চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসপি অফিসের সামনে মধুমতি এনজিও’র আমানতকারীদের অবস্থান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে বেসরকারি ‘মধুমতি উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি এনজিওর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আত্মগোপনে চলে যায়। এই ঘটনায় মধুমতির আমানতকারীরা তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও টাকা ফেরতের দাবিতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের অবস্থান করেন এনজিওটির আমানতকারীরা। সোমবার সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের অবস্থান করলে এতে ওই সড়ক দিয়ে যানচলাচল ব্যহত হয়।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে মধুমতি এনজিওর আমানতকারীদের অবস্থান দেখে পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব সড়কে অবস্থানকারীদের সাথে কথা বলেন। তাদের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আগামি ৭ দিনের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন পুলিশ সুপার। পরে তিনি মধুমতি এনজিওতে জামা রাখা টাকাগুলো আইনের মাধ্যমে টাকা ফেরত চাওয়ার নির্দেশনা দেন তাদের।
মধুমতি এনজিও’র আমানত কারীরা পুলিশ সুপারের সাথে দেখাও করেনি আর এই বিষয়ে কথাও বলে নি উল্লেখ করে পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব বলেন, আসামিদের ধরার জন্য সময় দিতে হবে। মামলার আসামিরা পালিয়ে থাকলে তাদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করাটা একটু কষ্টকর। আসামিদের ধরতে পুলিশের একটি টিম ঢাকায় ও আরেকটি চট্রগ্রামে আছে। তারা কাজ চলমান রেখেছে, আসামিদের ধরতে তারা চেষ্টা চালাচ্ছে। একজন লুকিয়ে থাকা মানুষকে খুঁজে বের করা এতো সজহ না। তাদের ধরতে সর্বচ্চ চেষ্টাটা আছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, আইনের নিয়ম ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, যাদের নামে মামলা আছে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু আপনারা টাকা কিভাবে ফেরত পাবেন সেটা অন্য প্রসেস। এটা আপানাদের আইনের মোকাবেলা করে টাকা ফেরত আনতে হবে। আমার যেটুক করার কথা, আমি সেটুক করে দিবো।