০২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিজ্ঞপ্তি

ভুট্টা চাষে দুমকিতে তাক লাগিয়েছে কৃষকরা 

প্রতিনিধির নাম

পটুয়াখালীর দুমকিতে এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে অল্প সময়ে কম খরচ হয়। এছাড়াও উৎপাদিত ভুট্টা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন। অপরদিকে ভুট্টার শুকনা গাছ গো-খাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর কৃষকরা ব্যাপক সফলতার মুখ দেখছেন। জমিতে ভালো ফলন দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপজেলা  কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুমকি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কম বেশি ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। তবে তার মধ্যে মুরাদিয়া ইউনিয়নের সন্তোষদি, উত্তর মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের, কোহারজোড়, পশ্চিম শ্রীরামপুর, রাজাখালি ও চরবয়ড়া, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী ও হাজীর হাট এলাকায় ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়ার কৃষক নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, বাজার দর ভালো থাকলে ভূট্টা চাষ খুব লাভজনক। প্রতিহেক্টর জমিতে চাষ, বীজ ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ ১০থেকে১২হাজার টাকা খরচ হয়। আর হেক্টর প্রতি ৪০থেকে ৪৫ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদন হয়। বর্তমানে বাজারে প্রতিমন ২ থেকে ২ হাজার ২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আশাকরি বেশ লাভবান হতে পারব। সন্তোষদি গ্রামের কৃষক গৌতম দাস বলেন, উপজেলা কৃষি দফতরের পরামর্শক্রমে কৃষি প্রনোদনার আওতায় বিনা মূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক পেয়ে ৪৫ শতাংশ জমিতে ডন-১১১ জাতের ভুট্টার চাষ করছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশাকরি বেশ লাভবান হতে পারব। ঐ এলাকার অপর এক কৃষক বশির হাওলাদার বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ১বিঘা জমিতে প্যাসেফিক জাতের ভুট্টার প্রদর্শনী প্লট করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। তবে ভুট্টা মাড়াইয়ের জন্য সরকারের কাছে ” ভুট্টা মাড়াই যন্ত্রের ” আবেদন জানাই। এছাড়াও কোন কোন কৃষক ইতিমধ্যে পাকা ভূট্টা ক্ষেত থেকে বাড়িতে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে রৌদ্রে শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ হেক্টর। কৃষকদের আগ্রহের কারণে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। ভুট্টা যেমন খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, অন্যদিকে এর শুকনো গাছ ও খোসা জ্বালানি এবং গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আশাকরি আগামীতে কৃষকরা আরও বেশি ভুট্টা চাষে ঝুঁকবেন।
ট্যাগস :
আপডেট : ০৬:০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
১১৫ বার পড়া হয়েছে

ভুট্টা চাষে দুমকিতে তাক লাগিয়েছে কৃষকরা 

আপডেট : ০৬:০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

পটুয়াখালীর দুমকিতে এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা চাষে অল্প সময়ে কম খরচ হয়। এছাড়াও উৎপাদিত ভুট্টা বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায় বলে কৃষকরা এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন। অপরদিকে ভুট্টার শুকনা গাছ গো-খাদ্য ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর কৃষকরা ব্যাপক সফলতার মুখ দেখছেন। জমিতে ভালো ফলন দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপজেলা  কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দুমকি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কম বেশি ভুট্টার আবাদ করা হয়েছে। তবে তার মধ্যে মুরাদিয়া ইউনিয়নের সন্তোষদি, উত্তর মুরাদিয়া, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের, কোহারজোড়, পশ্চিম শ্রীরামপুর, রাজাখালি ও চরবয়ড়া, আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের জলিশা, পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী ও হাজীর হাট এলাকায় ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। উপজেলার উত্তর মুরাদিয়ার কৃষক নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, বাজার দর ভালো থাকলে ভূট্টা চাষ খুব লাভজনক। প্রতিহেক্টর জমিতে চাষ, বীজ ও কীটনাশক এবং পরিচর্যা বাবদ ১০থেকে১২হাজার টাকা খরচ হয়। আর হেক্টর প্রতি ৪০থেকে ৪৫ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদন হয়। বর্তমানে বাজারে প্রতিমন ২ থেকে ২ হাজার ২শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আশাকরি বেশ লাভবান হতে পারব। সন্তোষদি গ্রামের কৃষক গৌতম দাস বলেন, উপজেলা কৃষি দফতরের পরামর্শক্রমে কৃষি প্রনোদনার আওতায় বিনা মূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক পেয়ে ৪৫ শতাংশ জমিতে ডন-১১১ জাতের ভুট্টার চাষ করছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। আশাকরি বেশ লাভবান হতে পারব। ঐ এলাকার অপর এক কৃষক বশির হাওলাদার বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে ১বিঘা জমিতে প্যাসেফিক জাতের ভুট্টার প্রদর্শনী প্লট করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। তবে ভুট্টা মাড়াইয়ের জন্য সরকারের কাছে ” ভুট্টা মাড়াই যন্ত্রের ” আবেদন জানাই। এছাড়াও কোন কোন কৃষক ইতিমধ্যে পাকা ভূট্টা ক্ষেত থেকে বাড়িতে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে রৌদ্রে শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ হেক্টর। কৃষকদের আগ্রহের কারণে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। ভুট্টা যেমন খাদ্যশস্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়, অন্যদিকে এর শুকনো গাছ ও খোসা জ্বালানি এবং গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আশাকরি আগামীতে কৃষকরা আরও বেশি ভুট্টা চাষে ঝুঁকবেন।