০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

বাস্তবত জীবনে নারী প্রতিনিয়ত কিভাবে,কি পরিমান হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হচ্ছে।

প্রতিনিধির নাম
আজ আমি আপনাদের কাছে একটি ব্যতিক্রম লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। যেখানে রয়েছে বাস্তবতার মুখোমুখি একজন হ্যারেজমেন্ট হওয়া নারীর আত্মকথা।
আমার প্রিয় বন্ধু তানিশা জান্নাত মৌ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়াল থেকে লেখাটা আমি সংগ্রহ করেছি। যে লেখায় রয়েছে এ সমাজের শতভাগ বাস্তবতা। শতভাগ একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকের লেখিকা তানিশা আক্তার মৌ এর পোস্ট ছিল।
এমন বাস্তব ঘটনাটি যাদের জীবনে ঘটেছে আমরা তাদের নাম এখানে প্রকাশ করব না। কিন্তু লেখাগুলো লিখতে তানিশা জান্নাত মৌকে যে সাহায্য করেছে সে আমাদের আরেকজন প্রিয়, বন্ধু নাজমুল হাসান আকাশ। তার অক্লান্ত মেধা পরিশ্রমের মাধ্যমেই সত্যিই এই ঘটনাটি আজ প্রকাশ পেল তানিশা জান্নাত মৌ এর ফেসবুক ওয়ালে।
প্রিয় বন্ধুরা লেখাটা আমি হুবহু এখানে তুলে ধরলাম। এবং সর্বশেষ প্রিয় বন্ধু তানিশা জন্নত মৌ এবং প্রিয় বন্ধু নাজমুল হাসান আকাশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই।
আপনারা কি জানেন আমাদের সমাজে এখনও মেয়েরা কত ভাবে, কি পরিমান প্রতিনিয়ত হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হচ্ছে??
তাহলে শুনুন আমি বলছি ,,
প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এমন কি হসপিটাল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মঞ্চ পর্যন্ত, কাজের জায়গাতে তো আছেই,, এছাড়া ও এই বিষয়টা এখন অনলাইনের মধ্যে দিন দিন ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
আমাদের চোখে এই সমাজে যাদেরকে ভালো মানুষ বলে মনে করি তারা আসলে কতটুকু ভালো??
একটা মেয়ে মানুষের ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার চেক করলে বুঝতে পারবেন। এই সমাজে ভালো চেহারার আড়ালে কত বড় শয়তানি, বদমাইশি মানসিকতা লুকিয়ে থাকে।
এরা মেয়েদের ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে এড হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করা শুরু করে।যেমন
হাই-হ্যালো তো আছেই, রিপ্লে না করলেও কত বাজে ধরনের এসএমএস দিয়ে কত কি বলে। কাউকে আবার এ্যানসার করলে ,বাড়ি কই? কি করেন? অরিজিনাল বাসা কোথায়? আপনি কি সিঙ্গেল? বিবাহিত হলে স্বামী দেশে না বিদেশে থাকে, বাবা কি করে? ভাই বোন কয়জন? আরো কত কি !! এমনকি অশালীন ছবি পাঠাতে ও দ্বিধাবোধ করে না। এই বাজে মনের মানুষগলো একবার ও
  তারা ভাবে না তাদের বাড়িত মা-বোন ভাবি ও স্ত্রী রয়েছে।
অনেকে বলে, আপনাকে একটু কল দিতে পারি? আমাকে আপনার একটা ছবি পাঠাবেন? অনেকে তো আবার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই কলের পর কল দিয়ে থাকে। অনেকে আবার ভিডিও কলও দেয়। সবশেষে মুখস্ত একটা বিদ্যা লিখে পাঠায় আই এম সরি।
আচ্ছা আপনাদের ঘরে কি মা,বোন,নেই ?একবার চিন্তা করেন তো তাদের সাথে এরকম হলে আপনি যদি ভাই বা বাবা অথবা স্বামী হিসাবে কেমন লাগতো?? মানুষ এত নিষ্ঠুর নিচু মনের কিভাবে হয়??
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের, এগুলো করা ঠিক না। নারীকে অবলা পেয়ে বিরক্ত করা এটা একটা সামাজিক ব্যাধি মানসিক ব্যাধি আসুন এর থেকে আমরা বিরত থাকি।
মনে রাখবেন,জগতের অর্ধেক নারী বাকি অর্ধেক পুরুষ। অর্ধেক পুরুষ জন্ম দিয়েছেন সেই নারীই।তাই আসুন আমরা মেয়েদেরকে সম্মান দেই,বিরক্ত না করি,তাদের সাথে ভদ্র আচরন করি। এই সমাজটাকে সুস্থ রাখার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করি। আমাদের সোনার বাংলা কে সুন্দর সুশৃংখলভাবে যোগ্যতার মাপকাঠি তে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই।আসুন তার জন্য আমরা নারীকে সম্মান করতে শিখি নারীর কাছ থেকে আমরা সম্মান পেতে শিখি।। প্রিয় বন্ধুরা সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
৬৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাস্তবত জীবনে নারী প্রতিনিয়ত কিভাবে,কি পরিমান হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হচ্ছে।

