১২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের দুর্নীতির তদন্ত ২৩ জানুয়ারি

প্রতিনিধির নাম

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

গত কাল রোববার(১৬ জানুয়ারি) রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গনমাধ্যমকর্মীদেকে ।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সূত্র জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের ১জন প্যানেল চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫জন সদস্যের আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখা থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ প্রথমে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় তদন্তের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু অনিবার্য কারণে উক্ত তারিখ ও সময় পরিবর্তন করে আগামী ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় পুনঃ নির্ধারণ করেন এবং তদন্ত কালীন সময়ে প্রমাণক কাগজপত্রসহ অভিযোগকারীগণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ জারীর অনুরোধ জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে।

আরও জানায়, উক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান গত ২৮ ডিসেম্বরে অভিযোগকারী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫জন সদস্য এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় তদন্ত কার্যক্রমে জেলা পরিষদে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হান্নান, ১৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আহম্মদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সাত্তার খান, ১১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম, ৪নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম নুরুন্নাহার, ১৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শাজাহান আলী, ১২নং ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম কুমার কুন্ডু, ১৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, ৫নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য ডলি রানী দেবদাস, ১০নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মজনু, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন শেখ, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রাশেদুল হক অমি, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান মিন্টু, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূইয়া, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মীর্জা মোঃ ফরিদুজ্জামান ২০২০ সালের ১১ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ করেন।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে “ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ” এবং ২০২০ সালের ১৭ মে জেলা পরিষদের ২৮তম মাসিক সভায় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে দুর্নীতির বিবরণ তুলে ধরেন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার মুঠোফোনে জানান, আমি আমার জায়গা থেকে শত ভাগ স্বচ্ছ। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি, আমি যদি সত্যি দূর্নীতি করে থাকি তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাক।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৪:০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২
১১৫৮ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের দুর্নীতির তদন্ত ২৩ জানুয়ারি

আপডেট : ০৪:০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২২

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম আগামী ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

গত কাল রোববার(১৬ জানুয়ারি) রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গনমাধ্যমকর্মীদেকে ।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সূত্র জানা যায়, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের ১জন প্যানেল চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫জন সদস্যের আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখা থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখে অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার ঢাকা বিভাগের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(রাজস্ব) মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ প্রথমে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় তদন্তের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু অনিবার্য কারণে উক্ত তারিখ ও সময় পরিবর্তন করে আগামী ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় পুনঃ নির্ধারণ করেন এবং তদন্ত কালীন সময়ে প্রমাণক কাগজপত্রসহ অভিযোগকারীগণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ জারীর অনুরোধ জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে।

আরও জানায়, উক্ত পত্রের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মানিকহার রহমান গত ২৮ ডিসেম্বরে অভিযোগকারী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানসহ মোট ১৫জন সদস্য এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২৩ জানুয়ারি বেলা ১১টায় তদন্ত কার্যক্রমে জেলা পরিষদে উপস্থিত থাকার জন্য পত্র প্রদান করেছেন।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হান্নান, ১৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আহম্মদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সাত্তার খান, ১১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম, ৪নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম নুরুন্নাহার, ১৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শাজাহান আলী, ১২নং ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম কুমার কুন্ডু, ১৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান, ৫নং সংরক্ষিত আসনের সদস্য ডলি রানী দেবদাস, ১০নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মজনু, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন শেখ, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রাশেদুল হক অমি, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নাজমুল হাসান মিন্টু, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য নুর মোহাম্মদ ভূইয়া, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া ও ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মীর্জা মোঃ ফরিদুজ্জামান ২০২০ সালের ১১ মে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ করেন।

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে “ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ” এবং ২০২০ সালের ১৭ মে জেলা পরিষদের ২৮তম মাসিক সভায় তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে দুর্নীতির বিবরণ তুলে ধরেন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার মুঠোফোনে জানান, আমি আমার জায়গা থেকে শত ভাগ স্বচ্ছ। একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছি, আমি যদি সত্যি দূর্নীতি করে থাকি তাহলে তারা আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাক।