০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এবং একজন আগষ্টিন পিউরীফিকেশন

প্রতিনিধির নাম

বর্তমান আধুনিক নগরায়নের যুগে আবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আর ঢাকা শহরের মত জনবহুল শহরগুলোতে আবাসনের বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। তাই নগর জীবনের আবাসন সংকট সমাধানে নানা ধারার উদ্যোগ বিদ্যমান রয়েছে। এরমধ্যে সমবায় আবাসন উদ্যোগ অন্যতম। সমবায় আবাসন ব্যবস্থা সারা ইউরোপসহ সারা বিশে^ই সফলতা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিপূর্বে দেশে অনেক সমবায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের কমিউনিটি ভিত্তিক সমবায় আবাসন উদ্যোগ ব্যতিক্রমী ও সর্বমহলে প্রশংসিত। দেশের অন্যতম বৃহত্তম সমবায়, গৃহায়নের সর্ববৃহৎ সমবায় এবং খ্রীষ্টান সমাজের বৃহত্তম সমবায় সমিতি ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’ (দি এমসিসিএইচএস লিঃ) আবাসন সমবায়ে অসাধারন সাফল্য অর্জন করেছে। অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০ এ সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতির পুরস্কার পেয়েছে দি এমসিসিএইচএস লিঃ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায়ী পুরষ্কার প্রাপ্ত সোসাইটির সম্মানিত চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। সমবায়ে তার সফল নেতৃত্বের স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন। সমবায়ে অসামান্য অবদানের জন্যে তাকে সমবায় অধিদপ্তর শ্রেষ্ঠ সমবায়ী-২০১৫ স্বর্ণপদকে ভূষিত করে স্বর্ণপদক ও সনদ প্রদান করেছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের ফলে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ আজ বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে।
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ ছাড়াও অন্যান্য সমবায় সমিতিতে, বিভিন্ন সংগঠনে তার বিচরণ রয়েছে। সোসাইটির নেতৃত্বের সাথে সম্পৃক্ত আছেন প্রায় দেড় দশক। মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সমবায়, গৃহায়ণের সর্ববৃহৎ সমবায় এবং খ্রীষ্টান সমাজের বৃহত্তম সমবায় ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’-এর চেয়ারম্যান। টানা তিন মেয়াদে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মি. আগষ্টিন ২০০৩-২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত সোসাইটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন। ২০০৬-২০০৯ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত সোসাইটিতে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি পাগাড় খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী। এছাড়াও তিনি মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর ইন্টারনাল অডিট ও সুপারভিশন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা’র একজন সম্মানিত উপদেষ্টা। পাগাড় খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ, মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর উপদেষ্টা এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা।
পারিবারিক জীবনে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার পাগাড় নিবাসী হীরা পিউরিফিকেশন ও আন্না কোড়াইয়া দম্পতির সুযোগ্য সন্তান মি. আগষ্টিন সমবায়ী হিসেবে যেমন সফল তেমনি ব্যবসায়ী হিসেবেও সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি রিয়েল এস্টেট কোম্পানী ‘স্বস্তিনিবাস লিঃ এর চেয়ারম্যান।
