১২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

নারী ধর্ষণের অভিযোগে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা কে সাময়িক বরখাস্ত 

প্রতিনিধির নাম
মনোয়ার হোসেন রুবেল, বিশেষ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসির বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নাচোল উপজেলার ভুক্তভোগী ওই নারী।
এদিকে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় ওসি সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ওসি সেলিম রেজা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন,বছর খানেক আগে একটি মামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিচয় হয়,তৎকালীন নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজার সঙ্গে। এরপর তাঁর সাথে সখ্য গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের আমবাগান এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা হতো।
পরে সেলিম রেজা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মাঝপাড়ার বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ধর্ষণ করেন গত বছরের ১৯ আগস্টে। এরপর সেলিম রেজা ভোলাহাট থানায় বদলি হলেও সম্পর্ক চালিয়ে যান। ঘটনাটি ওসি সেলিম রেজার স্ত্রী জেনে গেলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাপ দিয়ে অকথ্য ভাসায় গালিগালাজ করেন। এরপর থেকেই সেলিম রেজা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ওই নারী আরও জানান,প্রেমিক সেলিম রেজার সঙ্গে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ভোলাহাট থানায় দেখা করতে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন। আবারও ২২ জানুয়ারি বিয়ের দাবিতে ভোলাহাট থানায় গেলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধর করে আটকে রাখেন। ২৩ জানুয়ারি ৫৪ ধারায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠায়। পুলিশের মামলায় সাত দিন কারাগারে থাকেন তিনি। সে সময় তাঁর (ভুক্তভোগী) ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নিয়ে ওসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি,কথোপকথনসহ সব ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে থানায় গেলে ওসি মুচলেকা নিয়ে মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলাহাট থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) সেলিম রেজা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই নারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নাই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবুল কালাম সাহিদ বলেন,‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো একটি ভিডিও ফুটেজ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওসি সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
২১৭ বার পড়া হয়েছে

নারী ধর্ষণের অভিযোগে ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সেলিম রেজা কে সাময়িক বরখাস্ত 

আপডেট : ০৬:১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
মনোয়ার হোসেন রুবেল, বিশেষ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ওসির বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নাচোল উপজেলার ভুক্তভোগী ওই নারী।
এদিকে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় ওসি সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন ওসি সেলিম রেজা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারী। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন,বছর খানেক আগে একটি মামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পরিচয় হয়,তৎকালীন নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজার সঙ্গে। এরপর তাঁর সাথে সখ্য গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের আমবাগান এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা হতো।
পরে সেলিম রেজা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মাঝপাড়ার বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ধর্ষণ করেন গত বছরের ১৯ আগস্টে। এরপর সেলিম রেজা ভোলাহাট থানায় বদলি হলেও সম্পর্ক চালিয়ে যান। ঘটনাটি ওসি সেলিম রেজার স্ত্রী জেনে গেলে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাপ দিয়ে অকথ্য ভাসায় গালিগালাজ করেন। এরপর থেকেই সেলিম রেজা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ওই নারী আরও জানান,প্রেমিক সেলিম রেজার সঙ্গে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ভোলাহাট থানায় দেখা করতে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন। আবারও ২২ জানুয়ারি বিয়ের দাবিতে ভোলাহাট থানায় গেলে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধর করে আটকে রাখেন। ২৩ জানুয়ারি ৫৪ ধারায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠায়। পুলিশের মামলায় সাত দিন কারাগারে থাকেন তিনি। সে সময় তাঁর (ভুক্তভোগী) ব্যবহৃত মোবাইল কেড়ে নিয়ে ওসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ছবি,কথোপকথনসহ সব ডকুমেন্ট ডিলিট করে দেওয়া হয়। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে থানায় গেলে ওসি মুচলেকা নিয়ে মোবাইল ফোনটি ফেরত দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলাহাট থানার সাবেক ওসি (বরখাস্ত) সেলিম রেজা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য ওই নারী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নাই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবুল কালাম সাহিদ বলেন,‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে পাঠানো একটি ভিডিও ফুটেজ তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ওসি সেলিম রেজাকে সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।