১০:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

কুমিল্লার জেলার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মিলনমেলা

প্রতিনিধির নাম

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিটিএমসি ভবন রেইনী রুফ রেস্টুরেন্টে কুমিল্লা জেলার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা শান্তি প্রগতিকে বুকে ধারণ করে মিলিত হয় সাবেক ছাত্রনেতারা।ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশের ঐত্যিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।দেশের রাজনীতিতে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদদের রাজনীতির হাতেখড়ি এই ছাত্র সংগঠন।সেই ধারাবাহিকতায় উক্ত মিলনমেলায় সাবেক নেতৃবৃন্দ নিজেদের একতা তুলে ধরেন।

মিলনমেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আবু তাহের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা সৌরভ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মোকলেছুর রহমান,অধ্যক্ষ মোঃ আলী খান চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল রানা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: কিবরিয়া, সাবেক সহ-সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ফারুক, সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী জাকির হোসেন সাগর, তেজগাঁ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন চেয়ারম্যান,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য লেখক- রাজনীতিক বিশ্লেষক রানা চৌধুরী, প্রকৌশলী আলী আকবর সরকার প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা শাহীন আলম, মহসীন খান, মোরশেদুল আলম, দিদার, শাহজালাল, রাসেল, মহিন, রাকিব,শাকিল, ফরহাদ , সাব্বির, রাখি, আমিনুল, রাব্বি নূর, নুরুজ্জামান ইকবালসহ আরো অনেকেই।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ অন্যান্যরা।

দীর্ঘদিন পর রাজপথের সতীর্থদের দেখা পেয়ে আবেগে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন সাবেক এ নেতারা। বুকে জড়িয়ে স্মৃতিচারণ করেন সোনালী দিনগুলোর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নঈম নিজাম বলেন, কুমিল্লার ছেলেরা সবচেয়ে মেধাবী। কুমিল্লা জেলার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এই মিলনমেলায় এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। কুমিল্লার এই ছাত্রনেতারাই আগামীর বাংলাদেশ। এখান থেকেই এমপি-মন্ত্রী হবে, কেন্দ্রীয় নেতার সৃষ্টি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবু তাহের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের নিরলস কাজ করতে হবে। আমরা সবাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে কন্টকময় বিন্দুর পথও পাড়ি দেয়া সম্ভব।

সাইফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরা কুমিল্লার সাবেক নেতৃবৃন্দ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এটা প্রমাণ করেছি আমরাও পারি এবং দেশের উন্নয়নে কুমিল্লাবাসী ঐক্যবদ্ধ। আমি মনে করি, কুমিল্লাবাসীর এই একতা একদিন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করবে।

প্রকৌশলী জাকির হোসেন সাগর বলেন, কুমিল্লার সাবেক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আমাদের আজকের এই মিলনমেলা এক অনন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে কেননা এমন গঠনমূলক উদ্যোগ কখনও গ্রহণ করা হয়নি। এই মহতী উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ বন্ধন অটুট রাখতে আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। সবচেয়ে বড়কথা, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট কর্মী, এটাই আমাদের পরিচয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রানা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস, এক ও অভিন্ন। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে রাজনীতি করে এসেছি, আমরা সবাই ছাত্রলীগের সৃষ্টি। এখানে যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছে কিংবা অন্যভাবে অবদান রাখছে সবাই ছাত্রলীগের প্রোডাকশন ও অর্জন। আমাদের এই একতা দেশ ও জাতীয় উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ট্যাগস :
আপডেট : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
৫৯ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লার জেলার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মিলনমেলা

আপডেট : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিটিএমসি ভবন রেইনী রুফ রেস্টুরেন্টে কুমিল্লা জেলার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা শান্তি প্রগতিকে বুকে ধারণ করে মিলিত হয় সাবেক ছাত্রনেতারা।ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশের ঐত্যিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’।দেশের রাজনীতিতে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদদের রাজনীতির হাতেখড়ি এই ছাত্র সংগঠন।সেই ধারাবাহিকতায় উক্ত মিলনমেলায় সাবেক নেতৃবৃন্দ নিজেদের একতা তুলে ধরেন।

মিলনমেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা আবু তাহের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সেলিম রেজা সৌরভ, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য মোকলেছুর রহমান,অধ্যক্ষ মোঃ আলী খান চৌধুরী মানিক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল রানা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: কিবরিয়া, সাবেক সহ-সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ফারুক, সাবেক সহ-সভাপতি প্রকৌশলী জাকির হোসেন সাগর, তেজগাঁ কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন চেয়ারম্যান,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য লেখক- রাজনীতিক বিশ্লেষক রানা চৌধুরী, প্রকৌশলী আলী আকবর সরকার প্রমুখ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ছাত্রনেতা শাহীন আলম, মহসীন খান, মোরশেদুল আলম, দিদার, শাহজালাল, রাসেল, মহিন, রাকিব,শাকিল, ফরহাদ , সাব্বির, রাখি, আমিনুল, রাব্বি নূর, নুরুজ্জামান ইকবালসহ আরো অনেকেই।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নসহ অন্যান্যরা।

দীর্ঘদিন পর রাজপথের সতীর্থদের দেখা পেয়ে আবেগে উৎফুল্ল হয়ে পড়েন সাবেক এ নেতারা। বুকে জড়িয়ে স্মৃতিচারণ করেন সোনালী দিনগুলোর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নঈম নিজাম বলেন, কুমিল্লার ছেলেরা সবচেয়ে মেধাবী। কুমিল্লা জেলার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের এই মিলনমেলায় এসে আমি মুগ্ধ হয়েছি। কুমিল্লার এই ছাত্রনেতারাই আগামীর বাংলাদেশ। এখান থেকেই এমপি-মন্ত্রী হবে, কেন্দ্রীয় নেতার সৃষ্টি হবে।

সভাপতির বক্তব্যে আবু তাহের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের নিরলস কাজ করতে হবে। আমরা সবাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে কন্টকময় বিন্দুর পথও পাড়ি দেয়া সম্ভব।

সাইফুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরা কুমিল্লার সাবেক নেতৃবৃন্দ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এটা প্রমাণ করেছি আমরাও পারি এবং দেশের উন্নয়নে কুমিল্লাবাসী ঐক্যবদ্ধ। আমি মনে করি, কুমিল্লাবাসীর এই একতা একদিন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করবে।

প্রকৌশলী জাকির হোসেন সাগর বলেন, কুমিল্লার সাবেক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে আমাদের আজকের এই মিলনমেলা এক অনন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে কেননা এমন গঠনমূলক উদ্যোগ কখনও গ্রহণ করা হয়নি। এই মহতী উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ বন্ধন অটুট রাখতে আমার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবো। সবচেয়ে বড়কথা, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট কর্মী, এটাই আমাদের পরিচয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রানা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস, এক ও অভিন্ন। আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে রাজনীতি করে এসেছি, আমরা সবাই ছাত্রলীগের সৃষ্টি। এখানে যারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে আছে কিংবা অন্যভাবে অবদান রাখছে সবাই ছাত্রলীগের প্রোডাকশন ও অর্জন। আমাদের এই একতা দেশ ও জাতীয় উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।