সমবায় আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতি মিলেছে দেশের সীমানা পেড়িয়ে বিদেশেও। ২০১৯ খ্রীষ্টাব্দে ১৫ এপ্রিল ভারতের বিখ্যাত সংস্থা আর্টিষ্ট সার্কেল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে সমবায় ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে সম্মাননা প্রদান করেছে। এখানেই শেষ নয়, নেপালের ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সক্রিয়েশন সোসাইটি ৩১ আগস্ট-২০১৯ খ্রীষ্টাব্দে কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপাল মৈত্রী উৎসবে সমবায়ী হিসেবে সম্মাননা দিয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন। সম্মানিত হয়েছেন গান্ধী পীচ্ সম্মাননা (২০২০), ঝঞঅজ ঙঋ ঞঐঊ ণঊঅজ-২০২০, সমাজরতœ সম্মাননা (২০২১) লাভ করে। সম্প্রতি সমবায় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান বিবেচনা করে সাপ্তাহিক জনতারবাণী’র সম্পাদকীয় পর্ষদ মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশনকে কো-অপারেটর অব দ্যা ইয়ার- ২০২০ ঘোষণা করেছে।
তিনি হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধি হিসেবে ইটালী, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, চীন, জর্ডান, নেপাল ও ভারত ভ্রমণ করেছেন।
সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায়ী পুরষ্কার প্রাপ্ত মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশন ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত টানা ৩ মেয়াদ তিনি সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেখানে ২০১২ খ্রীষ্টাব্দে সোসাইটির সম্পদ পরিসম্পদ ছিল ২২২ কোটি টাকা সেখানে বর্তমানে সম্পদ পরিসম্পদের পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকা। প্রডাক্ট, সেবা, সদস্য সংখ্যা, সঞ্চয়, আমানত, ঋণ কার্যক্রম, মূলধন, ব্যবস্থাপনা সহ সকল ক্ষেত্রে তার সুদক্ষ নেতৃত্বে সমিতি উত্তোরত্তর সাফল্য অর্জন করেছে।
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সংক্ষিপ্ত ভ‚মিকা :
১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা শহরের উপরে অভিবাসীদের চাপ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে এবং ভাড়া বাড়ি পাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। আবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকেই ঢাকায় ফিরে আসেন। ফলে অনেক খ্রীষ্টান পরিবারই আবাসন সমস্যায় পতিত হয়। খ্রীষ্টান সমাজের আবাসন সমস্যা লাঘবের জন্যে কয়েকজন নেতৃস্থানীয় স্বপ্নদ্রষ্টা প্রচেষ্টা চালান একটি হাউজিং সোসাইটি গঠন করার জন্যে। এই হাউজিং সোসাইটি গঠনে অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে যিনি পাশে এসে দাঁড়ান তিনি হলেন প্রয়াত পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও, ডিডি। ব্যক্তি পর্যায়ে এই পথের পথিকৃৎ হলেন স্বর্গীয় ডানিয়েল কোড়াইয়া। তাঁর সাথে ছিলেন মি. আলেকজান্ডার রোজারিও সহ মোট ২৭ জন সমবায়ী ব্যক্তিত্ব। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৭৭ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল জন্ম লাভ করে ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’ এবং সোসাইটির প্রথম ঠিকানা হয়েছিল তেজগাঁও গির্জা। পরবর্তীতে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুন তারিখে সমবায় অধিদপ্তর থেকে সোসাইটি নিবন্ধন লাভ করে যার নিবন্ধন নং ২৮২।
হাউজিং সোসাইটির গঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ভুক্ত সদস্যদের উদ্দেশ্যে বাসোপযোগী পরিবেশে বিক্রয়যোগ্য জমি/ফ্ল্যাট/গৃহনির্মাণ করে সোসাইটির পরিকল্পনা অনুসারে সংশ্লিষ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকৃত বাসস্থান প্রস্তুত করে সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা। আর এতে ‘আমরা গৃহ সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ’-শ্লোগান নিয়ে ঢাকা বিভাগের সমগ্র এলাকা নিয়ে কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়।