আপডেট : ০৬:১২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল ২০২২
আজ আমি আপনাদের কাছে একটি ব্যতিক্রম লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। যেখানে রয়েছে বাস্তবতার মুখোমুখি একজন হ্যারেজমেন্ট হওয়া নারীর আত্মকথা।
আমার প্রিয় বন্ধু তানিশা জান্নাত মৌ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক ওয়াল থেকে লেখাটা আমি সংগ্রহ করেছি। যে লেখায় রয়েছে এ সমাজের শতভাগ বাস্তবতা। শতভাগ একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকের লেখিকা তানিশা আক্তার মৌ এর পোস্ট ছিল।
এমন বাস্তব ঘটনাটি যাদের জীবনে ঘটেছে আমরা তাদের নাম এখানে প্রকাশ করব না। কিন্তু লেখাগুলো লিখতে তানিশা জান্নাত মৌকে যে সাহায্য করেছে সে আমাদের আরেকজন প্রিয়, বন্ধু নাজমুল হাসান আকাশ। তার অক্লান্ত মেধা পরিশ্রমের মাধ্যমেই সত্যিই এই ঘটনাটি আজ প্রকাশ পেল তানিশা জান্নাত মৌ এর ফেসবুক ওয়ালে।
প্রিয় বন্ধুরা লেখাটা আমি হুবহু এখানে তুলে ধরলাম। এবং সর্বশেষ প্রিয় বন্ধু তানিশা জন্নত মৌ এবং প্রিয় বন্ধু নাজমুল হাসান আকাশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করতে চাই।
আপনারা কি জানেন আমাদের সমাজে এখনও মেয়েরা কত ভাবে, কি পরিমান প্রতিনিয়ত হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হচ্ছে??
তাহলে শুনুন আমি বলছি ,,
প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এমন কি হসপিটাল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মঞ্চ পর্যন্ত, কাজের জায়গাতে তো আছেই,, এছাড়া ও এই বিষয়টা এখন অনলাইনের মধ্যে দিন দিন ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
আমাদের চোখে এই সমাজে যাদেরকে ভালো মানুষ বলে মনে করি তারা আসলে কতটুকু ভালো??
একটা মেয়ে মানুষের ফেসবুক আইডির মেসেঞ্জার চেক করলে বুঝতে পারবেন। এই সমাজে ভালো চেহারার আড়ালে কত বড় শয়তানি, বদমাইশি মানসিকতা লুকিয়ে থাকে।
এরা মেয়েদের ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে এড হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে বিরক্ত করা শুরু করে।যেমন
হাই-হ্যালো তো আছেই, রিপ্লে না করলেও কত বাজে ধরনের এসএমএস দিয়ে কত কি বলে। কাউকে আবার এ্যানসার করলে ,বাড়ি কই? কি করেন? অরিজিনাল বাসা কোথায়? আপনি কি সিঙ্গেল? বিবাহিত হলে স্বামী দেশে না বিদেশে থাকে, বাবা কি করে? ভাই বোন কয়জন? আরো কত কি !! এমনকি অশালীন ছবি পাঠাতে ও দ্বিধাবোধ করে না। এই বাজে মনের মানুষগলো একবার ও
  তারা ভাবে না তাদের বাড়িত মা-বোন ভাবি ও স্ত্রী রয়েছে।
অনেকে বলে, আপনাকে একটু কল দিতে পারি? আমাকে আপনার একটা ছবি পাঠাবেন? অনেকে তো আবার কোন ধরনের অনুমতি না নিয়েই কলের পর কল দিয়ে থাকে। অনেকে আবার ভিডিও কলও দেয়। সবশেষে মুখস্ত একটা বিদ্যা লিখে পাঠায় আই এম সরি।
আচ্ছা আপনাদের ঘরে কি মা,বোন,নেই ?একবার চিন্তা করেন তো তাদের সাথে এরকম হলে আপনি যদি ভাই বা বাবা অথবা স্বামী হিসাবে কেমন লাগতো?? মানুষ এত নিষ্ঠুর নিচু মনের কিভাবে হয়??
প্রিয় বন্ধুরা আমাদের, এগুলো করা ঠিক না। নারীকে অবলা পেয়ে বিরক্ত করা এটা একটা সামাজিক ব্যাধি মানসিক ব্যাধি আসুন এর থেকে আমরা বিরত থাকি।
মনে রাখবেন,জগতের অর্ধেক নারী বাকি অর্ধেক পুরুষ। অর্ধেক পুরুষ জন্ম দিয়েছেন সেই নারীই।তাই আসুন আমরা মেয়েদেরকে সম্মান দেই,বিরক্ত না করি,তাদের সাথে ভদ্র আচরন করি। এই সমাজটাকে সুস্থ রাখার জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করি। আমাদের সোনার বাংলা কে সুন্দর সুশৃংখলভাবে যোগ্যতার মাপকাঠি তে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চাই।আসুন তার জন্য আমরা নারীকে সম্মান করতে শিখি নারীর কাছ থেকে আমরা সম্মান পেতে শিখি।। প্রিয় বন্ধুরা সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।