১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম

প্রতিনিধির নাম
মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লা মামলার ১ নম্বর আসামি। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের অনুসারী। তাঁদের মধ্যে দুজন হলেন তাঁর ভাতিজা। এ মামলায় মো. জাফর (৩৭) ও শামীম (৩২) নামে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী আনন্দ র‌্যালি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেটের পূর্ব পাশে পৌঁছালে গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সামনে তাঁর দুই ভাতিজার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আবদুল মোতালেবের ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকে। তাঁর বুকের ডান পাশে ও ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে জখম হয়। ডান পা ভেঙে যায় ও মাথায় আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৩:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
৬৫ বার পড়া হয়েছে

বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম

আপডেট : ০৩:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
মোঃ জসীম উদ্দিন, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লা মামলার ১ নম্বর আসামি। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের অনুসারী। তাঁদের মধ্যে দুজন হলেন তাঁর ভাতিজা। এ মামলায় মো. জাফর (৩৭) ও শামীম (৩২) নামে এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
ঘটনার ১৪ দিন পর মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী আনন্দ র‌্যালি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেটের পূর্ব পাশে পৌঁছালে গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সামনে তাঁর দুই ভাতিজার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আবদুল মোতালেবের ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে থাকে। তাঁর বুকের ডান পাশে ও ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশে জখম হয়। ডান পা ভেঙে যায় ও মাথায় আঘাত লাগে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।