন দিন প্লাস্টিকের ব্যবহার সহজ হয়ে গেছে। সবজি ও মুদি দোকানের মালিক খদ্দেরকে দেড়-দুটাকা মূল্যের প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে দেয়। তাছাড়া প্লাস্টিকের ব্যাগের তুলনায় পাটের ব্যাগ কিংবা বস্তার দাম বেশি এই কারণে দেশের মানুষও পাটের বস্তা কিংবা ব্যাগের ব্যবহার করছেনা। দেশের মানুষদের মানসিক পরিবর্তন করা গেলে পাটের আঁশ দিয়ে বানানো পণ্য সামগ্রীর ব্যবহার বাড়বে।

সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন; পরিবেশ দুষনরোধ ও পাটের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার আইন প্রণয়ন করেছেন। এই আইনের আওতায় ধান, চাল, গম, ভুট্রা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজসহ ১৯ টি পণ্যে পাটের বস্তার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এই আইনটি মানুষ যথাযথ ভাবে না মান ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। পাট দিয়ে ২৮১ টি পণ্য বানানো যায়। এবং এই সব পণ্যের বহুল ব্যবহার প্রচলিত আছে। জেলার রাইস মিল মালিক ও দোকানিদের পাটের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ করেন আলোচনা সভায় বক্তারা।

আলোচনা সভায় জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অজিত কুমার রায় বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গেলো ২ মাসে পাটের বস্তা যারা ব্যবহার করেনি তাদের বিরুদ্ধে ২৬ টি ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ টি মামলা ও তাদরকে মোট ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন; জেলায় গেলো বছরে মোট ৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে চার রকম পাটের আবাদ হয়েছে। মোট ফলন হয়েছে ২ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন আর মোট উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৫ মেট্রিক টন। এছাড়াও জেলায় পাটের বীজ আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৫৭ হেক্টর জমিতে আর এখান থেকে মোট উৎপাদন হয়েছে ৩৫০ মেট্রিকটন পাটের বীজ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। এছাড়াও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষিসম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ অফিসার আতিকুল ইসলাম, নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ। এই সময় জেলা বিভিন্ন এলাকার পাটচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে পাট দিবস উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি বের হয়ে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মিলিত হয়। এবারের পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো-পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩
৯৬ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে জাতীয় পাট দিবস পালিত 

আপডেট : ০৮:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নব্বই দশকের মানুষরা বাজারে যাওয়ার সময় পাটের বস্তা কিংবা ব্যাগ নিয়ে যেতো। এখনকার মানুষ আগের মতো আর পাটের ব্যাগ কিংবা বস্তা নিয়ে বাজারে যায় না। দিন দিন প্লাস্টিকের ব্যবহার সহজ হয়ে গেছে। সবজি ও মুদি দোকানের মালিক খদ্দেরকে দেড়-দুটাকা মূল্যের প্লাস্টিকের ব্যাগ দিয়ে দেয়। তাছাড়া প্লাস্টিকের ব্যাগের তুলনায় পাটের ব্যাগ কিংবা বস্তার দাম বেশি এই কারণে দেশের মানুষও পাটের বস্তা কিংবা ব্যাগের ব্যবহার করছেনা। দেশের মানুষদের মানসিক পরিবর্তন করা গেলে পাটের আঁশ দিয়ে বানানো পণ্য সামগ্রীর ব্যবহার বাড়বে।

সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তরের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন; পরিবেশ দুষনরোধ ও পাটের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার আইন প্রণয়ন করেছেন। এই আইনের আওতায় ধান, চাল, গম, ভুট্রা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজসহ ১৯ টি পণ্যে পাটের বস্তার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এই আইনটি মানুষ যথাযথ ভাবে না মান ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে। পাট দিয়ে ২৮১ টি পণ্য বানানো যায়। এবং এই সব পণ্যের বহুল ব্যবহার প্রচলিত আছে। জেলার রাইস মিল মালিক ও দোকানিদের পাটের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ করেন আলোচনা সভায় বক্তারা।

আলোচনা সভায় জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা অজিত কুমার রায় বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গেলো ২ মাসে পাটের বস্তা যারা ব্যবহার করেনি তাদের বিরুদ্ধে ২৬ টি ভ্রামমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ টি মামলা ও তাদরকে মোট ৩২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন; জেলায় গেলো বছরে মোট ৩ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে চার রকম পাটের আবাদ হয়েছে। মোট ফলন হয়েছে ২ দশমিক ৭৯ মেট্রিক টন আর মোট উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৫ মেট্রিক টন। এছাড়াও জেলায় পাটের বীজ আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬৫৭ হেক্টর জমিতে আর এখান থেকে মোট উৎপাদন হয়েছে ৩৫০ মেট্রিকটন পাটের বীজ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আহমেদ মাহবুব-উল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। এছাড়াও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষিসম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ অফিসার আতিকুল ইসলাম, নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ। এই সময় জেলা বিভিন্ন এলাকার পাটচাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে পাট দিবস উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালি বের হয়ে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মিলিত হয়। এবারের পাট দিবসের প্রতিপাদ্য ছিলো-পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।