১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ডা. অসিত মজুমদারের শান্তি পুরস্কার লাভ

প্রতিনিধির নাম

বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাত থেকে শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করছেন ডা. অসিত মজুমদার

চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে চাই- ডা. অসিত মজুমদার

স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতা কাজের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের জন্য ডা. অসিত মজুমদার দক্ষিণ এশিয়া শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। সাউথ এশিয়া স্যোসাল কালচারাল কাউন্সিল, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশন এবং জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সংসদ এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলের ক্রাউন হলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার এর চেয়ারম্যান ডা. অসিত মজুমদারকে চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পীস এ্যাওয়ার্ড” পুরস্কার প্রদান করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণ হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পীকার আবদুল মালেক উকিলের মেয়ে ঝন্টা ক্লাবের ভাইসচেয়ারম্যান মায়া কবির, মাস এইড প্রোগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক প্রসপারিনা সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুণীজন।

গতকাল মঙ্গলবার গুণীজন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান হাই কোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান সরকার কবি নুরুল কবির।

ডা. অসিত মজুমদার এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর হতেই নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০০৬ সাল থেকে সাপ্তাহিকভাবে এবং পরবর্তীতে সময়ে সময়ে নিজ এলাকায় ফ্রী রোগী দেখে আসছেন। এছাড়া ঢাকার গ্রীণরোডের সার্জেনের গলিতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিনই দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্য এবং নামমাত্র ফিতে রোগী দেখে থাকেন। সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, জনমনে চিকিৎসা বান্ধব মনোভাব তৈরী, চিকিৎসাহীন জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসামুখীকরণ এবং নিরাপদ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষিত জীবন গড়তে ডা. অসিত মজুমদারের এই প্রচেষ্টা বলে তিনি জানান।

ডা. অসিত মজুমদার ১৯৯৫ সালে ছাত্রাবস্থায় “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের করণীয়” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখে সারাদেশে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং একই সময়ে “আর্থসামাজিক উন্নয়নে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব” শীর্ষক প্রবন্ধে জনসংখ্যাকে কিভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় এমন প্রবন্ধ লিখে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সারাদেশে তৃতীয় হন।
করোনাকালিন এবং বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ রোগীকে অনলাইন এবং অফলাইনে চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে অবদানের জন্য ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এণ্ড রেসপন্সিবিলিটিস কর্তৃক সাম্মানিক সনদ লাভ করেন। ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট তাঁকে সমাজ সেবায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

লেখালেখি এবং পেশগত বিষয়ে এর আগেও তিনি বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন।
ডা. অসিত মজুমদারের চিকিৎসা জীবনের কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক কাজ ও সমাজকর্ম স্যোসাল রিফর্মে অবদান রেখে চলেছে। তাঁর এই সেবা ও সচেতনতাকর্ম সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।

ট্যাগস :
আপডেট : ১০:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩
৮৬ বার পড়া হয়েছে

ডা. অসিত মজুমদারের শান্তি পুরস্কার লাভ

আপডেট : ১০:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে চাই- ডা. অসিত মজুমদার

স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতা কাজের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের জন্য ডা. অসিত মজুমদার দক্ষিণ এশিয়া শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। সাউথ এশিয়া স্যোসাল কালচারাল কাউন্সিল, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশন এবং জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সংসদ এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলের ক্রাউন হলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার এর চেয়ারম্যান ডা. অসিত মজুমদারকে চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পীস এ্যাওয়ার্ড” পুরস্কার প্রদান করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণ হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পীকার আবদুল মালেক উকিলের মেয়ে ঝন্টা ক্লাবের ভাইসচেয়ারম্যান মায়া কবির, মাস এইড প্রোগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক প্রসপারিনা সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুণীজন।

গতকাল মঙ্গলবার গুণীজন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান হাই কোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান সরকার কবি নুরুল কবির।

ডা. অসিত মজুমদার এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর হতেই নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০০৬ সাল থেকে সাপ্তাহিকভাবে এবং পরবর্তীতে সময়ে সময়ে নিজ এলাকায় ফ্রী রোগী দেখে আসছেন। এছাড়া ঢাকার গ্রীণরোডের সার্জেনের গলিতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিনই দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্য এবং নামমাত্র ফিতে রোগী দেখে থাকেন। সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, জনমনে চিকিৎসা বান্ধব মনোভাব তৈরী, চিকিৎসাহীন জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসামুখীকরণ এবং নিরাপদ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষিত জীবন গড়তে ডা. অসিত মজুমদারের এই প্রচেষ্টা বলে তিনি জানান।

ডা. অসিত মজুমদার ১৯৯৫ সালে ছাত্রাবস্থায় “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের করণীয়” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখে সারাদেশে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং একই সময়ে “আর্থসামাজিক উন্নয়নে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব” শীর্ষক প্রবন্ধে জনসংখ্যাকে কিভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় এমন প্রবন্ধ লিখে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সারাদেশে তৃতীয় হন।
করোনাকালিন এবং বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ রোগীকে অনলাইন এবং অফলাইনে চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে অবদানের জন্য ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এণ্ড রেসপন্সিবিলিটিস কর্তৃক সাম্মানিক সনদ লাভ করেন। ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট তাঁকে সমাজ সেবায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।

লেখালেখি এবং পেশগত বিষয়ে এর আগেও তিনি বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন।
ডা. অসিত মজুমদারের চিকিৎসা জীবনের কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক কাজ ও সমাজকর্ম স্যোসাল রিফর্মে অবদান রেখে চলেছে। তাঁর এই সেবা ও সচেতনতাকর্ম সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।