(সহযোগিতায় : সাগর এস কোড়াইয়া, সহকারী ম্যানেজার, পাবলিক রিলেশন বিভাগ)

ট্যাগস :
আপডেট : ০৮:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
৫৫৭ বার পড়া হয়েছে

দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ এবং একজন আগষ্টিন পিউরীফিকেশন

আপডেট : ০৮:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

বর্তমান আধুনিক নগরায়নের যুগে আবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। আর ঢাকা শহরের মত জনবহুল শহরগুলোতে আবাসনের বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। তাই নগর জীবনের আবাসন সংকট সমাধানে নানা ধারার উদ্যোগ বিদ্যমান রয়েছে। এরমধ্যে সমবায় আবাসন উদ্যোগ অন্যতম। সমবায় আবাসন ব্যবস্থা সারা ইউরোপসহ সারা বিশে^ই সফলতা ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। ইতিপূর্বে দেশে অনেক সমবায় আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। তবে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের কমিউনিটি ভিত্তিক সমবায় আবাসন উদ্যোগ ব্যতিক্রমী ও সর্বমহলে প্রশংসিত। দেশের অন্যতম বৃহত্তম সমবায়, গৃহায়নের সর্ববৃহৎ সমবায় এবং খ্রীষ্টান সমাজের বৃহত্তম সমবায় সমিতি ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’ (দি এমসিসিএইচএস লিঃ) আবাসন সমবায়ে অসাধারন সাফল্য অর্জন করেছে। অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০ এ সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায় সমিতির পুরস্কার পেয়েছে দি এমসিসিএইচএস লিঃ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায়ী পুরষ্কার প্রাপ্ত সোসাইটির সম্মানিত চেয়ারম্যান মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশন। সমবায়ে তার সফল নেতৃত্বের স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন। সমবায়ে অসামান্য অবদানের জন্যে তাকে সমবায় অধিদপ্তর শ্রেষ্ঠ সমবায়ী-২০১৫ স্বর্ণপদকে ভূষিত করে স্বর্ণপদক ও সনদ প্রদান করেছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের ফলে দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ আজ বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে।
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ ছাড়াও অন্যান্য সমবায় সমিতিতে, বিভিন্ন সংগঠনে তার বিচরণ রয়েছে। সোসাইটির নেতৃত্বের সাথে সম্পৃক্ত আছেন প্রায় দেড় দশক। মি. আগষ্টিন পিউরীফিকেশন দেশের অন্যতম বৃহত্তম সমবায়, গৃহায়ণের সর্ববৃহৎ সমবায় এবং খ্রীষ্টান সমাজের বৃহত্তম সমবায় ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’-এর চেয়ারম্যান। টানা তিন মেয়াদে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা মি. আগষ্টিন ২০০৩-২০০৬ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত সোসাইটির নির্বাহী সদস্য ছিলেন। ২০০৬-২০০৯ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত সোসাইটিতে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি পাগাড় খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী। এছাড়াও তিনি মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর ইন্টারনাল অডিট ও সুপারভিশন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা’র একজন সম্মানিত উপদেষ্টা। পাগাড় খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ, মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর উপদেষ্টা এবং সর্বোপরি বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা।
পারিবারিক জীবনে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানার পাগাড় নিবাসী হীরা পিউরিফিকেশন ও আন্না কোড়াইয়া দম্পতির সুযোগ্য সন্তান মি. আগষ্টিন সমবায়ী হিসেবে যেমন সফল তেমনি ব্যবসায়ী হিসেবেও সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি রিয়েল এস্টেট কোম্পানী ‘স্বস্তিনিবাস লিঃ এর চেয়ারম্যান।
