০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাক/কাপড় ব্যবসায়ীগণের সাথে  ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

প্রতিনিধির নাম

মো. জাহিদুর রহমান:

আজ ৩০ মার্চ ২০২৩  জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে  আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাক/কাপড় ব্যবসায়ীগণের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)  এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন  পরিচালক  মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ  উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি, এনএসআই এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, আড়ং, আটিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশ ইত্যাদি ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন কাপড়ের ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

পরিচালক  মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে, বলেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভাল থাকে এবং বিদেশি যারা আসে তাঁরা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। কাপড়ের প্রাইস ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়; শোরুম পর্যায়ে যেন প্রাইস ট্যাগ লাগানো না হয়। এর ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সভায় অধিদপ্তর কর্তৃক কাপড়ের ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়ম যথাঃ ঈদ উপলক্ষ্যে একই পোষাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, একটি পোষাকে বিভিন্ন দামের প্রাইজ ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, আসল বলে নকল কাপড় বিক্রি করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া রেডিমেইড গার্মেন্টস এর ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে MRP না লেখা, MRP ঘষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ করা, পুরাতন মূল্যের উপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশী মূল্য নেয়া, ১০০% কটন ঘোষণা দিয়ে ১০০% কটন না দেয়া, কাটা ফাটা পোশাক বিক্রি করা এবং সময়মত exchange করে না দেয়া, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমান না রাখা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বিভিন্ন কাপড়ের ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিনিধিগণ সভার আলোচনা থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মর্মে জানান।

 

সভায় মহাপরিচালক অধিদপ্তর কর্তৃক কাপড়ের ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়মের বিষয়ে ব্যবসায়ীগণকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বিদেশি পোষাক ও কসমেটিক্সের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও সীল থাকতে হবে এবং এমআরপি আমদানিকারক কর্তৃক প্রদেয় হতে হবে। নকল পণ্যের বিষয়েও তিনি ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেন এবং এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
১০৭ বার পড়া হয়েছে

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাক/কাপড় ব্যবসায়ীগণের সাথে  ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভা

আপডেট : ০৩:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

মো. জাহিদুর রহমান:

আজ ৩০ মার্চ ২০২৩  জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে  আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তৈরি পোষাক/কাপড় ব্যবসায়ীগণের অংশগ্রহণে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বিষয়ক মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব)  এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন  পরিচালক  মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ  উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ, ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি, এনএসআই এর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, আড়ং, আটিসান, অঞ্জনস, টপ টেন, লুবনান, নগরদোলা, রং বাংলাদেশ ইত্যাদি ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন কাপড়ের ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

পরিচালক  মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্যে, বলেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাপড়ের গুণগত মান যেন ভাল থাকে এবং বিদেশি যারা আসে তাঁরা যেন কাপড়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে না পারে। কাপড়ের প্রাইস ট্যাগ যেন ফ্যাক্টরিতে লাগানো হয়; শোরুম পর্যায়ে যেন প্রাইস ট্যাগ লাগানো না হয়। এর ব্যত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

সভায় অধিদপ্তর কর্তৃক কাপড়ের ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়ম যথাঃ ঈদ উপলক্ষ্যে একই পোষাকের দাম অন্যান্য সময়ের তুলনায় বাড়িয়ে দেয়া, একটি পোষাকে বিভিন্ন দামের প্রাইজ ট্যাগ লাগানো, সিট কাপড়ের ক্ষেত্রে মিটারের পরিবর্তে গজের ব্যবহার, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, আসল বলে নকল কাপড় বিক্রি করা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়া রেডিমেইড গার্মেন্টস এর ক্ষেত্রে মোড়কের গায়ে MRP না লেখা, MRP ঘষামাজা/কাটাকাটি করে বেশি মূল্য নির্ধারণ করা, পুরাতন মূল্যের উপর নতুন স্টিকার লাগিয়ে বেশী মূল্য নেয়া, ১০০% কটন ঘোষণা দিয়ে ১০০% কটন না দেয়া, কাটা ফাটা পোশাক বিক্রি করা এবং সময়মত exchange করে না দেয়া, ভোক্তাদের পেমেন্টের ক্ষেত্রে লম্বা লাইনে অপেক্ষমান না রাখা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয়।

বিভিন্ন কাপড়ের ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রতিনিধিগণ সভার আলোচনা থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা অনুসরণ করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মর্মে জানান।

 

সভায় মহাপরিচালক অধিদপ্তর কর্তৃক কাপড়ের ক্ষেত্রে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে প্রাপ্ত অনিয়মের বিষয়ে ব্যবসায়ীগণকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, বিদেশি পোষাক ও কসমেটিক্সের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের নাম ও সীল থাকতে হবে এবং এমআরপি আমদানিকারক কর্তৃক প্রদেয় হতে হবে। নকল পণ্যের বিষয়েও তিনি ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করেন এবং এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।