০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

প্রতি বছর রমজানের পণ্যের দাম নিয়ে এক ধরনের খেলায় মাতেন ব্যবসায়ীরা

প্রতিনিধির নাম

প্রতিবছর রমজান মাসকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রোজার আগেই নীরবে বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের দাম। যাতে রমজানের কয়েকদিন আগে এসব পণ্যের দাম বাড়াতে না হয়। প্রতিবারই রোজার আগে সরকার আমদানিতে ছাড় দেয়। আমদানি বাড়লে দামও কিছুটা কমে যায়। পরে দাম সমন্বয়ের সময় যাতে দাম বেশি কমে না যায়- এজন্য এই অপকৌশলের আশ্রয় নেয় ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু অসাধুদের এই কারসাজির কৌশল ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও সব সময়ই রহস্যজনক কারণে

‘নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকে কর্তৃপক্ষ। নেওয়া হয় লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ। কিন্তু আসে না কোনো কার্যকর ফল। কোনো বছরই ওইসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং নির্বিঘ্নে চালিয়ে গেছেন তাদের অপকর্ম। তাদের জাঁতাকলে কোনো কারণ ছাড়াই পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তা।
সরকার বলছে, পুরো রমজান মাসে যে পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন দেশে বর্তমানে তার চেয়ে বেশি পণ্য মজুত আছে। শুধু তা-ই নয়, রোজার পণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি করতে বিশেষ সুবিধাও দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ বলছে, পরিকল্পিতভাবে কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো
→ ‘প্রতি বছর পরিকল্পিতভাবে রমজানের পণ্যের দাম নিয়ে এক ধরনের খেলায় মাতেন ব্যবসায়ীরা। এবারও একই খেলা শুরু করেছেন তারা। খেজুর, ছোলা, তেল ও চিনির পর্যান্ত আমদানি রয়েছে, মজুতও প্রচুর। তারপরও নানা অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।’
-এস এম নাজের হোসাইন সহ-সভাপতি, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
হচ্ছে দাম। কারসাজির অংশ হিসেবে তারা বলছেন, পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়েছে, তাই দাম বাড়তি আরেক পক্ষ বলছে, ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। সময় মতো আমদানি করতে না পারায় পণ্যের সংকট আছে, তাই দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় খেজুরের দাম এবার দ্বিগুণ হয়েছে। কিছুদিন আগে কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। নতুন করে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে এ পণ্যের দাম। ইতোমধ্যে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। আবারও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সয়াবিন তেলেরপর পর এখন পাম অয়েলের দামও বাড়ানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকা পেঁয়াজের দাম নিয়েও ‘কারসাজি’র পরিকল্পনা করছেন কিছু ব্যবসায়ী। ক্রেতাদের এসব অভিযোগ সত্য বলে মনে করছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। রমজানে ভোক্তারা যাতে সুরক্ষা পান সেজন্য সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
জানিয়েছে তারা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর প্রকারভেদে খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। গত বছর যে খেজুর ১০০ টাকা ছিল সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ২০০ টাকার খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাঝারি মানের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজিতে । রমজান মাসে চিনির দাম কমাতে সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। তারপরও দাম
কমছে না, উল্টো বাড়ছে। এমনকি প্যাকেটজাত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। যা এক বছর আগে ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক বছর আগে এসব তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা। অন্যদিকে, পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। এক বছর আগে যা বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এক বছর আগে যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ এক বছরে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রমজান মাসে খেজুর, ছোলা, চিনি, তেল ও পেঁয়াজের চাহিদা দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে তারা এসব পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যারা আনছেন,তারা বেশি দামে আনছেন। বাধ্য হয়ে তাদের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজানের মাঝামাঝি সময় দেখা যাবে এগুলোর দাম কমছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর পরিকল্পিতভাবে রমজানের পণ্যের দাম নিয়ে এক ধরনের খেলায় মাতেন ব্যবসায়ীরা। এবারও একই খেলা শুরু করেছেন তারা। খেজুর, ছোলা, তেল ও চিনির পর্যাপ্ত আমদানি রয়েছে, মজুতও প্রচুর। তারপরও নানা অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের উচিত হবে যারা কারসাজি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাদের বিষয়ে তদারকি জোরদার করা। তা না হলে রমজানের আগে বাজার স্থিতিশীল হবে না। টিসিবির প্রস্তুতি প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। রোজার মাসকে ঘিরে প্রতি বছর সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি বেশ কয়েকটি অতি প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে মাঠে নামে। এবারও সংস্থাটি ৫ পণ্য নিয়ে রমজানে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে টিসিবির প্রস্তুতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। তারপরও পণ্য আমদানি ও মজুদের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান। তিনি জানান, এবারের রোজাকে ঘিরে টিসিবি মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল মজুদ করছে। মসুরের ডাল মজুদ করছে ৪০ হাজার টন। এ ছাড়া ছোলা ১০ হাজার টন, চিনি ২৫ হাজার টন এবং খেজুর ১ হাজার ৩০০ টন মজুদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই পাঁচ পণ্য নিয়ে এবারের রমজানে মাঠে নামবে টিসিবি। এসব পণ্য আমদানির কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছু পণ্য আমাদের গুদামে চলে এসেছে, কিছু পাইপলাইনে আছে আর কিছু পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে। আমরা আশা করি, রোজার আগে সব পণ্য পেয়ে যাবে। রোজার আগে,,

ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
৫৭ বার পড়া হয়েছে

প্রতি বছর রমজানের পণ্যের দাম নিয়ে এক ধরনের খেলায় মাতেন ব্যবসায়ীরা

আপডেট : ০৬:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

প্রতিবছর রমজান মাসকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রোজার আগেই নীরবে বাড়িয়ে দেয় নিত্যপণ্যের দাম। যাতে রমজানের কয়েকদিন আগে এসব পণ্যের দাম বাড়াতে না হয়। প্রতিবারই রোজার আগে সরকার আমদানিতে ছাড় দেয়। আমদানি বাড়লে দামও কিছুটা কমে যায়। পরে দাম সমন্বয়ের সময় যাতে দাম বেশি কমে না যায়- এজন্য এই অপকৌশলের আশ্রয় নেয় ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু অসাধুদের এই কারসাজির কৌশল ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও সব সময়ই রহস্যজনক কারণে

‘নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকে কর্তৃপক্ষ। নেওয়া হয় লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ। কিন্তু আসে না কোনো কার্যকর ফল। কোনো বছরই ওইসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং নির্বিঘ্নে চালিয়ে গেছেন তাদের অপকর্ম। তাদের জাঁতাকলে কোনো কারণ ছাড়াই পিষ্ট হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তা।
সরকার বলছে, পুরো রমজান মাসে যে পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন দেশে বর্তমানে তার চেয়ে বেশি পণ্য মজুত আছে। শুধু তা-ই নয়, রোজার পণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি করতে বিশেষ সুবিধাও দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ বলছে, পরিকল্পিতভাবে কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো
→ ‘প্রতি বছর পরিকল্পিতভাবে রমজানের পণ্যের দাম নিয়ে এক ধরনের খেলায় মাতেন ব্যবসায়ীরা। এবারও একই খেলা শুরু করেছেন তারা। খেজুর, ছোলা, তেল ও চিনির পর্যান্ত আমদানি রয়েছে, মজুতও প্রচুর। তারপরও নানা অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।’
-এস এম নাজের হোসাইন সহ-সভাপতি, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
হচ্ছে দাম। কারসাজির অংশ হিসেবে তারা বলছেন, পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়েছে, তাই দাম বাড়তি আরেক পক্ষ বলছে, ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। সময় মতো আমদানি করতে না পারায় পণ্যের সংকট আছে, তাই দাম বাড়ছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় খেজুরের দাম এবার দ্বিগুণ হয়েছে। কিছুদিন আগে কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। নতুন করে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে এ পণ্যের দাম। ইতোমধ্যে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। আবারও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সয়াবিন তেলেরপর পর এখন পাম অয়েলের দামও বাড়ানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকা পেঁয়াজের দাম নিয়েও ‘কারসাজি’র পরিকল্পনা করছেন কিছু ব্যবসায়ী। ক্রেতাদের এসব অভিযোগ সত্য বলে মনে করছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। রমজানে ভোক্তারা যাতে সুরক্ষা পান সেজন্য সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
জানিয়েছে তারা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর প্রকারভেদে খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। গত বছর যে খেজুর ১০০ টাকা ছিল সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ২০০ টাকার খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। মাঝারি মানের ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজিতে । রমজান মাসে চিনির দাম কমাতে সরকার আমদানি শুল্ক কমিয়েছে। তারপরও দাম
কমছে না, উল্টো বাড়ছে। এমনকি প্যাকেটজাত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। যা এক বছর আগে ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক বছর আগে এসব তেল বিক্রি হয়েছে ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা। অন্যদিকে, পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। এক বছর আগে যা বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। ছোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। এক বছর আগে যা ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ এক বছরে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রমজান মাসে খেজুর, ছোলা, চিনি, তেল ও পেঁয়াজের চাহিদা দুই থেকে তিন গুণ বেড়ে যায়। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে তারা এসব পণ্য আমদানি করতে পারছেন না। যারা আনছেন,তারা বেশি দামে আনছেন। বাধ্য হয়ে তাদের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রমজানের মাঝামাঝি সময় দেখা যাবে এগুলোর দাম কমছে। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর পরিকল্পিতভাবে রমজানের পণ্যের দাম নিয়ে এক ধরনের খেলায় মাতেন ব্যবসায়ীরা। এবারও একই খেলা শুরু করেছেন তারা। খেজুর, ছোলা, তেল ও চিনির পর্যাপ্ত আমদানি রয়েছে, মজুতও প্রচুর। তারপরও নানা অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের উচিত হবে যারা কারসাজি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাদের বিষয়ে তদারকি জোরদার করা। তা না হলে রমজানের আগে বাজার স্থিতিশীল হবে না। টিসিবির প্রস্তুতি প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। রোজার মাসকে ঘিরে প্রতি বছর সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি বেশ কয়েকটি অতি প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে মাঠে নামে। এবারও সংস্থাটি ৫ পণ্য নিয়ে রমজানে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে টিসিবির প্রস্তুতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। তারপরও পণ্য আমদানি ও মজুদের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান। তিনি জানান, এবারের রোজাকে ঘিরে টিসিবি মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল মজুদ করছে। মসুরের ডাল মজুদ করছে ৪০ হাজার টন। এ ছাড়া ছোলা ১০ হাজার টন, চিনি ২৫ হাজার টন এবং খেজুর ১ হাজার ৩০০ টন মজুদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই পাঁচ পণ্য নিয়ে এবারের রমজানে মাঠে নামবে টিসিবি। এসব পণ্য আমদানির কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। কিছু পণ্য আমাদের গুদামে চলে এসেছে, কিছু পাইপলাইনে আছে আর কিছু পণ্যের এলসি খোলা হয়েছে। আমরা আশা করি, রোজার আগে সব পণ্য পেয়ে যাবে। রোজার আগে,,