সমবায় আন্দোলনে অবদানের স্বীকৃতি মিলেছে দেশের সীমানা পেড়িয়ে বিদেশেও। ২০১৯ খ্রীষ্টাব্দে ১৫ এপ্রিল ভারতের বিখ্যাত সংস্থা আর্টিষ্ট সার্কেল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে সমবায় ক্ষেত্রে অবদানের জন্যে সম্মাননা প্রদান করেছে। এখানেই শেষ নয়, নেপালের ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সক্রিয়েশন সোসাইটি ৩১ আগস্ট-২০১৯ খ্রীষ্টাব্দে কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নেপাল মৈত্রী উৎসবে সমবায়ী হিসেবে সম্মাননা দিয়েছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্মাননায় ভ‚ষিত হয়েছেন। সম্মানিত হয়েছেন গান্ধী পীচ্ সম্মাননা (২০২০), ঝঞঅজ ঙঋ ঞঐঊ ণঊঅজ-২০২০, সমাজরতœ সম্মাননা (২০২১) লাভ করে। সম্প্রতি সমবায় ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান বিবেচনা করে সাপ্তাহিক জনতারবাণী’র সম্পাদকীয় পর্ষদ মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশনকে কো-অপারেটর অব দ্যা ইয়ার- ২০২০ ঘোষণা করেছে।
তিনি হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধি হিসেবে ইটালী, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, চীন, জর্ডান, নেপাল ও ভারত ভ্রমণ করেছেন।
সরকার কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সমবায়ী পুরষ্কার প্রাপ্ত মি. আগষ্টিন পিউরিফিকেশন ২০১২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত টানা ৩ মেয়াদ তিনি সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যেখানে ২০১২ খ্রীষ্টাব্দে সোসাইটির সম্পদ পরিসম্পদ ছিল ২২২ কোটি টাকা সেখানে বর্তমানে সম্পদ পরিসম্পদের পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকা। প্রডাক্ট, সেবা, সদস্য সংখ্যা, সঞ্চয়, আমানত, ঋণ কার্যক্রম, মূলধন, ব্যবস্থাপনা সহ সকল ক্ষেত্রে তার সুদক্ষ নেতৃত্বে সমিতি উত্তোরত্তর সাফল্য অর্জন করেছে।
দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সংক্ষিপ্ত ভ‚মিকা :
১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা শহরের উপরে অভিবাসীদের চাপ ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকে এবং ভাড়া বাড়ি পাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। আবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে অনেকেই ঢাকায় ফিরে আসেন। ফলে অনেক খ্রীষ্টান পরিবারই আবাসন সমস্যায় পতিত হয়। খ্রীষ্টান সমাজের আবাসন সমস্যা লাঘবের জন্যে কয়েকজন নেতৃস্থানীয় স্বপ্নদ্রষ্টা প্রচেষ্টা চালান একটি হাউজিং সোসাইটি গঠন করার জন্যে। এই হাউজিং সোসাইটি গঠনে অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে যিনি পাশে এসে দাঁড়ান তিনি হলেন প্রয়াত পরম শ্রদ্ধেয় আর্চবিশপ মাইকেল রোজারিও, ডিডি। ব্যক্তি পর্যায়ে এই পথের পথিকৃৎ হলেন স্বর্গীয় ডানিয়েল কোড়াইয়া। তাঁর সাথে ছিলেন মি. আলেকজান্ডার রোজারিও সহ মোট ২৭ জন সমবায়ী ব্যক্তিত্ব। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৭৭ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ এপ্রিল জন্ম লাভ করে ‘দি মেট্রোপলিটান খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিঃ’ এবং সোসাইটির প্রথম ঠিকানা হয়েছিল তেজগাঁও গির্জা। পরবর্তীতে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জুন তারিখে সমবায় অধিদপ্তর থেকে সোসাইটি নিবন্ধন লাভ করে যার নিবন্ধন নং ২৮২।
হাউজিং সোসাইটির গঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ভুক্ত সদস্যদের উদ্দেশ্যে বাসোপযোগী পরিবেশে বিক্রয়যোগ্য জমি/ফ্ল্যাট/গৃহনির্মাণ করে সোসাইটির পরিকল্পনা অনুসারে সংশ্লিষ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনকৃত বাসস্থান প্রস্তুত করে সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা। আর এতে ‘আমরা গৃহ সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারাবদ্ধ’-শ্লোগান নিয়ে ঢাকা বিভাগের সমগ্র এলাকা নিয়ে কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়।

(সহযোগিতায় : সাগর এস কোড়াইয়া, সহকারী ম্যানেজার, পাবলিক রিলেশন বিভাগ)